Cooch Behar News: গাছে উঠে ফল পেড়ে দেওয়াই পেশা! কঠোর পরিশ্রম করেই দিন কাটে বিজয়ের
Last Updated:
শীতলকুচি ব্লকের একটি গ্রামপঞ্চায়েতের নাম ছোট ব্যাঙডাকির। সেখানকার এক ব্যক্তি বিজয় বর্মণ। সে ২০ বছর বয়স থেকে শুরু করেন নারিকেল ও তালগাছ বেয়ে উঠে ফল পেড়ে রোজগারের চেষ্টা।
#মাথাভাঙ্গা: যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ এখন নিজেদের পেশার বহুল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তবে এমন কিছু মানুষ রয়েছেন যারা তাদের পেশার পরিবর্তন করতে পারেননি এখনও পর্যন্ত। পেশার পরিবর্তন করতে পারেননি এ কথা বললে হয়তো ভুল হবে। কারণ তারা তাদের বংশ পরম্পরা ক্রমে নিজেদের পিতৃ পুরুষের পেশাকে আঁকড়ে ধরে বেচেঁ রয়েছেন। দুর্গা পুজার সময় আসলেই সাইকেলের মধ্যে দড়ি এবং কাচি ঝুলিয়ে তারা ছুটে চলেছেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। পায়ে বেড়ি, কোমরে দড়ি ও কাচি ঝুলিয়ে নিমেষেই ঝুঁকি নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ ফুট উঁচু নারকেল গাছে উঠে যান চট জলদি। নারিকেল পাড়তে গিয়ে অনেক সময় মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখেছেন বহুবার। কখনও সাপের ছোঁবল থেকে সামান্যর জন্য বেঁচেছেন গিয়েছেন। তবুও নারিকেল পাড়া বন্ধ করেননি।
আরও পড়ুন Murshidabad| Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর গাইড ম্যাপ, জেনে নিন কোন পথে যাবেন প্রতিমা দর্শনে
শীতলকুচি ব্লকের একটি গ্রামপঞ্চায়েতের নাম ছোট ব্যাঙডাকির। সেখানকার এক ব্যক্তি বিজয় বর্মণ। সে ২০ বছর বয়স থেকে শুরু করেন নারিকেল ও তালগাছ বেয়ে উঠে ফল পেড়ে রোজগারের চেষ্টা। কখনও অন্যের গাছের নারিকেল পেড়ে দিয়ে কিংবা আবার নারিকেল গাছ পরিষ্কার করাই হয়ে ওঠে তাঁর একমাত্র পেশা। একটি নারিকেল গাছে ওঠার জন্য তিনি ১০০ থেকে ২০০ টাকা রোজগার করে থাকেন তিনি। কেউ আবার গাছ প্রতি দুই-তিনটি নারিকেল দেন খুশি হয়ে। এভাবেই সংসার চলে তার।
advertisement
গাছে ওঠায় জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কেন এই পেশা বেছে নিয়েছেন জানতে চাইলে বিজয় বলেন, "সব কাজেই ঝুঁকি রয়েছে। জীবনে বাঁচার তাগিদে অনেক সময় কিছুটা ঝুঁকি নিতেই হয়। বাড়তি দু-চার পয়সা বেশি রোজগারের তাগিদে দিনরাত এক করে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।" পুজার আগে সকাল থেকে সন্ধ্যা তাই ব্যস্ততার মধ্যে কাটে বিজয় বর্মনের। সারা বছর খুব একটা ডাক না পড়লেও। বছরের এই সময় নারিকেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়াতে পরিশ্রম অনেকটাই বৃদ্ধি পায়।
advertisement
advertisement
Sarthak Pandit
view commentsLocation :
First Published :
September 30, 2022 5:06 PM IST