Coochbehar News: পুজো এলেই বেড়ে যায় গ্রাম বাংলার চিঁড়ের কদর
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
- Reported by:SARTHAK PANDIT
Last Updated:
গ্রামে তৈরি চিঁড়ের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় দুর্গাপুজোর সময়
কোচবিহার: বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা সাধারণভাবে দৈনন্দিন বাড়িতে খাবার জন্য চিঁড়ের ব্যবহার হয়েই থাকে বহু বাঙালি পরিবারে। শহরের তুলনায় গ্রাম বাংলায় তৈরি খাঁটি চিঁড়ে স্বাদে ও গুণে অপূর্ব। এই চিঁড়ের দাম তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কমও হয়। গ্রাম বাংলায় ধান সেদ্ধ করে সেই ধান কড়াইয়ে ভেজে তারপর তৈরি করা হয় এই চিঁড়ে। গোটা বিষয়টি করতে সময় লাগে আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ মিনিট। বর্তমান সময়ে অত্যাধুনিক অনেক যন্ত্রপাতি বাজারে চলে আসার কারণে এই কাজ করতে অনেকটাই সুবিধা হয়। এদিকে দুর্গাপুজো এগিয়ে এলেই বেড়ে যায় গ্রাম বাংলার চিঁড়ের কদর।
আরও পড়ুন: আখ চাষ করে বিপুল ক্ষতির মুখে চাষিরা
বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোর সময় আজও গ্রাম বাংলায় তৈরি হতে দেখা যায় চিঁড়ের বিভিন্ন রকমারি পদ। সেই জন্য পুজোর আগেই নিজেদের উৎপাদিত ধান ভাঙিয়ে চিঁড়ে মজুত করেন গ্রাম বাংলার মানুষ। নিশিগঞ্জ এলাকার এক চিঁড়ে মিলের মালিক ছত্রধর দেব সিংহ এই বিষয়ে জানান, সারাবছর ধরেই বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকার মিলগুলিতে চিঁড়ে ভাঙনো হয়ে থাকে। তবে পুজোর আগে এই চিঁড়ে ভাঙানো মাত্রা বেড়ে যায় অনেকটাই। এই সময় গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ নিজেদের চাষ করা ধান ভাঙিয়ে চিঁড়ে মজুত করে রাখেন পুজোর জন্য। কৃষকেরা নিজেদের উৎপাদন করা ধান থেকে এই চিঁড়ে তৈরি করিয়ে নেন। যার ফলে এই চিঁড়ে স্বাদে এবং গুণগত দিক থেকে অনেকটা খাঁটি হয়।
advertisement
advertisement
চিঁড়ের মিলে চিঁড়ে ভাঙাতে আসা বৃদ্ধ সগেন বর্মন জানান, খাঁটি চিঁড়ে দিয়ে তৈরি মোয়া খেতে বেশ সুস্বাদু হয়। এই চিঁড়ে আবার এমনিও খাওয়া যায়। এই চিঁড়েতে পুষ্টিগুণ থাকে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই। কোচবিহার জেলার বিভিন্ন গ্রাম্য এলাকায় এখনও পর্যন্ত যে চিঁড়ের মিলগুলি আছে সেখানে অনেকেই আসেন চিঁড়ে ভাঙাতে। স্বর্ণ ধানের চিঁড়ের স্বাদ সবচেয়ে বেশি হয়।
advertisement
সার্থক পণ্ডিত
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
September 16, 2023 12:27 PM IST