#কোচবিহার : আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবাংলার একটি প্রান্তিক জেলা কোচবিহার। এই জেলায় রয়েছে একটি ক্যান্সার সেন্টার। দীর্ঘ সময় আগে কোচবিহারের একজন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা কমল গুহ দ্বারা এই সংস্থাটিকে স্থাপন করা হয়। ১৯৮৯ সালে এই সংস্থাটি স্থাপন করা হয় কোচবিহারের শালবাগান সংলগ্ন এলাকায়। এবং এটি উদ্বোধন করেছিলেন সেই সময়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। বর্তমানে একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এই সংস্থাটি। যেখান থেকে চিকিৎসার সুবিধা পেয়ে থাকেন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, নিম্ন অসমের একটি বড় অঞ্চলের মানুষ।
বর্তমানে এখানে প্রতি মাসে প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করতে আসেন। এছাড়াও এখানে মোট ৩৭ জন কর্মী কাজ করেন। পরিকাঠামোগত নানান সমস্যা থাকার কারণে কাজ করতে গিয়ে রীতিমত অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় এখানের এই কর্মীদের। যদিও কিছুদিন পূর্বে এই জায়গাটি একটি বেসরকারি সংস্থা পরিদর্শন করে। তারা তাদের এবং এই ক্যান্সার সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে এই জায়গাটির উন্নয়ন ঘটাতে আগ্রহী। তবে কিছু জমি জটিলতার কারণে থমকে রয়েছে পুরো বিষয়টি।
আরও পড়ুনঃ জমি বিবাদের জেরে পুলিশের উপর দাদাগিরি স্থানীয় নেতার
এখনকার কর্মীদের সকলের বক্তব্য, "যে সমস্যার ফলে বিষয়টি আটকে রয়েছে। সেই সমস্যা দ্রুত সমাধান করে যত তাড়াতাড়ি এখানের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব হবে। ততই তাড়াতাড়ি সাধারণ মানুষ আরোও ভালো পরিষেবা পাবেন এখান থেকে। আমরাও রোগীদের আরোও ভালো পরিষেবা দিতে পারব।" এখানে চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের সকলের বক্তব্য, "বর্তমানে এই জায়গাটি থেকে অনেকেই অনেক কম খরচে পরিষেবা পাচ্ছেন। এবং উপকৃত হচ্ছেন বহু মানুষ।
আরও পড়ুনঃ ঘর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ! মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য
তবে যদি এই জায়গাটির আরোও উন্নতি ঘটানো সম্ভব তবে অনেক ভালো হয়ে। ভালো পরিষেবা এবং উন্নত চিকিৎসা সকলেই চেয়ে থাকেন। তবে পরিস্থিতির কারণে হয়ে ওঠে না। তবে যদি এখানের উন্নয়ন ঘটানো হয়। তবে রোগীদের পাশাপশি এখনকার মানুষদের অনেক সুবিধা হবে।" কোচবিহারের বুকে একপ্রকার ধুঁকতে থাকা এই ক্যান্সার সেন্টারের উন্নয়ন যত তাড়াতাড়ি করা সম্ভব হবে। ততই ভবিষ্যৎ দিনের কোচবিহারের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরো উন্নত মানের হয়ে উঠবে।
Sarthak Panditনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Cooch behar