New Business Ideas: আদরের টেডি-কে ঘিরেই পল্লবিত হোক ব্যবসা! জেনে নিন খেলনা ব্যবসার নানা দিক!

Last Updated:

প্রাপ্তবয়স্ক বহু মানুষও মজেন টেডির প্রেমে। তাই ব্যবসা হিসেবে এই খেলনাকে বেছে নেওয়া নিতান্ত বুদ্ধিমানের কাজই হবে।

কলকাতা: প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার, একটি নরম তুলতুলে টেডি বিয়ার। খেলনা শৈশবের প্রতীক। বিনোদনের পাশাপাশি খেলনা কিন্তু মানসিক ও শারীরিক গঠনেও সহায়ক হতে পারে। আর টেডির মতো ‘সফট টয়’ তো বয়সের গণ্ডি ছাপিয়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক বহু মানুষও মজেন টেডির প্রেমে। তাই ব্যবসা হিসেবে এই খেলনাকে বেছে নেওয়া নিতান্ত বুদ্ধিমানের কাজই হবে। খেলনার ব্যবসার জন্য ভারত সরকার বিশেষ সুবিধা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি খেলনা ব্যবসাকে উন্নত করতে এবং ভারতের নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে কিছু পদক্ষেপ করেছে। ২০২০ সালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তরুণ ব্যবসায়ীদের খেলনা ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। ‘ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড ফ্যাসিলিটেশন এজেন্সি’-র করা এক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতে খেলনা শিল্পের বাজার প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার।
advertisement
advertisement
কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই এই খেলনার ব্যবসা নিয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে যাওয়া সম্ভব—
১. বাজার গবেষণা—
খেলনা তৈরির ব্যবসা শুরু করার আগে বাজার গবেষণা করা জরুরি। বাজারে কী ধরনের খেলনার চাহিদা রয়েছে তা জেনে নেওয়া দরকার। তথ্য পাওয়ার জন্য সরাসরি মাঠে নামতে হবে। অভিজ্ঞ কোনও দোকানের মালিকের থেকে জেনে নিতে হবে কোন খেলনার প্রতি আগ্রহ সব থেকে বেশি।
advertisement
অনলাইন বাজার সমীক্ষাও করা যেতে পারে। এর জন্য, গুগল ট্রেন্ডস, গুগল কনজিউমার সার্ভে ইত্যাদি মতো অনলাইন সোর্স ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাজেট কম হলে ফোরামের ওয়েবসাইট থেকে একটি নির্দিষ্ট শিল্প, পণ্য, পরিষেবা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে। এই ওয়েবসাইটগুলিতে, বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নে তাদের মতামত জানান সাধারণ মানুষ। Quora, Reddit-এর মতো ওয়েবসাইটে প্রশ্ন রেখেও মানুষের মতামত নেওয়া যায়।
advertisement
২. উদ্ভাবন—
খেলনার ব্যবসা শুরু করতে গেলে বিনিয়োগ সব নয়। বরং সৃজনশীলতাও গুরুত্বপূর্ণ। খেলনাটি অনন্য হলে পণ্যের চাহিদাও বেড়ে যাবে। বিশেষত সফট টয় ও টেডির ক্ষেত্রে নিজস্ব উদ্ভাবন করার প্রচুর জায়গা রয়েছে। এমনকী সফট টয়ের সঙ্গে রোবটিক খেলনার মিশেলেও নানা ধরনের খেলনা তৈরি হচ্ছে আজকাল।
advertisement
খেলনা তৈরির জন্য যে কাঁচামালের প্রয়োজন হবে তা পাইকারি বিক্রেতার থেকে কম দামে কিনে নেওয়া যেতে পারে। খেলনার প্রধান উপাদান পলিথিন, পলিপ্রোপিলিন, নাইলন দানা, পলিস্টাইরিন এবং পলিকার্বোনেট।
৩. বাজার খোঁজা—
ভারতে খেলনা ব্যবসা শুরু করার জন্য নির্দিষ্ট বাজারে সফল হতে গেলে কী করা উচিত তা জানতে হবে।
সফট টয়ের ক্ষেত্রে টেডির পাশাপাশি নানা ধরনের ভারতীয় চরিত্র নিয়ে আসা যেতে পারে বাজারের কথা ভেবে। পুরাণের নানা চরিত্র রাম, শিব, হনুমানের মূর্তি তৈরি করা যেতে পারে।
advertisement
৪. বিপণন—
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিপণন। প্রথমে স্থানীয় বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে খেলনা বিক্রি করা যেতে পারে। অথবা দোকানে গিয়েও বিক্রি করা যায়।
নিজের পণ্য সম্পর্কে একটি ব্যানার তৈরি করে পণ্য প্রচারের কথা ভাবা যেতে পারে।
বাস, রিকশা এবং অন্য গণপরিবণে পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে মালিকের সঙ্গে কথা বলে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এখন সব থেকে ভাল উপায়। এক্ষেত্রে নিজের ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল হ্যান্ডলকে কাজে লাগাতে হবে নিজের পণ্যের প্রচার করতে।
advertisement
অনলাইন গ্রুপগুলি এক্ষেত্রে খুবই ভাল ফল দেয়।
এছাড়া নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বা অন্য প্রতিষ্ঠিত ইউটিউবারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজের পণ্যের প্রচার করা সম্ভব।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
New Business Ideas: আদরের টেডি-কে ঘিরেই পল্লবিত হোক ব্যবসা! জেনে নিন খেলনা ব্যবসার নানা দিক!
Next Article
advertisement
পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার গুণমান নিয়ে কড়া নির্দেশ মুখ্য সচিবের, জেলাশাসকদের সতর্ক করল নবান্ন
পথশ্রী প্রকল্পে রাস্তার গুণমান নিয়ে কড়া নির্দেশ মুখ্য সচিবের, জেলাশাসকদের সতর্কতা
  • মুখ্য সচিব পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ রাস্তার গুণমান বজায় রাখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন.

  • ৯০০০ কিমি নতুন গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে বিশেষ নজর দেবে রাজ্য প্রশাসন.

  • জেলা ও রাজ্য স্তর থেকে বিশেষ টিম রাস্তাগুলির মান যাচাই করবে বলে নির্দেশ জারি হয়েছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement