কলকাতা: প্রতি বছরই মার্চ মাসে এসে শেষ হয়ে যায় বাৎসরিক আয় ব্যয়ের হিসেব। অথচ, সারা বিশ্বে নতুন বছর শুরু হয় ১ জানুয়ারি। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নতুন বছর শুরু হয় ১ বৈশাখ বা এপ্রিলের মাঝামাঝি। তাহলে ঠিক কেন ৩১ মার্চ শেষ হয় আর্থিক বছর আর নতুন বছর শুরু হয় ১ এপ্রিল থেকে, এটি একটি বড় প্রশ্ন।
তবে শুধু ভারতবর্ষ নয়। বরং বিশ্বের আরও অনেক দেশেই এই নিয়ম মানা হয়। তার মধ্যে রয়েছে কানাডা, যুক্তরাজ্য (ইউকে), নিউজিল্যান্ড, হংকং ও জাপান। কিন্তু কেন এই প্রথা? দেখে নেওয়া যাক বিশেষজ্ঞরা কী মনে করেন—
১. ব্রিটিশ শাসনের উত্তরাধিকার
মূলত ব্রিটিশরাই এই ধারণার বাহক। ১৫০ বছরেরও বেশি সময় উপনিবেশ থাকার ফলে ভারতেও সেই ধারণা বাহিত হয়েছে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীনে থাকার সময় ভারতেও এপ্রিল থেকে মার্চ পর্যন্ত আর্থিকবর্ষ গণনা শুরু হয়।
স্বাধীনতার পরও, ভারত সরকার এই পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনেনি।
২. আঞ্চলিক নতুন বছর
তবে শুধু ব্রিটিশ শাসনের জন্যই নয়। ১ এপ্রিল 'হিন্দু উৎসব' বা হিন্দু নববর্ষের সঙ্গেও মিলে যায়।
আরও পড়ুন: SIP নিয়ে চিন্তিত! কোন পরিস্থিতিতে বন্ধ করে দেবেন বিনিয়োগ, দেখে নিন!৩. কৃষির প্রভাব
ভারত কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের আয়ের মূল উৎসই প্রাথমিক ভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসেই অনুমান করা যায় ফসল তোলার পর কতটা আয় হতে পারে। দুই মাসের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করেই সরকার একটা ধারণা তৈরি করতে পারে রাজস্ব বাড়বে, না কমবে।
৪. উৎসব
ভারতে পালিত নানা উৎসব থাকে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত। তা সে দুর্গাপুজো, দীপাবলি হোক বা ক্রিসমাস। এই সময়ের মধ্যেই খুচরো বিক্রেতা ব্যবসার সেরা সময়। ফলে ডিসেম্বর মাসে অর্থবর্ষ পরিসমাপ্তি ঘোষণা করলে নানা ধরনের অসুবিধা হতে পারত। তাই এই উৎসব মরশুম পেরিয়ে তাই মার্চ মাসটিকে আর্থিক বছরের বন্ধের মাস হিসাবে পছন্দ করা হয়। ডিসেম্বর নয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Investment and Returns