West Bardhaman News: আবর্জনাতেই লুকিয়ে আয়ের চাবিকাঠি! অবিশ্বাস্য হলেও করে দেখাচ্ছে প্রতাপপুর পঞ্চায়েত, প্রতিমাসে আসছে হাজার হাজার টাকা
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Dipika Sarkar
Last Updated:
West Bardhaman News: বর্জ্য পদার্থ থেকে প্রতিমাসে ওই পঞ্চায়েতের আয় হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। শুধু এই প্রজেক্টের ফলে অনেকেই রোজগারের দিশাও খুঁজে পেয়েছেন।
দুর্গাপুর, দীপিকা সরকার: বাড়ি বাড়ি সংগ্রহ করা পচনশীল বর্জ্য পদার্থ থেকেই ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করছে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এর ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ রোধ হচ্ছে, অন্যদিকে একটি মাসিক আয়ও হচ্ছে বলে দাবি পঞ্চায়েতের। ওই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পদার্থ আলাদা আলাদা করে সংগ্রহ করা হয়। সমগ্র এলাকা ঘুরে সংগৃহীত বিপুল পরিমাণ পচনশীল বর্জ্যকে কাজে লাগিয়ে কুইন্ট্যাল কুইন্ট্যাল কেঁচো সার উৎপাদন হচ্ছে প্রতাপপুর পঞ্চায়েতে। উৎপাদিত সার বাজারজাত করে স্বনির্ভর হচ্ছে পঞ্চায়েত। বিগত ১০ বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে এই কাজটি করে আসছে ওই পঞ্চায়েত। ওই বর্জ্য পদার্থ থেকে মাসে প্রায় তিন থেকে চার কুইন্টাল সার উৎপাদন হয়। যার ফলে প্রতিমাসে ওই পঞ্চায়েতের আয় হয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা।
পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি ওই বর্জ্য সংগ্রহ করাই এলাকার প্লাস্টিক দূষণও কমেছে বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৫ অর্থ বর্ষে প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পঞ্চায়েত থেকে বাড়িতে বাড়িতে ভ্যানে করে পচনশীল বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করা শুরু হয়। পাশাপাশি শুরু হয় ওই বর্জ্য পদার্থের মধ্যে পচনশীল বর্জ্য পদার্থ আলাদা করে সার তৈরির জন্য ব্যবহার করার কাজ। এক বিশেষ প্রজাতির কেঁচো ব্যবহার করে দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় জৈব সার।প্রথমে পচনশীল বর্জ্য একত্রিত করে কিছুটা পচানো হয়। এরপর বিশেষ পদ্ধতিতে বর্জ্য থেকে জল নিষ্কাশন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টন টন মাটি! ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি জয়চণ্ডীতে
advertisement
তারপর বেড তৈরি করে সেখানে সেই বর্জ্য পদার্থ ছড়িয়ে কেঁচো ছেড়ে তার ওপর গোবর দেওয়া হয়। এক মাসের মধ্যেই কেঁচো সেইসব খেয়ে পাচনক্রিয়ার মাধ্যমে ভার্মি তৈরি করে। এছাড়াও ওই প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কঠিন বর্জ্য পদার্থের নিরাপদ নিষ্কাশন প্রকল্পের মাধ্যমে মিলছে একাধিক কর্মসংস্থানও। প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বড়গড়িয়া এলাকায় গড়ে উঠেছে ওই কঠিন বর্জ্য পদার্থের নিরাপদ নিষ্কাশন প্রকল্প। মিশন ‘নির্মল পঞ্চায়েত’ গড়ে তুলতে প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগ।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়গড়িয়া, খাটগড়িয়া, কাঁটাবেরিয়া-সহ আশপাশের গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে সবজির খোসা, ব্যবহৃত খাবার-সহ বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থগুলি সংগ্রহ করে ভ্যানে করে নিয়ে আসা হয়। একাধিক প্রক্রিয়াকরণে উৎপন্ন এই জৈব সারের বেশ ভাল চাহিদা রয়েছে চাষাবাদে বলে দাবি পঞ্চায়েতের। সেই জৈব সার ব্যবহার করে পঞ্চায়েতের উদ্যানে ফলেছে সবজি, রকমারি ফল। সেই সবজি সরকারি ভাবে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও পৌঁছে যাচ্ছে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সব লেটেস্ট খবর ( Business News in Bengali) নিউজ 18 বাংলা-তে পেয়ে যাবেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের টিপস (সেভিংস ও ইনভেস্টমেন্ট টিপস) ব্যবসার উপায়ও জানতে পারবেন। দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Durgapur,Barddhaman,West Bengal
First Published :
December 10, 2025 3:39 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
West Bardhaman News: আবর্জনাতেই লুকিয়ে আয়ের চাবিকাঠি! অবিশ্বাস্য হলেও করে দেখাচ্ছে প্রতাপপুর পঞ্চায়েত, প্রতিমাসে আসছে হাজার হাজার টাকা






