নতুন গাড়ি কিনেছেন? বিমার প্রিমিয়াম কমানোর ১০ কৌশল জেনে নিন!

Last Updated:

মোটর বিমা পলিসি গাড়ির মালিককে গাড়ির যে কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

#নয়াদিল্লি: গাড়ি কিনলে তার গায়ে চাপাতে হয় রক্ষাকবচ। অর্থাৎ গাড়ির বিমা। প্রতিদিন রাস্তায় নামে লক্ষ লক্ষ গাড়ি। তাই জীবনের অনিশ্চয়তা থাকেই। এখানেই আসে বিমার গুরুত্ব। মোটর বিমা পলিসি গাড়ির মালিককে গাড়ির যে কোনও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। সাধারণত দু’ধরনের বিমা হয় - তৃতীয় পক্ষ এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা।
কোনও কারণে গাড়ির ক্ষতি সাধন হলে বা গাড়ির দ্বারা তৃতীয় পক্ষের কারও ক্ষতি হলে গাড়ির মালিককে অথবা তৃতীয় পক্ষকে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি আইন অনুযায়ী যে আর্থিক সহায়তা দেয়, সেটাই মোটর ইনস্যুরেন্স। তৃতীয় পক্ষের বা থার্ড পার্টি মোটর ইনস্যুরেন্স সকল গাড়ি মালিকের জন্য আবশ্যক। এই প্রসঙ্গে রিলায়েন্স জেনারেল ইনস্যুরেন্সের সিইও রাকেশ জৈন বললেন, ‘মোটর ভেহিক্যাল ড্যামেজ রিস্কের আওতায় থার্ড পার্টি বিমা বাধ্যতামূলক। এর প্রিমিয়ামও স্থির করে দেওয়া হয়েছে। কী কী কভারেজ মিলবে তার উপর প্রিমিয়ামের অঙ্ক নির্ধারিত হবে’। বিমার প্রিমিয়াম কমানোর কিছু কৌশল আছে, সেগুলিই দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
advertisement
advertisement
১। পে অ্যাজ ইওর ড্রাইভ ইনস্যুরেন্স: ভারতীয় অটো ইন্ডাস্ট্রিতে এটা নতুন। ২০২০ সালে রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স গাইডলাইনের আওতায় এই বিমা আনা হয়েছে। এর সুবিধে হল, কত কিলোমিটার গাড়ি চালানো হচ্ছে তার উপর বিমার প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয়। উইক এন্ডে বা মাঝে মধ্যে গাড়ি নিয়ে যারা বেরোন তাঁদের জন্য এই বিমা আদর্শ। কারণ কম মাইলেজ মানে কম প্রিমিয়াম।
advertisement
২। সমস্ত অ্যাড-অন কভার কেনার দরকার নেই: বেস কভার দিয়ে সব ক্ষতিপূরণ মেলে না। অ্যাড-অন কভারের বিস্তৃতি বাড়ায়, সঙ্গে বাড়ে প্রিমিয়ামের অঙ্কও। তাই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অ্যাড-অন নিতে হবে। পলিসিবাজার ডট কমের মোটর ইনস্যুরেন্সের প্রধান অশ্বিনী দুবের কথায়, ‘প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাড-অন বাছাই করতে হয়। বন্যার সময় ডুবে যায় এমন এলাকায় যারা থাকেন না তাঁদের ইঞ্জিন সুরক্ষা কভারের কোনও প্রয়োজন নেই’। ইনস্যুরেন্স দেখ-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অঙ্কিত আগরওয়ালের মতে, ‘অনেক অ্যাড-অন আছে, যেগুলি কম গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু খরচ অন্যদের মতোই’।
advertisement
৩। গাড়িতে খুব বেশি পরিবর্তন বা আপগ্রেড না করাই ভালো: সিএনজি কিট বসানো হোক কিংবা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ইনস্টল করা, অনেকেই গাড়ি কেনার পর তা মনের মতো করে আপগ্রেড করেন। এই পরিবর্তনগুলি বিমা কোম্পানিকে জানাতে হয়। নাহলে পরে বিমার সুবিধা নাও মিলতে পারে। অ্যালিয়ান্স ইনস্যুরেন্স ব্রোকার এবং এলিফ্যান্ট ডট ইনের প্রতিষ্ঠাতা আতুড় থাক্কর বলছেন, ‘চাকায় বদল আনলে বা গাড়ির ভিতরে দামি ছবি রাখলে চুরির সম্ভাবনা বাড়ে। ইঞ্জিনে পরিবর্তন করলে প্রিমিয়াম বেড়ে যায়’।
advertisement
৪। ছোট ক্ষতিতে দাবি না করাই ভালো: হয় তো গাড়ি ঘষা খেয়েছে বা ছোট স্ক্র্যাচ পড়েছে, এসব ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের দাবি না করাই ভালো বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, বিমা পুনর্নবীকরণের সময় ‘নো ক্লেইম বোনাস’ থাকে। মেয়াদকালের মধ্যে যদি গ্রাহক কোনও ক্ষতিপূরণ দাবি না করে তাহলে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পর্যন্ত বোনাস দেয় বিমা কোম্পানি। বিমার মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে পুনর্নবীকরণ করলে এই বোনাস পাওয়া যায়। সুতরাং ২০০০ টাকা পকেট থেকে দিয়ে যদি পরের বছর ৬০০০ টাকার বোনাস পাওয়া যায়, তাহলে সেটাই বেশি লাভজনক।
advertisement
৫। অ্যান্টিথেফট ডিভাইস ইনস্টল করতে হবে: গাড়ির প্রিমিয়াম কমানোর একটা সহজ উপায় হল গাড়ি চুরি যাওয়ার ঝুঁকি কমানো। নিরাপত্তা যত বেশি প্রিমিয়াম তত কম। তাই গিয়ার লক, অ্যান্টিথেফট অ্যালার্ম, স্টিয়ারিং লকের মতো ডিভাইস ইনস্টল করাই বাঞ্ছনীয়।
৬। নিজের উপর আত্মবিশ্বাস: বিমা কভার পাওয়ার আগে গ্রাহক পকেট থেকে যে টাকা প্রদান করে তা মিটিয়ে দেওয়া হয়। তাই গ্রাহক যদি নিজের ড্রাইভিং দক্ষতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী হন বা খুব ঘন ঘন গাড়ি না চালান, তাহলে প্রিমিয়াম কমিয়ে আনার এটা অন্যতম উপায় হতে পারে।
advertisement
৭। কোনও অটো অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে: অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের মতো নিবন্ধিত সংস্থার সদস্য হলে গাড়ির প্রিমিয়ামে নির্দিষ্ট ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
৮। পুরনো গাড়ির জন্য শুধুমাত্র থার্ড পার্টি কভার: গাড়ির ধাক্কায় অন্য কোনও গাড়ি, সম্পত্তির ক্ষতি হতে পারে, কেউ জখম বা কারও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে- সে কথা মাথায় রেখেই এই বিমার জন্ম। এখন কারও গাড়ি যদি খুব পুরনো হয়, এবং তা শীঘ্রই বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে শুধুমাত্র থার্ড পার্টি লায়াবিলিটি কভার নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যানের থেকে এটা অনেক সস্তা।
৯। নতুন গাড়ির এনসিবি স্থানান্তর: যদি গ্রাহক ৬-৭ বছরের মধ্যে নো ক্লেইম বোনাস পেয়ে থাকেন এবং নতুন গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করেন, তাহলে পুরনো বিমা পলিসির এনসিবি নতুন গাড়ির বিমাতে স্থানান্তর করলে প্রিমিয়ামের টাকা অনেকটা কমে যাবে।
১০। সময়ে প্রিমিয়াম ভরতে হবে, বিমা নিতে হবে অনলাইনে: প্রিমিয়ামের টাকা কমানোর এই দুটি সহজ উপায়। ইনস্যুরেন্স নিতে হবে অনলাইনে। সঙ্গে সময়ে প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
নতুন গাড়ি কিনেছেন? বিমার প্রিমিয়াম কমানোর ১০ কৌশল জেনে নিন!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement