Investing In Foreign Markets: ভারতে বসে বিদেশের স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চান? জেনে রাখুন ট্যাক্সের নিয়ম!
- Published by:Rachana Majumder
Last Updated:
Stock Market: রুপির অবমূল্যায়ন হলে বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগের মূল্য বৃদ্ধি পায়। ফলে বিনিয়োগকারীরা দ্বিগুণ সুবিধা পান।
#নয়াদিল্লি: এতদিন দেশের শেয়ার বাজারেই (Share Market) টাকা খাটিয়েছেন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু শুধু দেশেই কেন। বরং দেশে বসেই বিদেশের বাজারেও (Investing In Foreign Markets) বিনিয়োগ করা যায়। এতে পোর্টফোলিওর বৈচিত্র তো বাড়েই সঙ্গে থাকে আরও সুবিধা। দেশের বাজারে কোনও শেয়ারের দর নামলে বিদেশের বাজারেও তেমনটা হবে এমন নয়। আরেকটা সুবিধা হল, টাকার ওঠানামার ঝুঁকি থাকে না। বিনিয়োগকারীরা ডলারে রিটার্ন পান। রুপির অবমূল্যায়ন হলে বৈদেশিক মুদ্রায় বিনিয়োগের মূল্য বৃদ্ধি পায়। ফলে বিনিয়োগকারীরা দ্বিগুণ সুবিধা পান।
ভারতীয়রা বিভিন্ন দেশের শেয়ার বাজারেই বিনিয়োগ করতে পারেন। কিন্তু অধিকাংশ ভারতীয়ই নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ (New York Stock Exchange) বা নাসডাকে (NASDAQ) বিনিয়োগ করতেই পছন্দ করেন। কারণ, এটাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শেয়ার বাজার। দেশি বা বিদেশি এজেন্টের মাধ্যমে একটি ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট (Brokerage Account) খুললেই যে কোনও ভারতীয়ের কাছে অ্যাপল (Apple), টেসলা (Tesla) বা মেটার (Meta) মতো কোম্পানিতে বিনিয়োগের দরজা খুলে যায়। বিদেশি শেয়ার বাজারে আড়াই লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। তবে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই।
advertisement
advertisement
কীভাবে বিদেশের বাজারে বিনিয়োগ করতে হয়
দুই ভাবে বিদেশের বাজারে বিনিয়োগ করা যায় (Investing In Foreign Markets)। প্রথমত, মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে। দ্বিতীয়ত, সরাসরি বিদেশি স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে শেয়ার কিনে।
মিউচুয়াল ফান্ডে বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নানা ধরনের ফান্ড রয়েছে। ভারতে অনেক আন্তর্জাতিক মিউচুয়াল ফান্ডও রয়েছে। এখানে সরাসরি ভারতীয় মুদ্রায় বিনিয়োগ করা যায়। এ জন্য ফরেন এক্সচেঞ্জের হ্যাপা পোহাতে হবে না। দিতে হবে না বাড়তি চার্জও। একজন বিনিয়োগকারী মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে যত খুশি বিনিয়োগ করতে পারেন।
advertisement
কত ট্যাক্স দিতে হবে
বিদেশি বাজারে বিনিয়োগের আগে ট্যাক্সের নিয়মগুলি জেনে রাখা জরুরি। সেখানে আয়ের উপর কতটা এবং কীভাবে কর আরোপ করা হবে সেটা বুঝতে হবে। ওয়েস্টেড ফিনান্স, ইউএস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (US Securities and Exchange Commission -SEC) সঙ্গে নিবন্ধিত বিনিয়োগ উপদেষ্টারা জানাচ্ছেন, ২৪ মাসের বেশি সময় ধরে রাখা কোনও স্টক ২০ শতাংশ হারে বিক্রি করা হয়। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ কর আরোপ করা হয়। সঙ্গে দিতে হয় সারচার্জ এবং ফি।
advertisement
ইটিএফ-এর জন্য এই সীমা ৩৬ মাস। ২৪ মাসের আগে বিক্রি করা হলে আয়কর স্ল্যাব অনুযায়ী স্বল্পমেয়াদি মূলধন লাভ কর দিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লভ্যাংশের উপর ২৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। ব্রোকারেজ বাদ দিয়ে বাকি ৭৫ শতাংশ পান বিনিয়োগকারীরা। এই প্রসঙ্গে ট্যাক্সবাডি ডট কম (Taxbuddy.com) নামের অনলাইন পোর্টালের প্রতিষ্ঠাতা সুজিত বাঙ্গার বলছেন, ‘আমেরিকা বা অন্যান্য দেশে ইক্যুইটিতে বিনিয়োগের জন্য কোনও নির্দিষ্ট হারের কর নেই। বিদেশি হোল্ডিংগুলিও সোনার মতো একটা সম্পদ। যার জন্য নিয়ম অনুসারে কর দিতে হয়। নিজের কাছে বিদেশি সম্পদ রাখলে তার তথ্য আয়কর রিটার্নে জানাতে হবে’।
advertisement
উত্তরাধিকার সূত্রে শেয়ার পেলে
কেউ যদি উত্তরাধিকার সূত্রে বিদেশি শেয়ার পান, তাহলে কি তাঁকে কর দিতে হবে? এর উত্তরে বাঙ্গার বলছেন, একজন ভারতীয় যদি বৈশ্বিক তহবিল ইত্যাদির মাধ্যমে বিদেশি সম্পদে বিনিয়োগ করে, তাহলে এই ধরনের বিনিয়োগের উপর উত্তরাধিকার কর বা এস্টেট শুল্ক দিতে হবে না। যদি ব্যক্তিগত ক্ষমতায় কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেয়ার কেনেন তাহলে তাঁকে ইনহেরিট ট্যাক্স (Inherits Tax) দিতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী আমেরিকায় প্রদত্ত ট্যাক্সের উপর ভারতে ক্রেডিট নিতে পারেন। কারণ, ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে এই বিষয়ে চুক্তি রয়েছে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সব লেটেস্ট খবর ( Business News in Bengali) নিউজ 18 বাংলা-তে পেয়ে যাবেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের টিপস (সেভিংস ও ইনভেস্টমেন্ট টিপস) ব্যবসার উপায়ও জানতে পারবেন। দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
February 25, 2022 7:38 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Investing In Foreign Markets: ভারতে বসে বিদেশের স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চান? জেনে রাখুন ট্যাক্সের নিয়ম!