আবাসন শিল্পে ত্রাণ! ২০২৩ কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে কী প্রত্যাশা করছেন বিশেষজ্ঞরা, দেখে নিন এক নজরে
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
দেশের তাবড় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার শুধু নয়, অন্য শিল্প স্টেকহোল্ডাররাও কর ছড়ারের উর্ধ্বসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই।
নয়াদিল্লি: রিয়েল এস্টেট ব্যবসা তাকিয়ে রয়েছে আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটের দিকে। দেশের তাবড় রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার শুধু নয়, অন্য শিল্প স্টেকহোল্ডাররাও কর ছড়ারের উর্ধ্বসীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই। তবে মনে করা হচ্ছে আবাসন শিল্পে ক্রেতারা আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে আরও বেশি কিছু আশা করতে পারেন।
২০১৪ সালে এই ধরনের সংশোধন সর্বশেষ কার্যকর হয়েছিল। সে বার গৃহঋণের মূল পরিমাণের উপর আয়কর আইনের ধারা ৮০সি অনুসারে বার্ষিক দেড় লক্ষ টাকা ছাড়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে বাড়ির দাম বাড়তে শুরু করায়, স্টেকহোল্ডাররা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কাছে বার্ষিক মূল পরিমাণের উপর ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে ৪ লক্ষ টাকা করার জন্য আবেদন করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
বর্তমানে আয়কর আইন ১৯৬১-এর ৮০সি ধারার অধীনে হাউজিং লোনের মূল্যের উপর ছাড়ের সীমা বার্ষিক ১.৫ লক্ষ টাকা। এটি বৃদ্ধি করে ৪ লক্ষ টাকা করাই শুধু নয়, বরং ৮০সি ধারার বাইরে নিয়ে যাওয়ারও একটি দাবি রয়েছে। কারণ ৮০সি-র আওতায় এলআইসি, পিপিএফ-এর মতো বিষয়গুলিও জড়িয়ে থাকে। তা থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
advertisement
advertisement
তাঁদের দাবি, এই ধরনের পদক্ষেপ করা হলে আবাসন ক্ষেত্রে ক্রয় ক্ষমতা উন্নত হতে পারে। গৃহঋণ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও বেশ খানিকটা উৎসাহ দান করা সম্ভব হবে সরকারের পক্ষ থেকে৷ এর ফলে পরোক্ষে বিনিয়োগকারীদেরও খানিকটা উৎসাহ দেওয়া যাবে। প্রকৃতপক্ষে বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগ বিকল্পের অভাব নেই। গৃহঋণের মূল পরিমাণে একচেটিয়া কর ছাড়ের সুবিধা না থাকলে তাঁরাও আবাসন ক্রয়ের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন - ব্রাইটনেস ভলিউম ফুল রেখে স্মার্টফোন দেখেন? অজান্তেই বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ডেকে আনছেন
আবাসন শিল্পের উদ্যোক্তারা গৃহঋণে সুদের উপর ছাড়ের সীমাও বার্ষিক ২ লক্ষ টাকার বর্তমান স্তর থেকে বাড়ানোর কথা বলছেন। গত এক বছরে বাড়ির দাম বেশ খানিকটা বেড়েছে।
বেসরকারি এক সংস্থার দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে নির্মাণ ব্যয় ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে আবাসনের দামও বেড়েছে। হিসেব বলছে, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সাতটি প্রধান শহরে বাড়ির ১০ থেকে ৩১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো ক্রমাগত বাড়ছে গৃহ ঋণের সুদের হার। তথ্য বলছে, গত মে মাস থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বৃদ্ধি করায় গৃহ ঋণে সুদের হার ২.২৫ শতাংশ বেড়েছে। ফলে ক্রয়ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন বছর পর আয় এবং ইএমআই-য়ের অনুপাতে ভারসাম্য হারাচ্ছে।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবাসন ক্রেতাদের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্যও কর ব্যবস্থায় নমনীয়তা আনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন। সেই অনুযায়ী তাঁদের দাবি, আয়কর আইনের ২৪ নম্বর ধারার অধীনে হাউজিং লোনের সুদের উপর ২ লক্ষ টাকার কর ছাড়ের বিষয়টি বাড়িয়ে কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা করা দরকার। এতে আবাসনের চাহিদা বেশ খানিকটা বাড়বে বলেই তাঁদের বিশ্বাস, বিশেষত সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসনের ক্ষেত্রে।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সব লেটেস্ট খবর ( Business News in Bengali) নিউজ 18 বাংলা-তে পেয়ে যাবেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের টিপস (সেভিংস ও ইনভেস্টমেন্ট টিপস) ব্যবসার উপায়ও জানতে পারবেন। দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 30, 2023 2:27 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
আবাসন শিল্পে ত্রাণ! ২০২৩ কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে কী প্রত্যাশা করছেন বিশেষজ্ঞরা, দেখে নিন এক নজরে