নিয়ম ভাঙার অভিযোগে গাড়ি আটকে চাবি কেড়ে নিচ্ছে পুলিশ, এটা কি আইনসম্মত? জানুন ট্রাফিক আইনের খুঁটিনাটি

Last Updated:

রাস্তায় নিয়ম লঙ্ঘনকারী গাড়ি আটকে বহু পুলিশকর্মী বিনা অনুমতিতে গাড়ির চাবি নিয়ে নেন। এখানেই শেষ নয়, গাড়ির মালিকের উপর জুলুম করতে কিছু পুলিশকর্মী আবার টায়ারের হাওয়া বার করে দেন। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের কি এই ধরনের আচরণ ঠিক?

রাস্তায় চার চাকা অথবা মোটরসাইকেল চালানোর সময় ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক সময় তাড়াহুড়ো কিংবা নানা কারণে অনেকেই অনিচ্ছাকৃত ভাবে ট্রাফিক নিয়মের অমান্য করে ফেলেন। আর ট্রাফিক আইনের ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যকীয় নিয়মগুলির মধ্যে অন্যতম হল - হেলমেট পরা, গাড়ির সিট বেল্ট বাঁধা, লাল বাতি পার হওয়া প্রভৃতি। যদি কেউ এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তা-হলে ট্রাফিক পুলিশ সেই গাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থা নিতে পারে।
কিন্তু এ-ক্ষেত্রে আবার একটা সমস্যাও রয়েছে! আসলে অনেক সময় আবার ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেই গাড়ির মালিককে হেনস্থা বা জুলুমবাজির অভিযোগ শোনা যায়। যেমন - রাস্তায় নিয়ম লঙ্ঘনকারী গাড়ি আটকে বহু পুলিশকর্মী বিনা অনুমতিতে গাড়ির চাবি নিয়ে নেন। এখানেই শেষ নয়, গাড়ির মালিকের উপর জুলুম করতে কিছু পুলিশকর্মী আবার টায়ারের হাওয়া বার করে দেন। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশের কি এই ধরনের আচরণ ঠিক? কিংবা ট্রাফিক আইনে কি ট্রাফিক পুলিশদের এই ধরনের কাজ করার অনুমতি রয়েছে? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ট্রাফিক আইন সম্পর্কিত সমস্ত খুঁটিনাটি।
advertisement
ট্রাফিক আইন:
advertisement
গাড়ি চেকিং করার সময় ট্রাফিক পুলিশ কোনও গাড়ির চাবি কেড়ে নিতে পারেন না। ট্রাফিক পুলিশ গাড়ির টায়ারের হাওয়াও বার করে দিতে পারেন না। কোনও ট্রাফিক পুলিশকর্মী যদি এই ধরনের কাজ করে থাকেন, তা-হলে তিনি আইন-বিরুদ্ধ কাজ করছেন। ট্রাফিক আইন অনুযায়ী, কোনও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা কিংবা গাড়ির মালিককে অ্যারেস্ট করার অধিকার নেই এক জন কনস্টেবলের। ইন্ডিয়ান মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট ১৯৩২ অনুসারে, কোন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর অথবা তার উপরের র‍্যাঙ্কের অফিসারই শুধুমাত্র চালান কাটতে পারেন। এ-ক্ষেত্রে কনস্টেবল শুধু তাঁকে সাহায্য করতে পারেন।
advertisement
গাড়ির চাবি কেড়ে নিতে পারেন না কনস্টেবল:
শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি কোনও ট্রাফিক কনস্টেবল গাড়ির চাবি কেড়ে নিতে পারবেন না। এমনকী গাড়ির টায়ারের হাওয়া বার করে দেওয়ারও কোনও অধিকার তাঁর থাকে না। এ-ছাড়াও গাড়ি চেকিং করার সময় গাড়ির মালিকের সঙ্গে কোনও রকম দুর্ব্যবহার করারও অধিকার নেই কনস্টেবলের। যদি কোনও ট্রাফিক কনস্টেবল গাড়ির মালিকের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করেন, তা-হলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যেতে পারে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে।
advertisement
এই নিয়ম মেনে চলা দরকার:
রাস্তায় গাড়ি চেকিংয়ের সময় ট্রাফিক পুলিশদের সব সময় ইউনিফর্ম পরা আবশ্যক। যদি কোনও পুলিশকর্মী তা না-পরে থাকেন, তা-হলে তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারেন গাড়ির মালিক। তবে সেই সময় যদি ওই পুলিশকর্মী নিজের পরিচয়পত্র দেখাতে আপত্তি করেন, তা-হলে গাড়ির মালিকেরও নিজের গাড়ির বৈধ কাগজপত্র দেখানো উচিত নয়। চালান কাটার সময় সব সময় পুলিশের কাছেহাতে চালান বুক অথবা ই-চালান মেশিন থাকা জরুরি। এই দুটো যদি পুলিশের কাছে না-থাকে, তাহলে তিনি চালান কাটতে পারবেন না। যদি পুলিশ গাড়ির মালিকের বৈধ কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে, তা-হলে সেই রশিদ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
ব্যবসা-বাণিজ্যের সব লেটেস্ট খবর ( Business News in Bengali) নিউজ 18 বাংলা-তে পেয়ে যাবেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত অর্থ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের টিপস (সেভিংস ও ইনভেস্টমেন্ট টিপস) ব্যবসার উপায়ও জানতে পারবেন। দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর অনলাইনে নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভি-তে ৷ এর পাশাপাশি ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ সব খবরের আপডেট পেতে ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
নিয়ম ভাঙার অভিযোগে গাড়ি আটকে চাবি কেড়ে নিচ্ছে পুলিশ, এটা কি আইনসম্মত? জানুন ট্রাফিক আইনের খুঁটিনাটি
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement