ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে বীমাই ভরসা, কোভিড পরবর্তী সময় নিয়ে মানুষ কী ভাবছেন ? জানাল সমীক্ষা

Last Updated:

এই অতিমারির ফলে অনেকেই ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করে রাখার প্রয়োজন উপলব্ধি করেছেন।

#কলকাতা: ফিনান্সিয়াল ইমিউনিটি সম্পর্কে বিস্তারিত সমীক্ষার ফল প্রকাশ করল এসবিআই লাইফ ৷ কোভিড পরবর্তী দুনিয়ায় গ্রাহকদের প্রবণতার আঁচ পেতে এই সমীক্ষা অত্যন্ত মূল্যবান ৷
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফলাফলগুলি হল এইরকম:
~ ১০ জন ভারতীয়ের মধ্যে ৮ জনের (৭৮%) স্থির বিশ্বাস মানসিক চাপ / উদ্বেগ শারীরিক ও মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে ৷
advertisement
~ ৫০% এর বেশি ভারতীয় জীবনযাত্রার কারণে যেসব অসুখ হয় সেগুলোর ফলে হঠাৎ অর্থের প্রয়োজন পড়লে তা মেটানোর জন্য প্রস্তুত নন ৷
advertisement
~ আর্থিক দুশ্চিন্তার ৩ টি সর্বোচ্চ কারণ:
1. জটিল অসুখগুলোর জন্য আর্থিক নিরাপত্তা
2.পরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রাজনিত অসুখ বা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া
3. চাকরি বা রোজগার হারানো
~ ১০ জন ভারতীয়ের মধ্যে ৮ জন (৮০%) মনে করেন জীবন বীমা করানো মানে ‘পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখা’ ৷
~ ১০ জন ভারতীয়ের মধ্যে ৬ জনেরও বেশি (৬১%) ক্রমবর্ধমান চিকিৎসার খরচ সামলাতে এবং পরিবারের উপর আর্থিক চাপ এড়াতে জটিল রোগের জন্য আলাদা প্ল্যান / কভার কিনেছেন বা কিনবেন ঠিক করেছেন ৷
advertisement
~ জটিল রোগের জন্য বিমা করা নেই এমন ১০ জন ভারতীয়ের মধ্যে ৭ জন (৭৫%) আগামী তিন মাসের মধ্যেই তেমন পলিসি কিনবেন ঠিক করেছেন ৷
দেশের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য জীবন বীমা সংস্থার অন্যতম, এসবিআই লাইফ ইনস্যুরেন্স , এক বিস্তারিত গ্রাহক সমীক্ষা করেছে। এই সমীক্ষা থেকে কোভিডোত্তর দুনিয়ায় ফিনান্সিয়াল ইমিউনিটি সম্বন্ধে গ্রাহকরা কী ভাবছেন, সে ব্যাপারে গভীরভাবে ভাবনা চিন্তা করার রসদ পাওয়া যাবে। এস বি আই লাইফ, দ্য নিয়েলসেন কোম্পানিকে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং কনজিউমার অ্যাটিচিউড টুওয়ার্ডস ফিনান্সিয়াল ইমিউনিটি’ সমীক্ষা করতে বলেছিল। দ্য নিয়েলসেন ভারতবর্ষ চষে ফেলে ১৩ টা প্রধান শহরের ২,৪০০ র বেশি গ্রাহকের সাথে কথা বলেছে।
advertisement
স্বাভাবিকভাবেই কোভিড-১৯ এর প্রকোপে শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার কথাই সবাই বেশি করে ভাবছে। প্রায় সব উত্তরদাতাই বলেছেন তাঁরা শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপরে আগের চেয়েও বেশি জোর দিচ্ছেন। ১০ জনের মধ্যে ৮ জন ভারতীয়ই জানেন যে ‘স্ট্রেস’ শারীরিক ও মানসিক, দুরকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই কমিয়ে দেয়।
মানসিক চাপের বিষয়টাকে আরও গভীরে গিয়ে বোঝার জন্য এই সমীক্ষা গ্রাহকদের সর্বাধিক আর্থিক দুশ্চিন্তাগুলো কী কী তা জানতে চেয়েছে। যে তিনটে কারণ সবচেয়ে উপরে রয়েছে সেগুলো হল (১) জটিল রোগের জন্য আর্থিক সুরক্ষা, (২) পরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রাজনিত অসুখ বা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়া এবং (৩) চাকরি বা রোজগার হারানো। এই কারণগুলো থেকে জীবনযাত্রাজনিত অসুখের খরচ সামলানোর চাপের কথা জোরালোভাবে উঠে আসে। চিন্তার বিষয় ৫০% এর বেশি ভারতীয় জীবনযাত্রাজনিত অসুখের ফলে হঠাৎ তৈরি হওয়া আর্থিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য প্রস্তুত নন।
advertisement
অবশ্য আশার কথা, এই অতিমারির ফলে অনেকেই ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করে রাখার প্রয়োজন উপলব্ধি করেছেন। জটিল রোগের জন্য বিমা করা নেই এমন ১০ জনের মধ্যে ৭ জন পরিষ্কার বলেছেন আগামী তিন মাসের মধ্যেই তাঁরা তেমন কোনও পলিসি কিনবেন। এই সমীক্ষা থেকে পাওয়া আরও একটা আশাব্যঞ্জক তথ্য হল, ১০ জনের মধ্যে ৮ জন গ্রাহকেরই জীবন বিমা ও স্বাস্থ্য বিমা করানোর উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার --- পরিবারের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা।
advertisement
সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্যগুলো সম্পর্কে রবীন্দ্র কুমার, প্রেসিডেন্ট – জোন থ্রি, এসবিআইলাইফ, বলেন, “এই অতিমারির ফলে সারা দেশের সমস্ত ব্যক্তিই উপলব্ধি করেছেন যে শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক ইমিউনিটির প্রয়োজন আছে। আমরা লক্ষ্য করছি, পরিবারকে আর্থিক সঙ্কট থেকে বাঁচাতে স্বাস্থ্য এবং জীবন বিমা করিয়ে রাখার ব্যাপারে গ্রাহকদের মধ্যে এক নতুন ধরণের সচেতনতা তৈরি হয়েছে।” রবীন্দ্র কুমার আরও বলেন “এসবিআই লাইফে আমরা বিশ্বাস করি, ফিনান্সিয়াল ইমিউনিটি হল একজন মানুষের নিজের ক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারার ভিত্তি। আমরা সারা দেশের মানুষকে সুরক্ষার সঠিক সরঞ্জামগুলো জোগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে বীমাই ভরসা, কোভিড পরবর্তী সময় নিয়ে মানুষ কী ভাবছেন ? জানাল সমীক্ষা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement