Onion Cultivation Profit: ১ বিঘায় লাভ ৬০ হাজার! রান্নাঘরের মহামূল্যবান পেঁয়াজ চাষেই মোটা টাকা, শুধু জানতে হবে সঠিক বিজনেস পলিসি

Last Updated:

নদীর পাড়ে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন পটাশপুরের এক যুবক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর এক ব্লকের শিয়ালদা গ্রাম। এই গ্রামে বাগুই নদীর পাড় ঘেঁষে বিস্তীর্ণ চাষের জমি।

+
পেঁয়াজ

পেঁয়াজ চাষের লাভ

পটাশপুর, মদন মাইতি: নদীর পাড়ে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন পটাশপুরের এক যুবক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর এক ব্লকের শিয়ালদা গ্রাম। এই গ্রামে বাগুই নদীর পাড় ঘেঁষে বিস্তীর্ণ চাষের জমি। সেই জমিতেই পেঁয়াজ চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন শিয়ালদার এক যুবক অমিত প্রধান। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করলেও এবছর থেকে তিনি বড় আকারে পেঁয়াজ চাষে মন দিয়েছেন। নদীর পাড়ের উর্বর মাটি আর চাষের জন্য অনুকূল পরিবেশ থাকায় ভালই ফলন হয়। অমিতের দাবি, নদী পাড়ে পেঁয়াজ চাষে খুব বেশি পরিশ্রম না করেই ভাল ফলন পাওয়া যায়। শিয়ালদা এলাকার এই কৃষক তাই এবার এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তাঁর কথায়, জমি প্রস্তুত করা থেকে শুরু করে বীজ, সার, সেচ ও শ্রমিক—সব মিলিয়ে মোট ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
তবে অমিতের মতে, পেঁয়াজ চাষের বড় সুবিধা হল—পেঁয়াজ ফুল, কুঁড়ি বিক্রি করেই খরচের অর্ধেক টাকা উঠে আসে তারা। চাষের শুরুতেই গাছের ফুল, কুঁড়ি বাজারে ভাল দামে বিক্রি হয়। অনেক কৃষক ফুলকুঁড়ি ফেলে দেন বা গুরুত্ব দেন না, কিন্তু অমিত শুরু থেকেই ফুলকুঁড়িকে আলাদা করে বাজারে নিয়ে যান। এবছরও সেই কারণে চাষের প্রথম দিকেই তিনি তাঁর প্রায় ১০ হাজার টাকার খরচ তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন। তাঁর বক্তব্য, “ফুলকুঁড়ির চাহিদা এবার খুবই ভাল। তাই পেঁয়াজ তোলার আগেই অর্ধেক খরচ উঠে যায়। এতে চাষের চাপ কমে এবং লাভের পরিমাণ বাড়ে।”
advertisement
advertisement
বাগুই নদীর পাড়ে চাষ করার ফলে সেচের খরচও খুব বেশি হয় না, জমিতে জলের ঘাটতি থাকে না। তিনি বলেন, “নদীর পাড়ের জমিতে আর্দ্রতা থাকে বলে পেঁয়াজ গাছ দ্রুত বেড়ে ওঠে। সারও খুব বেশি লাগে না।” পেঁয়াজের পাশাপাশি ফুলকুঁড়িতে আয় হওয়ায় কৃষকদের মতে, এই চাষে আলাদা রকম নিশ্চয়তা থাকে। অমিতের পাশাপাশি অনেকেই বাগুই নদীর পাড়ে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অমিতের হিসাবে, শুধুমাত্র এই এক বিঘা জমি থেকেই তিনি পেঁয়াজ বিক্রি করবেন প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার। খরচ বাদ দিলেও ভালই লাভ পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে ফুলকুঁড়ি বিক্রি করে যে অর্থ আসবে, তা খরচের অর্ধে উঠে আসবে। অমিত জানান, “এক বিঘা জমির চাষে মোট ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফুলকুঁড়ি বিক্রি করেই অর্ধেক ফিরে পাব। তারপর যখন পেঁয়াজ তোলা শুরু হবে, তখন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হবে।” তাঁর এই সফল চাষ পদ্ধতি এখন আশেপাশের কৃষকদের মধ্যেও উদ্দীপনা তৈরি করেছে। নদীর পাড়ের জমি সঠিকভাবে কাজে লাগালে যে কম খরচে বেশি লাভ করা যায়, অমিত প্রধান তার সফল উদাহরণ।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Onion Cultivation Profit: ১ বিঘায় লাভ ৬০ হাজার! রান্নাঘরের মহামূল্যবান পেঁয়াজ চাষেই মোটা টাকা, শুধু জানতে হবে সঠিক বিজনেস পলিসি
Next Article
advertisement
Bihar Assembly Election Results Update: ২০১০-এ রাবড়ি দেবীকে হারিয়েছিলেন! সেই রাঘোপুরেই তেজস্বীকে ঘোল খাইয়ে ছাড়লেন সতীশ
২০১০-এ রাবড়ি দেবীকে হারিয়েছিলেন! সেই রাঘোপুরেই তেজস্বীকে ঘোল খাইয়ে ছাড়লেন সতীশ
  • রাঘোপুরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, পিছিয়ে তেজস্বী যাদব৷

  • আরজেডি-র গড় রাঘোপুরে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী সতীশ কুমার৷

  • ২০১০ সালে রাঘোপুরেই রাবড়ি দেবীকে হারিয়েছিলেন সতীশ৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement