#নয়াদিল্লি: ইউএই (UAE) গ্লোবাল মার্কেটে ক্রুড অয়েলের সাপ্লাই বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। এর ফলে যেভাবে ক্রমাগত হারে বেড়ে চলেছিল ক্রুড অয়েলের দাম তা অনেকটাই নিচে নেমেছে। এর ফলে বিগত ২ বছরের মধ্যে তেলের দামে অনেকটাই পতন হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে যে ভারতে তেলের খুচরো দাম বাড়ানো হবে না। রাশিয়ার ওপর ব্যান লাগানোর পরে আমেরিকার আবেদনে সারা দিয়ে ইউএই নিজেদের তেলের উৎপাদন বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। এর ফলে ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ১৬.৮৪ ডলার কমে ১১.১৪ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। ক্রুড অয়েলের দামে ১৩.২ শতাংশ পতনের ফলে আমেরিকায় কাঁচা তেলের দাম ১৫.৪৪ ডলার কম হয়ে এর দাম হয়েছে প্রতি ব্যারেল ১০৮.৭০ ডলার। নভেম্বর মাসের পরে এই প্রথম আবার তেলের দাম কিছুটা কম হল।
আমেরিকার আবেদন -
রাশিয়ায় কাঁচা তেলের সাপ্লাই বন্ধ করার পরে আমেরিকা আবেদন করে ইউএই-এর কাছে, তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য। একই সঙ্গে আমেরিকা তেল উৎপাদক দেশের সংগঠন ওপেকের (OPEC) কাছে আবেদন করে তেলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য। এর পরেই ইউএই জানিয়েছে তারা বাড়াতে চলেছে তেলের উৎপাদন। এর ফলে বাজারে তেলের দাম অনেকটাই কম হয়েছে।
বাজারে আসবে ৮ লাখ ব্যারেল তেল -
মিজুহো-র (Mizuho) এনার্জি ব্যবসার ডিরেক্টর বব ইগর জানিয়েছেন যে, ইউএই তেল উৎপাদন বাড়ানোর ফলে বাজারে খুব দ্রুত চলে আসতে পারে সেই তেল। অনুমান করা হচ্ছে যে এর ফলে বাজারে আসতে পারে প্রায় ৮ লাখ ব্যারেল তেল। খুব তাড়াতাড়ি বাজারে এই তেলের সাপ্লাই করা হবে। এর ফলে রাশিয়া থেকে আসা তেলের ঘাটতি অনেকটাই মিটে যাবে। রাশিয়া থেকে প্রতিদিন প্রায় ৭০ লাখ ব্যারেল তেল সাপ্লাই করা হত। যা গ্লোবাল মার্কেটের মোট সাপ্লাইয়ের প্রায় ৭ শতাংশ।
এক সপ্তাহে বদলে গেছে ওপেকের সুর -
আমেরিকার আবেদনের পরেই বদলে গিয়েছে ওপেকের সুর। এক সপ্তাহ আগেও অন্য রকম ছিল ওপেকের সুর। কিছুদিন আগেও ওপেক জানিয়েছিল যে, তেলের দাম বাড়ার কারণ কম উৎপাদন নয়। এর কারণ হল ভূরাজনৈতিক সমস্যা। তখন ওপেক প্রতি দিন প্রায় ৪ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বাড়াতে রাজি ছিল। কিন্তু এর পরেই মাঠে নামে আমেরিকা। তারা প্রথমে আবেদন করে ইউএই এর কাছে। এর পরেই বদলে যায় পুরো খেলা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।