#নয়াদিল্লি: আমাদের কাছে থাকা নগদের দাম মুদ্রাস্ফীতির কারণে হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমান সময়ে বাজেট তৈরি করা এবং সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উপভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি স্পর্শ করছে ৮ শতাংশ এবং ব্যক্তিগত মুদ্রাস্ফীতির হার হতে পারে আরও বেশি। এটি শুধুমাত্র ক্রয়ের ক্ষমতাকে হ্রাস করছে না, এটি প্রভাবিত করছে সঞ্চয় ও উপার্জনের সম্ভাবনাকেও।
মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য কিছু টিপস দেওয়া হল:
১) ব্যক্তিগত মুদ্রাস্ফীতির হার অনুমান করার চেষ্টা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলির উপর খরচের তুলনা করে ব্যক্তিগত মুদ্রাস্ফীতির হার অনুমান করা যেতে পারে। এই তুলনা করার জন্য বর্তমানে ব্যয় কতটা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে নিতে হবে এবং প্রয়োজন মতো দরকারের মধ্যে থেকে কিছু জিনিস বেছে নিতে হবে।
২) কার্ডে খরচ কমানো অপ্রয়োজনীয় বা কম প্রয়োজনীয় খরচ কম করার জন্য একটি ভালো প্রেরণা হল মূল্যস্ফীতি। ব্যাঙ্ক অথবা ক্রেডিট কার্ড স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখলে কোনটা প্রয়োজনীয় খরচ এবং কোনটা অপ্রয়োজনীয় বা কম প্রয়োজনীয় তা খুঁজে বের করা সম্ভব, এতে অপ্রয়োজনীয় বা কম প্রয়োজনীয় খরচ কমানো আরও সহজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: কুলটিতে 'ভূত', জলে ভেসে যাচ্ছে বাড়ি, ভূক্তভোগী বাড়ির শিশু! ক্যামেরা অন হতেই যা ঘটল...
৩) এমন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে যা ইতিবাচক রিটার্ন দেবে ইতিবাচক রিটার্ন পাওয়া যাবে এমন জায়গায় বিনিয়োগ করার আগে বর্তমান ও পরিকল্পিত বিনিয়োগ থেকে পাওয়া রিটার্নের হিসেব করতে হবে। প্রকৃত রিটার্ন (Real returns) = নির্দেশিত বিনিয়োগ আয় (Indicated investment earnings) – মুদ্রাস্ফীতির হার (Inflation rate), এই হিসেবে চলতে হবে।
৪) ব্যবসায়িক মডেলকে টিকিয়ে রাখতে নিয়মিত মূলধন প্রয়োজন, এমন জায়গায় বিনিয়োগ করা যাবে না সেই সব কোম্পানি বা স্টকগুলিতে বিনিয়োগ করা থেকে এড়িয়ে যেতে হবে যে কোম্পানিগুলির ব্যবসায়িক মডেলকে টিকিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত মূলধনের প্রয়োজন। উদাহরণস্বরূপ, ইকুইপমেন্ট লিজিং বা ভাড়ার ব্যবসা, এই কোম্পানিগুলিকে ক্রমাগত নতুন যন্ত্রপাতি কিনতে হয়। এই ধরনের কোম্পানি বা স্টকগুলিতে বিনিয়োগ করার পরিবর্তে এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে হবে যেখানে বিক্রিকে প্রভাবিত না করেও দাম বাড়ানোর মতো ব্র্যান্ড ক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রয়াত অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ, বাংলাদেশে শোকের ছায়া
৫) মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা, মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বৃদ্ধি করতে হবে সময় ও পরিষেবার মূল্য মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে প্রয়োজন বেতন বৃদ্ধির! সেই কারণগুলির একটি তালিকা তৈরি করতে হবে যার জন্য বেতন বাড়ানো উচিত, সেই মতো চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া দরকার স্ট্যাটিসটিক অর্থাৎ শক্তিশালী পারফরম্যান্সের ট্র্যাক রেকর্ডের সঙ্গে উপার্জনকে ব্যাক আপ করাতে হবে। তাহলে বিপদের দিনেও হাতে টাকা থাকবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।