আর ফসল নষ্ট নয়, এবার স্বনির্ভর হবেন কৃষকরা! কৃষকদের জন্য রয়েছে কেন্দ্রের সেরা ৬ প্রকল্প

Last Updated:

কেন্দ্রীয় সরকার উদ্ভাবনী পরিষেবাগুলি উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। যাতে কর্মসংস্থানের হার বাড়ে এবং কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পায়।

স্বনির্ভর হবেন কৃষকরা (প্রতীকী ছবি)
স্বনির্ভর হবেন কৃষকরা (প্রতীকী ছবি)
#নয়াদিল্লি: সর্বাধিক কৃষি উৎপাদন এবং কৃষি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান লক্ষ্য। এর জন্য কৃষকদের ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যেই তাঁদের জন্য আনা হয়েছে বিভিন্ন স্কিম এবং পরিকল্পনা। কেন্দ্রীয় সরকার উদ্ভাবনী পরিষেবাগুলি উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। যাতে কর্মসংস্থানের হার বাড়ে এবং কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পায়।
কেন সরকারি প্রকল্প প্রয়োজন:
নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং জীবিকা প্রদানের জন্য সরকারি প্রকল্পের প্রয়োজন। ভারত কৃষি প্রধান দেশ। তাই যে কোনও খাতের মতো কৃষি খাতেও একাধিক প্রকল্প রয়েছে। যাতে কৃষকদের ফসল উৎপাদনের জন্য কোনও বাধার মুখে পড়তে না হয়। তা-ছাড়া জিডিপি-র একটা বড় অংশ আসে কৃষি এবং কৃষকদের থেকেই। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের এই দিকে বিশেষ নজর থাকে।
advertisement
advertisement
করোনা মহামারীর জেরে হওয়া লকডাউনের সময় অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে থমকে গিয়েছিল অর্থনীতি। মুখ থুবড়ে পড়ে একাধিক ক্ষেত্র। কিন্তু সেই সময়েও কৃষি খাতে ৩.৪ শতাংশ হারে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। আসলে কেন্দ্রীয় সরকার গত কয়েক বছরে কৃষি খাতে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে। এখানে কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সেরা ৬টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হল।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা:
প্রতিটি কৃষি জমিতে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনা’ চালু করেছে।
লক্ষ্য: প্রতি কৃষি জমিতে জল পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা। এর সঙ্গে জল সংরক্ষণের অঙ্গীকার। পাশাপাশি আরও দক্ষতার সঙ্গে জলের ব্যবহার করাও এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
advertisement
মিশন:
ক) প্রতি ফোঁটায় বেশি ফসল।
খ) জলের উৎস সৃষ্টি ও ব্যবস্থাপনার সমাধান।
গ) জমিতে জলের প্রয়োগ এবং কার্যক্রম সম্পর্কে সমাধান।
প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিকাশ যোজনা:
২০১৫ সালে এনডিএ সরকার এই প্রকল্প চালু করে।
লক্ষ্য: জৈব চাষের প্রচার করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি ঐতিহ্যগত সম্পদের ব্যবহার কী ভাবে আরও বাড়ানো যায়, সেটাও দেখা হয়।
advertisement
মিশন:
ক) কৃষকদের ক্লাস্টার বা দল গঠনে উৎসাহিত করা হয়।
খ) আগামী বছরগুলিতে ১০ হাজার ক্লাস্টার গঠনের লক্ষ্য।
গ) পাঁচ লাখ একর কৃষি জমি জৈব চাষের আওতায় আনা।
ঘ) সার্টিফিকেশন খরচ সরকার বহন করবে।
ঙ) প্রতিটি ক্লাস্টার বা গ্রুপে ৫০ জন কৃষক জৈব চাষ করতে ইচ্ছুক।
চ) প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা প্রত্যেক কৃষককে একর প্রতি ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা:
এটি একটি শস্য বিমা প্রকল্প।
লক্ষ্য:
কৃষকদের স্থিতিশীল আয়ের লক্ষ্যে এই প্রকল্প আনা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ফসল নষ্ট হলেও কৃষকদের দুর্ভাবনার কিছু নেই।
মিশন:
ক) বিমার মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
advertisement
খ) ফসলের ক্ষতি হলেও কৃষকরা যেন দুর্ভাবনায় না-পড়েন।
গ) কৃষকদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা।
ঘ) কীটপতঙ্গ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতির ক্ষেত্রে ঋণ নিশ্চিত করা।
৪। গ্রামীণ ভান্ডারান যোজনা:
এই প্রকল্পের অধীনে সরকার গ্রামীণ এলাকায় কৃষকদের হিমঘর বা স্টোরেজে ফসল রাখতে দেয়।
লক্ষ্য:
গ্রামীণ এলাকায় আধুনিক স্টোরেজ তৈরি করাই মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি কৃষকরা যাতে সর্বাধিক ফসল উৎপাদন করতে পারেন, সেই বিষয়ে তাঁদের উৎসাহ দেওয়া হয়।
মিশন:
ক) পর্যাপ্ত স্টোরেজ সুবিধা তৈরি করা।
খ) কৃষকরা খামারের পণ্য, প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য এবং কৃষি উপকরণ সংরক্ষণ করতে পারে।
গ) খামারের পণ্যের বাজারযোগ্যতা উন্নত করা।
৫। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ মান ধন যোজনা:
১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী কৃষকদের জন্য এই প্রকল্প। এই প্রকল্পে কৃষকদের পেনশন দেওয়া হয়।
লক্ষ্য:
৬০ বছরের বেশি বয়সী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাসিক আয়ের বন্দোবস্ত করা।
মিশন:
ক) ৬০ বছর বয়সের পরে কৃষকদের ন্যূনতম ৩০০০ টাকা মাসিক আয় প্রদান করা।
খ) প্রকল্পটি কৃষকদের সহযোগিতা এবং কৃষির কল্যাণ বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
৬। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা:
এই প্রকল্পে কৃষকদের প্রতি বছর ৬০০০ টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি সরঞ্জাম এবং অন্যান্য খরচ জোগানোর লক্ষ্যে এই প্রকল্প আনা হয়েছে।
লক্ষ্য:
ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের শক্তিশালী করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
মিশন:
ক) কৃষকদের যাতে কৃষি সরঞ্জামের অভাব না-হয়।
খ) ছোট চাষীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
আর ফসল নষ্ট নয়, এবার স্বনির্ভর হবেন কৃষকরা! কৃষকদের জন্য রয়েছে কেন্দ্রের সেরা ৬ প্রকল্প
Next Article
advertisement
Bansuri Swaraj: 'মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও নির্যাতিতাকেই দোষারোপ করছেন!' মমতার সমালোচনায় সুষমা কন্যা বাঁশুরি
'মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়েও নির্যাতিতাকেই দোষারোপ!' মমতার সমালোচনায় সুষমা কন্যা বাঁশুরি
  • দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া অব্যাহত। এবার মুখ খুললেন বিজেপির সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে "লজ্জাজনক" ও "অগ্রহণযোগ্য" বলে মন্তব্য করেছেন। প্রসঙ্গত, বাঁশুরি স্বরাজ প্রয়াত বিজেপি নেত্রী ও প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কন্যা৷ 

VIEW MORE
advertisement
advertisement