কলকাতা: এ-দোকান, সে-দোকান ঘুরে ব্যাগ বোঝাই করে কেনাকাটা। তারপর ভিড় বাসে ঘেমেনেয়ে বাড়ি। সে দিন গিয়েছে। এখন বাড়িতে বুকে বালিশ দিয়ে উপুড় হয়ে শুয়ে দোকানে দোকানে ঘোরে আমবাঙালি। বিশেষ করে ভ্যালেন্টাইন্স উইকেও তা-ই করবে।
হ্যাঁ, অনলাইন শপিংয়ের কথাই হচ্ছে। ব্যাগ বয়ে বয়ে আনতে হয় না। বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় পছন্দের জিনিস। অবশ্য কিছু সমস্যাও আছে। যেমন, গুণমান হয়তো ছবির মতো সুন্দর হল না। কিংবা সময়মতো হল না ডেলিভারি। তাছাড়া অনলাইন কেলেঙ্কারির কথা তো বাদই দেওয়া যাক। তাহলে উপায়? নিরাপদে অনলাইন কেনাকাটার কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল।
সিকিওর কানেকশন থেকেই অর্ডার: কানেকশন যদি সুরক্ষিত না হয় তাহলে আর্থিক তথ্য এবং পাসওয়ার্ড চুরি যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্যই বাজার কিংবা অন্য কোনও এলাকার ফ্রি ওয়াইফাই কানেকশন থেকে লেনদেন করতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা।
দোকান এবং তাদের নামযশ: নামি দোকান থেকে কেনাকাটা করাই নিরাপদ। এতে গুণমানের সঙ্গে আপোস করতে হয় না। আর যদি তেমনটা সম্ভব না হয় তাহলে ই-স্টোরের ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করে দেখতে হবে। অন্যান্য ক্রেতারা কেমন রিভিউ দিয়েছেন, দেখে নিতে হবে তাও।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপকে কত টাকা দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক? মুখ খুললেন SBI-এর চেয়ারম্যানঅফার এড়িয়ে চলাই ভাল: ই-স্টোর কম দামে অনেক কিছু দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে, সেটা সন্দেহজনক। যদি দাম খুব কম হয় তাহলে দেখতে হবে সেই দোকান আইন মেনেই জিনিসগুলো বিক্রি করছে তো! কেনার পর কোনও অসুবিধা হলে ফেরত দেওয়া যাবে কি না সেটাও দেখতে হবে।
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি তথ্য চাইলে সেই ই-স্টোর এড়িয়ে যাওয়াই ভাল: টাকা মেটানো এবং ডেলিভারির জন্য শিপিং ঠিকানা, টেলিফোন নম্বর, ই-মেল চায়। কিন্তু এর বেশি কিছু চাইলে সেই ই-স্টোর থেকে কেনাকাটা না করাই ভাল। কোনও প্রতিষ্ঠানকে কখনওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, সামাজিক নিরাপত্তা তথ্য বা ড্রাইভার লাইসেন্স নম্বর দেওয়া উচিত নয়।
ক্রেডিট কার্ড বা পেপ্যাল: বিল মেটাতে কখনওই ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা উচিত নয়। এর জন্য ব্যবহার করতে হবে ক্রেডিট কার্ড বা পেপ্যাল। শুধুমাত্র অনলাইন কেনাকাটা এবং লেনদেনের জন্য নিজের কাছে ক্রেডিট কার্ড রাখা যায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।