#নয়াদিল্লি: বেসরকারি খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যাঙ্ক হল এইচডিএফসি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষতার সঙ্গে নিজেদের ব্যুৎপত্তি বজায় রেখেছে তারা। রেকর্ড বৃদ্ধিও হয়েছে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই ৪ শতাংশ নেট সুদের আয় এবং ১৫ শতাংশ ইকুইটি রিটার্নে রেকর্ড করেছে এইচডিএফসি। সম্প্রতি এইচডিএফসি হোল্ডিংস লিমিটেডের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঘোষণা করেছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। প্রতিযোগী ব্যাঙ্কগুলোর তুলনায় তাদের রিটার্ন অনুপাতও যথেষ্ট ভালো।
আরও পড়ুন: Fixed Deposits For Senior Citizens: প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বাম্পার খবর! ফিক্সড ডিপোজিট সুদের হার ৮.৫%
আইসিআইসিআই সিকিউরিট ব্রোকারেজের মতে, ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে দ্রুত বেড়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। এই ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬৫০ টাকার লক্ষ্য মূল্যে ১২ মাসের মেয়াদে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ার কেনার পরামর্শ দিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, ২০২২-এর ১১ মে ১৩৪৮.৬০ টাকায় বন্ধ হয় এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ার। শুক্রবার দুপুরে ৩.১২ মিনিটে বিএসই-তে ৩.২২ শতাংশ কমে এই স্টক ১৩০৪.৭৫ টাকায় ট্রেড করছে।
২০২২-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিকের ফলাফল: এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের চতুর্থ ত্রৈমাসিকের ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এর ক্রেডিট অফটেক বেড়েছে অর্থাৎ ঋণের চাহিদা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি মার্জিনও অনেক ভালো হয়েছে। আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজ বলছে, গত ত্রৈমাসিকে ব্যাঙ্কের নেট সুদের আয় এক বছর আগের তুলনায় ১০.২ শতাংশ বেড়ে ১৮.৮৭২ কোটি টাকা হয়েছে। একই সময়ে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তা বেড়েছে ২.৩ শতাংশ। ২০২১ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যাঙ্কটি ৮,১৮৬.৫০ কোটি টাকার নিট মুনাফা করেছিল। সেখান থেকে এটা ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ১০,০৫৫.২ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
১৫.৫ টাকার লভ্যাংশ: সম্প্রতি শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। এ জন্য ১৩ মে-কে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই তারিখ পর্যন্ত যে সব বিনিয়োগকারীদের কাছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ার থাকবে তারাই লভ্যাংশ পাবেন। অতিহিত মূল্য ১ টাকার শেয়ারে ১৫৫০ শতাংশ লভ্যাংশ নির্ধারণ করেছে এইচডিএফসি কর্তৃপক্ষ। অর্থাৎ প্রতি শেয়ার পিছু ১৫.৫ টাকা লভ্যাংশ পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
নেট সুদের মার্জিন এবং ইক্যুইটির রিটার্ন কী: ব্যাঙ্কের প্রধান কাজই হল ঋণ দিয়ে মুনাফা অর্জন করা। এখন নেট সুদের আয় প্রদত্ত সুদ এবং প্রাপ্ত সুদের মধ্যে পার্থক্য বোঝায়। নেট সুদের আয় থেকেই বোঝা যায়, সুদ থেকে ব্যাঙ্ক কতটা আয় করেছে। অন্যদিকে রিটার্ন অন ইক্যুইটি হল আয়ের একটি পরিমাপ। এ থেকে একটা কোম্পানির স্টকের আর্থিক কর্মক্ষমতা বোঝা যায়। সহজ কথায়, বিনিয়োগকারী একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে কতটা লাভ বা রিটার্ন পেতে পারেন, সে সম্পর্কে তথ্য দেয়। কোম্পানির স্টকে বিনিয়োগ করা উচিত কি না সেটা স্পষ্ট হয়ে যায়। ইক্যুইটির উপর রিটার্ন গণনা করার জন্য কোম্পানির অর্জিত মোট আয়কে তার ইক্যুইটি দিয়ে ভাগ করতে হবে। ইক্যুইটির রিটার্ন শতাংশে প্রকাশ করা হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Business, Share Market Latest News