#নয়াদিল্লি: ইক্যুইটি তহবিলে আগের তুলনায় নেট প্রবাহ কমেছে। তবে মিউচুয়াল ফান্ড হাউজগুলো এতে বিচলিত নয়। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমগুলোতে নেট প্রবাহ এপ্রিল মাসে ২৮,৪৬৩ কোটি টাকা থেকে ৪৪ শতাংশ কমে ১৫,৮৯০ কোটি টাকা হয়েছে। এরপর থেকেই সতর্ক বিনিয়োগকারীরা। তার ওপর সুদের হার বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে। এর ফলে মধ্য-মেয়াদী, স্বল্প মেয়াদী এবং গিল্ট ফান্ডগুলো থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: Fixed Deposits For Senior Citizens: প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বাম্পার খবর! ফিক্সড ডিপোজিট সুদের হার ৮.৫%
তবে ইউনিয়ন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার জি প্রদীপ কুমার বলছেন, ‘সুদের হার বৃদ্ধির ফলে বাজারে একটা অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের মনে একটা আতঙ্ক খেলা করে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাজারে এর কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তবে অনেক বিনিয়োগকারীই বাজার স্থিতিশীল হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন’। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমরা এখনও সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বাতিল বা প্রত্যাহার করার মতো ঘটনা পাইনি’। উল্লেখ্য, ইক্যুইটি স্কিমগুলো মার্চ মাসে ১৭,৯৪৪ কোটি টাকা থেকে এপ্রিল মাসে ৭ শতাংশ কমে ১৬,৭২৬ কোটি টাকা হয়েছে।
সামনে ঝামেলা: স্বল্প মেয়াদী বিনিয়োগকারীরা স্টক এবং ইক্যুইটিতে লোকসান দেখার পর বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। এই প্রসঙ্গে বরোদা বিএনপি পরিবাস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুরেশ সোনি বলছেন, ‘বাজার অস্থিরতার কারণে স্বল্প মেয়াদে এককালীন বিনিয়োগে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে আমাদের বিশ্বাস মধ্যমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের ভরসা এখনও অটুট রয়েছে। কারণ মিউচুয়াল ফান্ডের পাশাপাশি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলার সংখ্যা কয়েক বছরে বিপুল বৃদ্ধি পেয়েছে’।
সুদের হার বাড়লে বন্ডের দাম কমে যায় ফলে ডেবট ফান্ডের রিটার্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ এই বছরের মার্চ মাসে হার বৃদ্ধির চক্র শুরু করেছিল। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ৪ মে রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এর ফলে বাজারে কিছুটা অস্থিরতা রয়েছে। তবে প্রত্যাশার চেয়েও পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এইআইপি: তবে বাজার অস্থিরতার মধ্যেও আশার রুপোলি রেখা হয়ে জেগে উঠেছে এসআইপি। যদিও এসআইপি-তে বিনিয়োগ মার্চ মাসে ১২,৩২৭ কোটি টাকা থেকে এপ্রিল মাসে প্রায় ৪ শতাংশ কমে ১১,৮৬৩ কোটি টাকা হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে এসআইপি অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫২.৭ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ৫৩.৯ মিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে, স্বতন্ত্র বিনিয়োগকারীরা ইক্যুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ করতে এসআইপি ব্যবহার করেছেন। এইউএম-এর অধীনে এমএফ অ্যাসেট বৃদ্ধির একটি বড় চালকও এসআইপি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Business News, Mutual Fund