Gold Investment: সোনায় স্মার্ট বিনিয়োগ, জানুন কীভাবে করতে হয়, কী বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়
- Published by:Dolon Chattopadhyay
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
Gold Investment: কেউ যদি সোনায় বিনিয়োগ করতে চান, কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবেন তা জানেন না, তাহলে গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
ভারতের মানুষের সোনার সঙ্গে শতাব্দী প্রাচীন সম্পর্ক রয়েছে। এটি কেবল একটি ধাতু নয়, বরং এটি নিরাপত্তা, সমৃদ্ধি এবং ঐতিহ্যের প্রতীক। কিন্তু, আজকের ডিজিটাল যুগে, সোনায় বিনিয়োগের পদ্ধতিও বদলে গিয়েছে। এখন সোনার বিশুদ্ধতা, লকারের নিরাপত্তা বা চার্জ মেকিং নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। এর জন্য একটি স্মার্ট এবং সহজ বিকল্প রয়েছে – গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড। এই তহবিলগুলি কেবল সোনায় বিনিয়োগের সুবিধা দেয় না, বরং ভৌত সোনা কেনার ঝামেলা থেকেও বাঁচায়। কেউ যদি সোনায় বিনিয়োগ করতে চান, কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবেন তা জানেন না, তাহলে গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড সম্পর্কিত সমস্ত বিষয় এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড কী –
গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড হল এক ধরনের তহবিল। এর অর্থ হল এই তহবিলগুলি তাদের অর্থ সরাসরি ভৌত সোনায় বিনিয়োগ করে না, বরং গোল্ড ইটিএফে (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) বিনিয়োগ করে। গোল্ড ইটিএফ হল এমন স্কিম, যা ভৌত সোনায় বিনিয়োগ করে এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়। তাই যখন কেউ একটি গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থ বিনিয়োগ করেন, তখন তহবিল ব্যবস্থাপক সেই অর্থ দিয়ে গোল্ড ইটিএফের ইউনিট ক্রয় করেন। এইভাবে বিনিয়োগের মূল্য সোনার দামের সঙ্গে ওঠানামা করে এবং সোনায় বিনিয়োগের সুবিধা পাওয়া যায়।
advertisement
advertisement
গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ৫টি বড় সুবিধা –
SIP-এর ক্ষমতা –
এটি সবচেয়ে বড় সুবিধা। কেউ SIP-এর মাধ্যমে ভৌত সোনা কিনতে পারবেন না, তবে গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে, প্রতি মাসে মাত্র ৫০০ টাকা বা ১০০০ টাকার মতো অল্প পরিমাণ দিয়ে এই বিনিয়োগ শুরু করা যেতে পারে। এটি কারও উপর এককালীন বোঝা চাপায় না এবং দীর্ঘমেয়াদে একটি বড় তহবিল তৈরি করা যেতে পারে।
advertisement
বিশুদ্ধতা এবং সুরক্ষার কোনও চাপ নেই –
কেউ যখন ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগ করেন, তখন ৯৯.৫% বিশুদ্ধ ২৪ ক্যারাট সোনায় বিনিয়োগের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। এছাড়াও, এখানে সংরক্ষণের সমস্যা নেই, চুরি বা হারিয়ে যাওয়ার কোনও ভয় নেই, কারণ এটি ডিজিটাল আকারে ঘটে।
ক্রয়-বিক্রয়ের সুবিধা –
যে কোনও ব্যবসায়িক দিনে এই তহবিলগুলি ক্রয় বা বিক্রয় করা যেতে পারে। কয়েক দিনের মধ্যে টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসে। এর জন্য্য কোনও জুয়েলারি দোকানে গিয়ে দর কষাকষি করতে হবে না।
advertisement
ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন নেই –
গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করার জন্য ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক, কিন্তু গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার জন্য ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন নেই। যে কোনও ফান্ড হাউজের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে এতে সহজেই বিনিয়োগ করা যেতে পারে।
advertisement
কোনও মেকিং চার্জ নেই –
ফিজিক্যাল সোনা কেনার ক্ষেত্রে ৫% থেকে ১৫% মেকিং চার্জ দিতে হবে, যা এক ধরনের ক্ষতি তো বটেই। গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে এমন কোনও চার্জ নেই, যার কারণে সমস্ত অর্থ সোনার বৃদ্ধিতে ব্যয় হয়।
বিনিয়োগ করার আগে এই বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত –
এক্সপেন্স রেশিও –
advertisement
ফান্ড হাউজ তহবিল পরিচালনার জন্য একটি ছোট ফি নেয়, যাকে এক্সপেন্স রেশিও বলা হয়। এটি সাধারণত বার্ষিক ০.৫% থেকে ১%-এর মধ্যে হয়।
ট্র্যাকিং এরর –
যেহেতু এই তহবিলগুলি গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করে, তাই তাদের রিটার্ন এবং ফিজিক্যাল সোনার রিটার্নের মধ্যে সামান্য পার্থক্য থাকতে পারে, যাকে ট্র্যাকিং এরর বলা হয়।
advertisement
ট্যাক্স –
ডিজিটাল সোনা বিক্রির জন্য ট্যাক্সের নিয়মগুলি গয়না বা সোনার কয়েন বিক্রির জন্য ঠিক একই রকম। এটা নির্ভর করে কে কতদিন ধরে সোনা নিজেদের কাছে রেখেছেন তার উপরে। ২৪ মাস বা তার বেশি সময় ধরে সোনা থেকে প্রাপ্ত রিটার্নকে দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ বলা হয়; এই সময়ের কম সময় ধরে সোনা থেকে প্রাপ্ত রিটার্নকে স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভ (STCG) বলা হয়। সোনার উপর LTCG-এর উপর ১২.৫% হারে কর ধার্য করা হয়, সেই সঙ্গে সেসও দিতে হয়। STCG-এর ক্ষেত্রে, আয়ের স্ল্যাব অনুযায়ী কর ধার্য করা হয়।
গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে কীভাবে বিনিয়োগ করা উচিত –
– সম্পূর্ণ KYC: কেউ যদি প্রথমবারের মতো মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন, তাহলে KYC সম্পন্ন করতে হবে। এটি প্যান কার্ড এবং আধার কার্ড দিয়ে অনলাইনে করা হয়।
– একটি ফান্ড হাউজ বেছে নিতে হবে: SBI, HDFC, ICICI প্রুডেন্সিয়াল ইত্যাদির মতো যে কোনও নামী সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি (AMC) বেছে নিতে হবে।
– এককালীন অর্থ বিনিয়োগ, না কি SIP-এর মাধ্যমে প্রতি মাসে সামান্য বিনিয়োগ তা নির্ধারণ করতে হবে।
– ফান্ড হাউজের ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ বা যে কোনও মিউচুয়াল ফান্ড প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিনিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে হবে।
গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং গোল্ড ইটিএফের মধ্যে কোনটি ভাল –
যদি কারও ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে দুটির যে কোনও একটি বেছে নেওয়া যেতে পারে। যদি ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট না থাকে অথবা SIP-এর মাধ্যমে বিনিয়োগ কেউ করতে চান, তাহলে গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড ভাল বিকল্প।
গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ কি নিরাপদ –
হ্যাঁ, এই ফান্ডগুলি SEBI দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাই এগুলি নিরাপদ। তবে, বাজার ঝুঁকির সাপেক্ষে সোনার দামের সঙ্গে এরও দাম ওঠানামা করে।
গোল্ড ফান্ডে সর্বনিম্ন কত টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে –
৫০০ টাকা বা ১০০০ টাকার মাসিক SIP দিয়ে বেশিরভাগ গোল্ড ফান্ডে বিনিয়োগ শুরু করা যেতে পারে।
গোল্ড ফান্ড থেকে অর্জিত অর্থ কি করমুক্ত –
না, এটি করমুক্ত নয়। মুনাফার উপর স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ কর দিতে হবে।
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
July 07, 2025 7:21 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Gold Investment: সোনায় স্মার্ট বিনিয়োগ, জানুন কীভাবে করতে হয়, কী বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়