#নয়াদিল্লি:মাথার উপর পাকা ছাদ পাবেন দেশের সমস্ত দরিদ্র মানুষ। সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই কেন্দ্রের প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। এই প্রকল্পে নাম থাকলেই বাড়ি বানানোর জন্য টাকা দেবে সরকার। সরাসরি ঢুকবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। কিন্তু সমস্যা হল, নাম তোলার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পঞ্চায়েত বা পুরসভায় গিয়ে হত্যে দিতে হয়। যার ফলে সময় নষ্ট তো হয়ই, হয়রানিও কম হয় না। এর থেকে মুক্তি দিতেই অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এর ফলে সময় তো বাঁচবেই, আরকোনও সরকারি আধিকারিকের হাতে-পায়েও ধরতে হবে না। সেই সঙ্গে ঘরে বসেই স্মার্ট ফোন অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমেই সেরে ফেলা যাবে গোটা প্রক্রিয়া। এখন দেখে নেওয়া যাক, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য অনলাইনে কী ভাবে আবেদন করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় আবেদন করার জন্য কিছু নথিপত্র দরকার। তাই অনলাইনে কাজ শুরুর আগে সে সব গুছিয়ে নিয়ে বসতে হবে।
আধার কার্ড। এটা ছাড়া আবেদন করা যাবে না। আধার কার্ড স্ক্যান করে সাবমিট করতে হবে।
প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট। আইডেন্টিটি কার্ড বা পরিচয়পত্রের প্রমাণ হিসেবে এগুলি লাগবে।
ইকোনমিকাল উইকার সেকশন সার্টিফিকেট। অর্থাৎ গ্রাহক যে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া, তার প্রমাণপত্র। এই সার্টিফিকেট সাধারণত তিন ধরনের হয়। প্রথমত, যাঁদের আয় ৩ লক্ষ টাকা বা তার কম, তাঁদের ইডব্লিউএস বিভাগে ফেলা হয়। যাঁদের আয় ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হয়, তাঁরা পড়েন এলআইজি বিভাগে। ৬ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে মিডল ইনকাম গ্রুপ ১ বা এমআইজি ১ বিভাগের আওতায় ফেলা হবে। আর আয় ১২ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা হলে তা এমআইজি ২ বিভাগে পড়বে। কতটা সরকারি সাহায্য পাওয়া যাবে, সেটা নির্ভর করবে গ্রাহক কোন বিভাগে পড়ছেন তার উপর।
আইটি রিটার্ন সার্টিফিকেট।
প্রপার্টি ভ্যালুয়েশন সার্টিফিকেট। গ্রাহক যে জমিতে বাড়ি বানাতে চান, তার বিস্তারিত বিবরণ। এটা সম্পত্তির বাজারমূল্য নির্ধারণে সাহায্য করে।
ব্যাঙ্ক ডিটেলস। যিনি আবেদন করছেন, তাঁর নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। কারণ সরকারের পাঠানো টাকা সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।
গ্রাহকের যে পাকা বাড়ি নেই, তার সার্টিফিকেট বা প্রমাণপত্র।
এর পর ‘মেনু বার’-এর ‘সিটিজেন অ্যাসেসমেন্ট’ অপশনে গেলে ‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ অপশন আসবে। এই ‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’-এর আবার ৪ টি ভাগ আছে। ইন সিটু স্লাম রি ডেভলপমেন্ট বা এসএসআর, অ্যাফর্ডেবল হাউসিং ইন পার্টনারশিপ, বেনিফিসিয়ারি লিড কনস্ট্রাকশন/এনহ্যান্সমেন্ট (বিএলসি/বিএলসিই) এবং ক্রেডিট লিঙ্ক সাবসিডি স্কিম বা সিএলএসএস। যে হেতু নতুন বাড়ি তৈরির আবেদন করা হচ্ছে, তাই ‘ইন সিটু স্লাম রি ডেভলপমেন্ট বা এসএসআর বা অ্যাফর্ডেবল হাউসিং ইন পার্টনারশিপ – এই দু’টি অপশনের মধ্যে একটি বাছতে হবে। গ্রাহক যদি শহরের বস্তির বাসিন্দা হন, তা হলে ‘ইন সিটু স্লাম রি ডেভলপমেন্ট অপশন বাছতে হবে। আর যদি গ্রামের বাসিন্দা হন, নিজের জমিতে বাড়ি তৈরি করতে চান, তা হলে অ্যাফর্ডেবল হাউসিং ইন পার্টনারশিপ বাছতে হবে।
এর পরের ধাপে গ্রাহককে আধার কার্ডের নম্বর এবং আধার কার্ডে যে নাম আছে, তা বসাতে হবে।
তা হলেই অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম বা আবেদনপত্রটি খুলে যাবে। এর পর সেখানে যাবতীয় তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।
এর পর আসবে একটা ক্যাপচা। সেটা সঠিক ভাবে দিয়ে আবেদনপত্রটি জমা করতে হবে। এ বার জমা করা ফর্মটির একটি প্রিন্ট আউট বের করে গ্রাহক নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন।
এ বার যদি গ্রাহকের মনে হয় আবেদনে কোনও ভুল আছে, তা হলে তা ঠিক করারও ব্যবস্থা আছে। সিটিজেন অ্যাসেসমেন্টের ‘অ্যাপ্লাই অনলাইন’ অপশনের নীচেই আছে এডিট অ্যাসেসমেন্ট ফর্ম’। সেটাতে ক্লিক করলেই দু’টি বক্স আসবে। একটিতে অ্যাসেসমেন্ট আইডি এবং অন্যটিতে মোবাইল নম্বর। বক্স দু’টোয় সঠিক তথ্য দিয়ে জমা দিলেই খুলে যাবে মূল ফর্ম। এ বার সেখানে যেটা ভুল হয়েছে, সেটা ঠিক করে পুনরায় আবেদনপত্রটি জমা করতে হবে।
এ বার আবেদনপত্রটি কোন পর্যায়ে আছে, সেটিও ঘরে বসেই দেখে নেওয়া যায়--
আগের মতোই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ওয়েবসাইটে গিয়ে সিটিজেন অ্যাসেসমেন্ট অপশনে যেতে হবে।
এখানে অ্যাপ্লাই অনলাইন, এডিট অ্যাসেসমেন্ট ফর্ম, প্রিন্ট অ্যাসেসমেন্ট ফর্ম এবং ট্র্যাক ইওর অ্যাসেসমেন্ট স্ট্যাটাস – এই চারটি অপশন আসবে। এর মধ্যে ট্র্যাক ইওর অ্যাসেসমেন্ট স্ট্যাটাসে ক্লিক করতে হবে।
এর পর ২টি বিকল্প গ্রাহকের সামনে আসবে। প্রথমটি হল, ‘বাই নেম, ফাদার্স নেম অ্যান্ড মোবাইল নম্বর’, দ্বিতীয়টি হল, ‘বাই অ্যাসেসমেন্ট আইডি’। গ্রাহক নিজের সুবিধে মতো যে কোনও একটা বাছতে পারেন।
এ বার তাতে সঠিক তথ্য দিয়ে সাবমিট করলেই গ্রাহক জেনে যাবেন তাঁর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কোন পর্যায়ে আছে।
Published by:Dolon Chattopadhyay
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।