বিহার: প্রথাগত চাষে লাভের পরিমাণ কম। এমন অভিযোগ প্রায়ই করেন চাষিরা। তাই অনেকেই করেন বিকল্পের সন্ধান। ঐতিহ্যগত চাষাবাদ বাদ দিয়ে যদি অন্য কিছু করতে চান, তাহলে কলা চাষ খুবই ভাল বিকল্প হতে পারে যে কোনও চাষির জন্য। কলা চাষ করে অনায়াসে লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ করা যেতে পারে। বিহারের চাষিরা দেখাচ্ছেন পথ।
মাধেপুরা জেলার গামহারিয়া ব্লকের চিকনি ফুলকাহা গ্রামে এভাবেই লাভের মুখ দেখেছেন স্থানীয় এক কৃষক। চিকনি ফুলকাহার বাসিন্দা অরুণ কুমার অবশ্য পেশায় কৃষক নন। বরং তিনি একজন কলেজ শিক্ষক। সুপল ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত। কিন্তু শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নিজের গ্রামে ব্যাপক ভাবে চাষাবাদ করেন। প্রায় ৫ একর জমিতে কলা চাষ করেছেন। দাবি, এই চাষ থেকে ভাল রকম লাভও পেয়েছেন।
ধৈর্যের প্রয়োজন—
অধ্যাপক অরুণ কুমার জানান, প্রাথমিক ভাবে তিনি মনে করেছিলেন যে কলা চাষ করলে আদতে লোকসান ছাড়া আর কিছুই হবে না। কিন্তু তখন তাঁকে উদ্যানপালন বিভাগের এক আধিকারিক পরামর্শ দেন। ওই আধিকারিকের অনুরোধই কলা চাষ শুরু করেন অধ্যাপক।
আরও পড়ুন: ২০০০ টাকার নোট নিয়ে ফের সমস্যা! নদিয়ার পেট্রোল পাম্পে কেন ছুটছে মানুষ? জানুন
কিন্তু তাতেও সব যে ভাল হয়েছিল তা নয়। প্রাথমিক ভাবে এক বছর লাভের মুখ দেখেননি অরুণ কুমার, ক্ষতি হয়। দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু তারপর যখন কলা গাছে ফল ধরতে শুরু করে তখন থেকেই আশার সঞ্চার হয়। বাজারে ভাল দামে বিক্রিও শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে কলা চাষের পরিধি বৃদ্ধি করেছেন তিনি। জানান, এই মুহূর্তে প্রায় ৫ একর জমিতে কলা চাষ করছেন তিনি।
বিহারের মাটিতে কলা চাষ—
অরুণ কুমার বলেন, ‘আমাদের জেলার মাটি টি-নাইন জাতের কলা চাষ উপযোগী। এই জাতটি এই ধরনের মাটিতে ভাল ফলন দিতে পারে।’ তিনি জানান, কৃষকরা প্রতি একরে ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারেন। সনাতন পদ্ধতিতে ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি চাষে খরচ বেশি এবং ফলন অনুযায়ী লাভও কম। কিন্তু কলা চাষ করলে কম খরচে বেশি লাভ করা যায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই অঞ্চলের কৃষকরা কলা চাষ করতে চাইলে বিনামূল্যে বীজ, উপযুক্ত পরামর্শ দিতে তিনি প্রস্তুত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Agriculture, Banana, Banana Farming