মাত্র ২ টাকার একটি চারা রোপণ করে বহুগুণ লাভ করা যেতে পারে— এমন কথা কি সত্যিই কেউ ভেবে দেখেছেন! শুনতে যতই অদ্ভুত লাগুক, কথাটা একেবারে সত্যি। কথা হচ্ছে পেঁপে গাছের। এই গাছে চারা কিনতে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২ টাকায়। আর তা থেকে লাভ করা যায় প্রচুর।
প্রকৃতপক্ষে, বিহারের উদ্যানপালন বিভাগ পেঁপে চাষ জনপ্রিয় করতে বিশেষ প্রচার শুরু করেছে। পেঁপে চাষ করে কৃষকরা ভাল মুনাফা অর্জন করতে পারেন বলে অধিদফতরের কর্তারা মনে করছেন। কৃষকদের উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকার পেঁপে চাষে ৭৫ শতাংশ ভর্তুকিও দিচ্ছে।
এক একরে এক হাজার গাছ—
উদ্যানপালন আধিকারিক কিরণ ভারতী জানান, মাধেপুরা জেলায় পেঁপে চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে জেলার উদকিশনগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত আলমনগর ও চৌসা ব্লকে এই চাষ করা হচ্ছে। এলাকার কৃষকরা লাভও পাচ্ছেন। জেলার কৃষক যাঁরা পেঁপে চাষ করতে চান তাঁদের উদ্যানপালন বিভাগ থেকে এক একরে ১০০০ চারা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভাতের চেয়েও ভাল ‘পান্তাভাত’…? গবেষণায় চমকে দেওয়া ফল! গরমকে তুড়ি মেরে ঠান্ডা করুন পান্তায়
এর উপর তাঁরা ৭৫ শতাংশ অনুদানও পাবেন। তিনি জানান, এই এলাকায় ‘রেড লেডি’ জাতের পেঁপে চাষ করা হয়েছে। তবে তাইওয়ান জাতেরও চাষ করা যায় এই এলাকায়। ‘রেড লেডি’ জাতের ফল সব থেকে কম সময়ে সব থেকে বেশি ফল দিতে পারে। একটি গাছ থেকে ৩০ থেকে ৪০ কিলোগ্রাম ফল পাওয়া যায়।
জানা গিয়েছে, উদ্যানপালন বিভাগ প্রথমে চারা প্রতি ৬ টাকা ৫০ পয়সা দাম টাকা নেয়। কিন্তু এক বছর পর ওই কৃষকের অ্যাকাউন্টে ৪ টাকা ৫০ পয়সা ভর্তুকি দেওয়া হয়।
অনলাইনে আবেদন—
সংশ্লিষ্ট আধিকারিক জানান, এই প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যানপালন মিশনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে, যে কোনও কৃষক উদ্যানপালন বিভাগের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও যাঁরা নিবন্ধিত কৃষক তাঁরা কিষাণ ভবন বা তাঁদের আশপাশের CSC থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
আবেদনের জন্য জমির নথি, রশিদ এবং কৃষকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর-সহ আধার কার্ডের একটি অনুলিপি জমা দিতে হবে। অনলাইনে আবেদন পাওয়ার পর আবেদন যাচাই করে দেখা হবে। তারপর অধিদফতর থেকে চাহিদা অনুযায়ী চারা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Farming