ক্রমাগত চাষের ফলে জমির উর্বরতা কমে যেতে পারে। কৃষক যদি তাঁর খেতের উর্বরতা বাড়াতে চান, তাহলে সরাসরি সাহায্য চাওয়া যেতে পারে সরকারের কাছে। প্রকৃতপক্ষে, সবুজ সার প্রকল্পের অধীনে, বিহার কৃষি বিভাগ ধইঞ্চা ফসল চাষে উৎসাহিত করছে। ধইঞ্চা চাষকে জনপ্রিয় করে তুলতে সে রাজ্যের কৃষি বিভাগ বীজ বিতরণ প্রকল্প তৈরি করছে। এই অনুদান পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনের করা যাবে ১২ মে ২০২৩ পর্যন্ত।
অনলাইনে কোথায় আবেদন করতে হবে:
DBT পোর্টাল https://dbtagriculture.bihar.gov.in বা brbn.bihar.gov.in লিঙ্কে BRBN পোর্টালে আবেদন করতে হবে। আবেদনের শেষ তারিখ ১২ মে। এই আবেদন করার জন্য কৃষকের রেজিস্টার্ড নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক। সরকার জৈব ও প্রাকৃতিক চাষকে উৎসাহিত করতে সবুজ সার উৎপাদনে উৎসাহিত করছে। একজন কৃষক সর্বোচ্চ এক হেক্টর চাষের জন্য আবেদন করতে পারেন। এক হেক্টর চাষের জন্য কৃষক পাবেন ২০ কেজি ধইঞ্চা বীজ। কৃষকদের উৎসাহিত করতে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিভাগ।
জেনে নেওয়া যাক ধইঞ্চা চাষে কী কী লাভ—
জেলা কৃষি আধিকারিক অনিল কুমার যাদব বলেন, ধইঞ্চা চাষ করলে জমি নাইট্রোজেন, পটাশ, সালফার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, আয়রন সহ পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায়। যার কারণে পরবর্তী ফসলে কৃষকদের কম ইউরিয়া দরকার।
সবুজ সার দিয়ে জমিতে জৈব পদার্থ বৃদ্ধির ফলে জল সংরক্ষণ ও সুষম পরিমাণে পুষ্টি পেয়ে জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পায়। ধইঞ্চা ফসল তৈরি হওয়ার জমিতেই তা পচিয়ে ফেলা হয়। যার কারণে ফসলের ফলন বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও কম রাসায়নিক সার প্রয়োজন।
৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভর্তুকি—
এই চাষ করলে জমির উর্বর শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি চাষে কৃষকদের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভর্তুকিও দেওয়া হয়। এজন্য কৃষকরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনও শুরু হয়েছে। ১২ মে আবেদনের শেষ তারিখ। সদর দফতর থেকে ১৬২ কুইন্টাল বীজের অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে জানান হয়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Agriculture News, Bihar