চার কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ প্রস্তুত, এখন ২২ ঘণ্টার যাত্রা ১০ ঘণ্টায় সম্পন্ন হবে ! ২১ মিটার প্রশস্ত রাস্তা জুড়ল গুরুগ্রাম-ভদোদরা

Last Updated:

Mukundra Hills Tunnel : এই টানেলের মাধ্যমে কেবল দুটি শহরের মধ্যে দূরত্বই হ্রাস পাবে না, বরং ভ্রমণের সময়ও যথেষ্ট কমবে। বলা হচ্ছে যে কাজ সম্পূর্ণ সম্পন্ন হওয়ার পর গুরুগ্রাম থেকে ভদোদরার দূরত্ব মাত্র ১০ ঘণ্টায় অতিক্রম করা যাবে, যা বর্তমানে ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা সময় নেয়।

২১ মিটার প্রশস্ত রাস্তা জুড়ল গুরুগ্রাম-ভদোদরা (Photo: AI/Representational Purpose)
২১ মিটার প্রশস্ত রাস্তা জুড়ল গুরুগ্রাম-ভদোদরা (Photo: AI/Representational Purpose)
নয়াদিল্লি: নাগরিকের সুবিধার্থে সব দিক থেকে প্রস্তুত সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার লক্ষ্যে এবার আরও এক ধাপ এগোল দেশ, পেল এক অত্যাধুনিক সড়ক। দেশের প্রধান শহরগুলির মধ্যে ভ্রমণের সময় কমাতে মোদি সরকার ক্রমাগত হাইওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল এবং ফ্লাইওভার নির্মাণ করছে। এই লক্ষ্যেই গুরুগ্রাম থেকে গুজরাতের ভদোদরা শহর পর্যন্ত নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এই পথে সবচেয়ে বড় বাধা ছিল রাজস্থানের আরাবল্লী পাহাড়ের বুক চিরে সুড়ঙ্গ তৈরি করা, তবে, এর নির্মাণ কাজ এখন সম্পন্ন হয়েছে। এই টানেলের মাধ্যমে কেবল দুটি শহরের মধ্যে দূরত্বই হ্রাস পাবে না, বরং ভ্রমণের সময়ও যথেষ্ট কমবে। বলা হচ্ছে যে কাজ সম্পূর্ণ সম্পন্ন হওয়ার পর গুরুগ্রাম থেকে ভদোদরার দূরত্ব মাত্র ১০ ঘণ্টায় অতিক্রম করা যাবে, যা বর্তমানে ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা সময় নেয়।
advertisement
সরকার প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে দিল্লি থেকে মুম্বই পর্যন্তও একটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে, যার ৮০ শতাংশেরও বেশি কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এই ১,৩৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটটিকে দেশের বৃহত্তম এক্সপ্রেসওয়ে হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বেশ কয়েকটি অংশে নির্মিত হচ্ছে। দিল্লি থেকে দৌসা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এখন ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলের কাজও প্রায় শেষের মুখে, এটি ২০২৫ সালের অক্টোবরে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
advertisement
দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়ের একটি বড় অংশ রাজস্থানের মধ্য দিয়ে যায় এবং দৌসা পর্যন্ত গিয়ে এই পথ আরও এগিয়ে কোটা জেলা পর্যন্ত যায়। মুকুন্দ্রা পাহাড়ের কাছে এই দুই জেলার মধ্যে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সুড়ঙ্গ নির্মাণ করা হয়েছে, যার কাজও প্রায় সম্পূর্ণ। একবার সম্পন্ন হলে, এক্সপ্রেসওয়েটি সরাসরি পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাবে এবং সমগ্র পাহাড়ি ভূখণ্ড অতিক্রম করবে। এই টানেলটিতে দুই লেন থাকবে; এর একটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্যটির কাজ প্রায় শেষের পথে। এই সুড়ঙ্গটি মুকুন্দ্রা টাইগার রিজার্ভ অতিক্রম করে বন্য প্রাণীদের ক্ষতি না করেই যানবাহন চলাচলের জন্য একটি অভিনব উপায় প্রদান করবে।
advertisement
মুকুন্দ্রা পাহাড়ে নির্মিত এই সুড়ঙ্গ অতিক্রম করার পর এক্সপ্রেসওয়েটি সরাসরি গুজরাতের সীমান্তে প্রবেশ করবে। এই পথটি কোটা অঞ্চল এবং ভদোদরার মধ্যে একটি করিডোর তৈরি করবে। এর পরে এই এক্সপ্রেসওয়েটি ভদোদরায় গিয়ে শেষ বেয়। সামনের রাস্তাটি এক্সপ্রেসওয়ের অন্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত, যা সরাসরি মুম্বইয়ের দিকে চলে যায়। এইভাবে, মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে দিল্লি থেকে মুম্বই পৌঁছানো যাবে। বর্তমানে, এই দূরত্ব অতিক্রম করতে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।
advertisement
দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়েটি ৮ লেনের তৈরি হচ্ছে এবং এর প্রস্থ প্রায় ২১ মিটার । এক্সপ্রেসওয়েটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে পরবর্তীতে কোনও ঝামেলা ছাড়াই এটি ১২ লেনে সম্প্রসারিত করা যায়। এই এক্সপ্রেসওয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং পর্যটনকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করবে। এক্সপ্রেসওয়েটি দ্রুতগতির ভ্রমণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে ১২০ কিলোমিটার গতিতেও গাড়ি চালানো সম্ভব হয়।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
চার কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ প্রস্তুত, এখন ২২ ঘণ্টার যাত্রা ১০ ঘণ্টায় সম্পন্ন হবে ! ২১ মিটার প্রশস্ত রাস্তা জুড়ল গুরুগ্রাম-ভদোদরা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement