হোম /খবর /বীরভূম /
স্বাস্থ্যকর্তাকে মারতে তেড়ে গেলেন সচিব! বাংলায় 'ব্যাটেল অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ি

Fight Between Government Employee: দুই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের মধ্যে মারামারি! সিউড়িতে এ যেন 'ব্যাটেল অফ গভর্নমেন্ট এমপ্লয়ি'

রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকের মধ্যে মারামারির এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়িতে। বিষয়টি জানাজানি হতে তাজ্জব হয়ে গিয়েছে সকলে।

  • Share this:

বীরভূম: তিনি জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বোচ্চ কর্তা। সেই তাঁরই সরকারি অফিসে ঢুকে মারধর করার অভিযোগ উঠল রাজ্যের সচিব পর্যায়ের এক সরকারি কর্তার বিরুদ্ধে! রাজ্য প্রশাসনের দুই শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকের মধ্যে মারামারির এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়িতে। বিষয়টি জানাজানি হতে তাজ্জব হয়ে গিয়েছে সকলে।

বীরভূমের সিএম‌ওএইচ হিমাদ্রী আড়ি। সিউড়িতে তাঁর চেম্বারে ঢুকে চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে সচিব পর্যায়ের ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত রাজ্য সরকারের সচিব পর্যায়ের ওই আধিকারীকের চিকিৎসক স্ত্রীকে কেন্দ্র করে। তিনি সিউড়ির বড়চাতুরি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। মাসখানেক ধরে তাঁর বেতন আটকে আছে। পাশাপাশি কাজের শংসাপত্র পাওয়া নিয়েও জটিলতা দেখা দিয়েছে। তার জেরেই ওই মহিলা চিকিৎসকের স্বামী, যিনি নিজের রাজ্য সরকারের একজন সচিব তিনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে পাচার হওয়া থেকে তিন নাবালিকাকে বাঁচিয়ে শিলিগুড়িতে হিরো টোটো চালক খুরশিদ

সূত্রের খবর, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে মারতে গেলে তাঁর অফিসের বাকি কর্মীরা এসে সচিব পর্যায়ের ওই অফিসারকে সরিয়ে নিয়ে যায়। সেই সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিস্তর গালিগালাজ নিক্ষিপ্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর সচিব পর্যায়ের ওই অফিসার ও তাঁর চিকিৎসক স্ত্রী বীরভূমের জেলাশাসকের অফিসে গিয়ে হাজির হন। সেখানে আসেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রী আড়ি’ও। জেলাশাসক ওই দুই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিককে নিজের চেম্বারে বসিয়ে আলোচনা করেন। দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তার পর সাময়িকভাবে সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু রাতে দুই পক্ষই সিউড়ি থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।

ঘটনা প্রসঙ্গে সচিব পর্যায়ের ওই আধিকারিকের চিকিৎসক স্ত্রী বলেন, আমার বেতন কেনো দেওয়া হচ্ছে না সেই কারণ জানতে চেয়ে আমার সিএম‌ওএইচ-র কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু ওনারা কোনও কাগজই দেখাতে চাইছেন না। ওনারাই ঝামেলা শুরু করেন। তাই আমরা ডিএম স্যারের কাছে আসি। এদিকে বীরভূমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রী আড়ি বলেন, অফিসের একজন কর্মচারীর সমস্যায় হয়েছিলো। সেই নিয়েই কথা কাটাকাটি হয় এবং আমাকে মরতে আসে। তারপরই আমরা ডিএম স্যারের কাছে আসি। এখন বিষয়টি মিটে গেছে। এদিকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত সচিব বলেন, আমাকে সিএম‌ওএইচ-র কর্মচারীরা লাঠি দিয়ে মেরেছে। এমনকি আমার স্ত্রীকেও মারার চেষ্টা করেছে।

দুই উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকের মধ্যে এমন মারামারির ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানান, আজ সিএম‌ওএইচ অফিসে একটি অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছে। তারপরই দু’পক্ষ এখানে আসেন এবং তাঁদের নিয়ে আলোচনা হয়। সিউড়ির বড়চাতুরী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হোমিওপ্যাথি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকের বেতন আটকে থাকা নিয়ে একটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আলোচনা করে বিষয়টি মোটামুটি মিটিয়ে নেওয়া গিয়েছে। তবে সিএমওএইচ অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জেলাশাসক জানান।

Published by:kaustav bhowmick
First published:

Tags: Attack, Birbhum news, Cmoh, Fight