#বীরভূম : করোনাকালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে দু'বছর মেধাতালিকা প্রকাশ বন্ধ থাকার পর চলতি বছর প্রকাশিত হয়েছে মেধাতালিকা। এই বছর এই মেধাতালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই দেখা যায় একের পর এক চমক। একসঙ্গে ২৭২ জন প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছেন। যা ঐতিহাসিক। ঐতিহাসিক এই ফলাফলের পাশাপাশি এই বছরে এমন কয়েকজন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন যাদের কথা না বললেই নয়। একেবারে হত দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসে এই সকল পরীক্ষার্থীরা মেধা তালিকায় জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। এই সকল পড়ুয়াদের মধ্যেই একজন হলেন বীরভূমের মনিরা খাতুন।
হাজার প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে বীরভূমের মল্লারপুর থানার অন্তর্গত মুরলিডাঙ্গার মনিরা এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে অষ্টম এবং জেলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছেন। তার প্রাপ্ত নম্বর হল ৪৯১। মনিরা জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী।
নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মনিরাকে হাজার প্রতিকূলতা সহ্য করতে হয়েছে। তার বাবা মাহিরুল শেখ একটি দুর্ঘটনার পর থেকেই বিকলাঙ্গ। কাজ করার কোনও ক্ষমতা নেই। মা মন্নকা বিবি একজন গৃহবধূ। তাদের রয়েছে ১৫ কাঠা জমি অর্থাৎ এই জমি এক বিঘাও নয়। এই জমিতে চাষ করে যেটুকু ধান পাওয়া যায় সেই ধান থেকে যা চাল পাওয়া যায় তা দিয়ে তাদের সারা বছর টানটান করে চালাতে হয়। বাকি এর ওর থেকে সাহায্য নিয়ে সংসার চলে।
এমন পরিস্থিতিতে উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনার জন্য মনিরা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ থেকে ১২ হাজার টাকা পায়। বাকি খরচ খরচের জন্য স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং পরিবারের অন্যান্যরা যেটুকু সাহায্য করতেন তা দিয়েই তার পড়াশোনা সম্পূর্ণ হয়েছে। এইভাবে খড়ের চালা ঘরে বাস করেই মনিরা আজ উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে অষ্টম স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছেন। তার স্বপ্ন আগামী দিনে বিডিও হওয়ার।
মাধব দাস
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।