Sundarpur Village: পুনরায় সেজে উঠছে বন্যায় জর্জরিত সুন্দরপুর গ্রাম! খুশি এলাকাবাসী
Last Updated:
গত বছর অক্টোবর মাসের দু'তারিখ বন্যায় ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় বীরভূমের নানুরের সুন্দরপুর গ্রাম। মধ্যরাতে অজয় নদের বাঁধ ভেঙে এই গ্রাম প্লাবিত হয়।
#বীরভূম : গত বছর অক্টোবর মাসের দু'তারিখ বন্যায় ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় বীরভূমের নানুরের সুন্দরপুর গ্রাম। মধ্যরাতে অজয় নদের বাঁধ ভেঙে এই গ্রাম প্লাবিত হয়। তড়িৎ-এর গতিতে গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করা নদীর জল সমস্ত কিছু ধুয়ে মুছে সাফ করে নিয়ে যায়। সেদিনের সেই ঘটনায় বড় বড় কংক্রিটের বাড়ি যেন ভূমিকম্পে ভেঙে পড়ার মতো টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে। নিমেষের মধ্যে এলাকার প্রায় ৭৫ টি পরিবারের স্বপ্ন চুরমার হয়ে পড়ে।
তবে এই সকল বাসিন্দাদের পাশে তৎক্ষণাৎ দাঁড়ায় বীরভূম জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকার। সর্বস্ব হারিয়ে ভেঙে পড়া মানুষগুলিকে আশ্বাস দেওয়া হয়, কয়েক মাসের মধ্যেই সুন্দরপুরকে ফের সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। এই আশ্বাস দেওয়া হয় বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আর সেই আশ্বাসই এখন ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ধীরে ধীরে গৃহহীন মানুষগুলি পুনরায় ফিরে পাচ্ছেন তাদের আশ্রয়স্থল।
advertisement
advertisement
বিধ্বংসী সেই বন্যার পর থেকে এই গ্রামের বাসিন্দারা নদী পাড়ে বসবাস শুরু করে। প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়ে নতুন করে গ্রাম তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভিটেমাটি ছেড়ে যেতে রাজি হননি ওই সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এরপরেই প্রশাসনের তরফ থেকে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী আগের জায়গাতেই নতুন করে বাড়ি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ৭৫টি পরিবারকে মাথাপিছু ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
advertisement
গ্রামটিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার জন্য প্রায় কোটি টাকা ব্যয় করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ, পানীয় জল সহ অন্যান্য পরিষেবা যাতে সঠিকভাবে গ্রামবাসীরা পান, তার ব্যবস্থা করছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। এছাড়াও প্রশাসনিক ভাবে বন্যার পর ওই এলাকায় যেসকল গর্ত হয়ে গিয়েছিল সেই সকল গর্ত ভরাট করার কাজ করা হয়। প্রশাসনের আশ্বাস, চলতি বছর বর্ষা আসার আগেই তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের।
advertisement
প্রশাসনিক এই সহযোগিতা পেয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করতে এলাকার বাসিন্দারা ব্যস্ত হলেও, তাদের অবস্থা এখনও নিদারুণ অসহায়। কারণ তাদের চাষবাসও এখন বন্ধ। অধিকাংশ জমি বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে। তারা এখন যেকোন উপায়ে মাথাগোঁজার ঠাঁই আগে তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
Madhab Das
Location :
First Published :
May 27, 2022 2:03 PM IST