Durga Puja 2023: লুচি, সুজি, খিচুড়ি নিবেদন করা হয় ভোগপ্রসাদে, প্রাচীন এই পুজো ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- hyperlocal
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Durga Puja 2023: পুজোর চারদিন এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও নবমীর দিন মা দুর্গাকে খিচুড়ির ভোগ নিবেদন করা হয়
সৌভিক রায়, বীরভূম: সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো।এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি একেবারেই তুঙ্গে। কোথাও চলছে প্যান্ডেল সাজানো, কোথাও বা মাটির প্রতিমা তৈরিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তবে এ তো গেল থিমের পুজো। এর বাইরেও রয়েছে বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো।
তবে এক অন্য রকমের পুজো দেখা গেল বীরভূমের রামপুরহাটে খরবোনা গ্রামে। কথিত আছে ৫০০ বছর আগে গ্রামের মাতা ভৈরবীর মন্দির থেকে মা দুর্গার মূর্তি এনে পাশের এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর পর থেকেই প্রাচীন রীতিতে হয়ে আসছে মায়ের আরাধনা। কথিত, গ্রামের মানুষের কাছে আগে এক মুঠো চাল এবং এক মুঠো ডাল চেয়ে মায়ের পুজো করা হত। প্রাচীন সেই রীতি মেনে আজও মায়ের পুজো করা হয়ে থাকে। বৈষ্ণব মতে এখানে পূজিত হয়ে থাকেন মা। পুজোর চারদিন এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও নবমীর দিন মা দুর্গাকে খিচুড়ির ভোগ নিবেদন করা হয়। পরবর্তীতে সেই খিচুড়ির ভোগ আবার সাধারণ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সপ্তমী , অষ্টমী তিথিতে লুচি,সুজি মিষ্টি সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হয়।
advertisement
advertisement
রামপুরহাটের খরবোনা গ্রামে মোট চারটি দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। তবে সব থেকে জাগ্রত সাহাপাড়ার মায়ের পুজো দেখতে প্রচুর ভক্তের ভিড় জমে।গ্রামবাসী পবন সাহা বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামের এই পুজো হয়ে আসছে প্রায় ৫০০ বছর। পুজোর এক মাস আগে থেকে আমরা গ্রামবাসী বাড়ি বাড়ি যাই। যার যতটা সামর্থ্য, দিয়ে থাকেন৷ কেউ দেন চাল, আবার কেউ দেন ডাল, সবজি, টাকা। পুজোর চার দিন মহাসমারোহে মা দুর্গার আরাধনা করে থাকেন গ্রামবাসীরা। বাইরে থেকে আত্মীয়স্বজনেরা আসেন পুজো দেখতে। মায়ের মূর্তি হয় সাবেকি। গ্রামে আরও চারটি পুজো হলেও কিন্তু এই পুজো নিয়ে গ্রামের মানুষের উন্মাদনা বেশি।
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
October 09, 2023 2:51 PM IST