Birbhum News: ২০০ ভুতুড়ে অ্যাকাউন্ট, যোগ চালকলের মালিকের সঙ্গে, নির্বিচারে গরিব লোকের আই-ডি ব্যবহার
- Published by:Uddalak B
- news18 bangla
Last Updated:
Birbhum News: ২০০ ভুতুড়ে অ্যাকাউন্টের হদিশ। কিভাবে গ্রামবাসীদেরকে টাকার লোভ দেখিয়ে অ্যাকাউন্টগুলিকে খোলা হয়েছিল তার উত্তর খুঁজছে তদন্ত সংস্থা।
লাভপুর, বীরভূম: লাভপুরের বিষয়পুর গ্রামে ২০০ ভুতুড়ে অ্যাকাউন্টের হদিশ। কিন্তু কী ভাবে গ্রামবাসীদের টাকার লোভ দেখিয়ে অ্যাকাউন্টগুলিকে খোলা হয়েছিল। সিউড়ির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে এই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়।
সূত্রের খবর লাভপুরের একটি ধানকলের পক্ষ থেকে এই অ্যাকাউন্টগুলিকে খোলার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল লাভপুরের বাসিন্দা ভাদু ধীবরকে৷ আর এই ভাদু ধীবরই বিষয়পুর ছাড়াও লাভপুরের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে হতদরিদ্র গ্রামবাসীদের কাছ থেকে মাত্র হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে তাঁদের সচিত্র পরিচয় পত্র অর্থাৎ আধার কার্ড ভোটার কার্ড এবং এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি নেওয়া হয়। পরবর্তী সময় দেখা যায় অর্থাৎ দীর্ঘ পাঁচ মাস পর যাদের কাছ থেকে তাদের সচিত্র পরিচয় পত্র নেয়া হয়েছিল তাদের প্রত্যেকের বাড়িতেই সিউড়ির ওই সরকারি ব্যাঙ্কের চেক বুক ও পাসবুক আসে ক্যুরিয়র মারফত। ঠিক তারপরেই আবারও গ্রামে দেখা যায় অভিযুক্ত ভাদু ধীবরকে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: ১ লিটার দুধের প্যাকেট ২১০ পাক রুপি, ১ কেজি চিকেন ছুঁয়েছে ৭৮০ পাক রুপি, খাবারের আকাশছোঁয়া দামে নাভিশ্বাস পাকিস্তানবাসীর
তখন অভিযুক্ত মহিলা গ্রামবাসীদের কাছ থেকে পাসবুক ও চেকবুক নিয়ে তাঁদের হাতে হাজার টাকা করে তুলে দেয়। যে সমস্ত গ্রামবাসীরা ভাদু ধীবরের হাতে ওই কাগজপত্রগুলি দেয়নি, বিশেষ করে ব্যাঙ্কের পাসবুক ও চেকবুক তাদেরকে কোন টাকাও দেওয়া হয়নি। যদিও ওই অ্যাকাউন্টগুলিতেই লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতিমাসের ট্রানজাকশন করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। যে সমস্ত হতদরিদ্র গ্রামবাসীরা জীবনে কখনও পঞ্চাশ হাজার টাকাও একসঙ্গে দেখেননি, তাদের অ্যাকাউন্টে কোনও মাসে তিন লাখ, কোনও মাসে সাড়ে তিন আবার ছ’লক্ষ টাকা পর্যন্ত ট্রানজাকশন করা হয়েছে ওই একাউন্টগুলিতেই। প্রশ্ন তাহলে কেন হতদরিদ্র মানুষের অ্যাকাউন্টগুলিকে ব্যবহার করা হল লক্ষাদিক টাকার ট্রানজাকশনের জন্য।
advertisement
বিশেষ সূত্রের দাবি, লাভপুরেরই একটি চালকল রয়েছে বা ধানকল রয়েছে সেই ধানকলের মালিকই ভুতুড়ে অ্যাকাউন্টগুলি খোলার জন্য নিযুক্ত করেছিলেন ভাদু ধীবরকে এবং ওই ভাদু ধীবর বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে গ্রামবাসীদের কাছ থেকে তাদের সচিত্র পরিচয় পত্র বা একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যা কাগজ প্রয়োজন, সেই সমস্ত কাগজ নিয়ে আসেন। এবং ওই মিল মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময় ওই ধানকল মালিক বা চালকল মালিক সিউড়ির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টগুলি খোলার ব্যবস্থা করেন। যদিও ওই অ্যাকাউন্টগুলি খোলার সময় যাদের সচিত্র পরিচয় পত্র নেওয়া হয়েছিল তাদেরকে কোন সই বা টিপসই পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। এই ঘটনাটি ঘটেছে ২০১৯ সাল থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত।
advertisement
পরবর্তী সময়ে গ্রামবাসীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে খোঁজ পেয়ে তাদের আধার কার্ড নিয়ে সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে দেখেন যে ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে লেনদেন হচ্ছে। নিউজ এইট্টিন বাংলায় সর্বপ্রথম তাঁদের খোঁজ পায় এবং তাদের বাড়ি গিয়ে তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা তাঁদের অভিযোগ জানান ।যদিও ভাদু-বিবরের কোন খোঁজ মেলেনি, ভাদু বাড়িতে ছিলেন না বলেই দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা জানান তাঁদের কাছ থেকেও কাগজ চাওয়া হয়েছিল, কিন্তু তাঁরা দেননি। মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ তিনি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন এবং তিনি জানান এই কাগজ সম্পর্কে বা কাগজ নিয়ে আসা সম্পর্কে কিছুই জানেন না বা তিনি বলতে পারবেন না।
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
February 22, 2023 6:30 PM IST
