Birbhum news: একমাত্র ডব্লুবিসিএস অফিসার হিসাবে বীরভূমের ডিএম এই পুরষ্কার পেলেন
- Published by:Nagantara
- hyperlocal
- Reported by:SUBHADIP PAL
Last Updated:
স্বাধীনতা দিবসের দিন রেড রোর্ডের অনুষ্ঠান থেকে জেলা শাসক বিধান রায়কে ‘এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের একমাত্র ডব্লুবিসিএস অফিসার হিসাবে বীরভূমের ডিএম এই পুরষ্কার পেলেন।
বীরভূম: স্বাধীনতা দিবসের দিন রেড রোর্ডের অনুষ্ঠান থেকে জেলা শাসক বিধান রায়কে ‘এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড’ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মোট ১১ জন প্রশাসনিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ‘ভালো কাজের’ সম্মান দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে একমাত্র ডব্লুবিসিএস অফিসার হিসাবে বীরভূমের ডিএম এই পুরষ্কার পেলেন বলে জানা গিয়েছে।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ সালে ডব্লুবিসিএস অফিসার হিসাবে কর্মজীবন শুরু। প্রথমে পুরুলিয়ার ঝালদা ১ ব্লকে বিডিও হিসাবে কাজে যোগ দেন। পরে বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি বীরভূমের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ একেবারে আত্মীয়ের মতো। এর আগে সামলেছেন রামপুরহাটের মহকুমাশাসকের পদ, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) এর পদ।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ সাধারণ কর্মী থেকে সরাসরি সভাধিপতি… অনুব্রতহীন বীরভূমে কাজলের উত্থান নিয়ে চর্চা
বর্তমানে এই জেলারই জেলাশাসকদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বীরভূমের প্রতিটি কোণ তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা। কখনও দেখা যায় সকালে ছুটছেন কোনও ‘আনন্দপাঠ’ পাঠশালায় বাচ্চাদের পড়াতে, কখনও আবার সরকারি প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে তা দেখতে ছুটছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। আবার সেই সঙ্গে অফিসে বসে সবদিকে নজর দিচ্ছেন।
advertisement
advertisement
তাঁর সুনাম জেলা প্রশাসনের সমস্ত মহলেই। এক অফিসারের কথায়, উনি যেমন কাজে গাফিলতি হলে ধমক দেন। আবার সঙ্গে সঙ্গে ভালোবেসে কাজটিও করিয়ে নিতে জানেন। সমস্ত কাজ শেষ করে রাত্রি ১২ টার পর বাড়ি যাওয়া ওনার নিত্য অভ্যাস। ডিএম মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সম্মাননা পাওয়াতে আমরা গর্বিত।
আরও পড়ুন ঃ পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ, এবার অনশনে বসলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য
এছাড়াও জানা যায়, তাঁর সময়কালে বীরভূম জেলা বেশ কিছু ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারেরও পুরষ্কার মিলেছে। রাজ্য সরকারের বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পকে বাস্তবায়নে বীরভূম হয়েছে সবার প্রথম। পাশাপাশি দেউচা পাচামি কয়লা প্রকল্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পপ্রকল্প বিধানবাবুর আমলেই বাস্তবের মুখ দেখেছে। তাঁরই ফলস্বরূপ স্বাধীনতার দিবসের দিন ওই সম্মাননা পাওয়া বলে কেউ কেউ মনে করছেন।
advertisement
অন্যদিকে, বিধানবাবুর শ্রুতিমধুর গলায় বাংলা গানেরও তারিফ করেন প্রত্যেকেই। তবে অবশ্য প্রচার থেকে একেবারেই দূরে থাকতেই পছন্দ করেন তিনি। বিধানবাবু বলেন, “এই চেয়ারে বসে আবেগী হলে চলেনা। আসলে আমরা মানুষের সেবক। অনেক মানুষ আমাদের মুখ চেয়ে বসে থাকেন। তাই সেই দায়িত্ব পালন করায় আমাদের কাজ। আর আমি বলি, ডু ইট নাও। কাজ ফেলে রাখলে চলবেনা। তবে জীবনের শুরু থেকেই স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যরা খুবই সঙ্গ দিয়েছে। চেষ্টা করি যে দায়িত্ব পেয়েছি তা পালন করার। মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরষ্কার পাওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।”
advertisement
Subhadip Pal
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
August 17, 2023 6:25 PM IST