মাধব দাস, বীরভূম : চায়ের দোকান তাও আবার 'ফালতু'। আবার লেখা রয়েছে, 'আসুন চা খান'। 'ফালতু চায়ের দোকানে' কে চা খাবে! অনেকে এমন ভাবলেও তাদের ধারণা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল। কারণ এই চায়ের দোকানে প্রতিদিন ৮০ থেকে ৯০ কিলো দুধের চা বিক্রি হয়। প্রতিদিন ওই চা বিক্রেতা কম করে ২০০০ টাকা রোজগার করেন বলে দাবি করেছেন।
দোকানকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর নাম রেখে থাকেন। তবে এই যে চায়ের দোকানটির কথা বলা হচ্ছে সেই দোকানের মালিক দোকানের এমন আজব নাম রেখেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। শুধু নামে নয়, চায়ের স্বাদ ও গুণেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। এমন আজব নামের চায়ের দোকানটি রয়েছে বীরভূমের বীরচন্দ্রপুরে। বীরচন্দ্রপুর এখন তীর্থক্ষেত্র হিসেবে বীরভূমের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম জায়গা এবং সেখানে প্রতিদিন অজস্র মানুষের সমাগম হওয়াই তার দোকানও চলে রমরমিয়ে। আবার দোকানের এমন নাম দেখে অনেকেই কৌতূহলবশত তার চায়ের দোকানে চা খেয়ে যান।
আজব নামের এই চা দোকানের মালিক হলেন বিপদতারণ সাহা। মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তি চার বছর ধরে চায়ের দোকান খুলে চা বিক্রি করছেন। তিনি এলাকায় প্রথম মাটির হাঁড়িতে চা বানানো শুরু করেন এবং পরে তা দেখে যে অন্যান্যরাও একই পদ্ধতিতে চা বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। তার চেয়ে অবশ্য নতুন কিছু উপকরণ থাকে না। কিন্তু চা তৈরি করার জাদুতেই তিনি খরিদ্দারদের দিনের পর দিন আকৃষ্ট করে যাচ্ছেন। তার দোকানের চায়ে শীতের সময় নলেন গুড় মেশানো হয় বলে জানিয়েছেন বিপদতারণ বাবু।অন্যদিকে তার দোকানে চা খেতে আসা খরিদ্দাররা জানিয়েছেন, 'চায়ের দোকানের নাম ফালতু চায়ের দোকান হলেও চা কিন্তু খেতে সেরা।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।