নানুর : নানুরের কুলে গ্রামের বহুরূপী সুবল দাস বৈরাগ্যর অভিনয় ছড়িয়ে পড়েছে দেশের নানা দিকে। বিদেশেও তিনি অভিনয় করে এসেছেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধি তাঁর অভিনয় দেখে তাঁকে নিজের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন। দিয়েছিলেন একটা গোলাপ ফুলও। সেই ফুলও তিনি সযত্নে রেখে দিয়েছেন।
পরর্বতীতে বহুরূপীর সুন্দর অভিনয়ের জন্য তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছে পুরস্কৃত হয়েছেন। সেই পুরস্কারগুলি সযত্নে সাজিয়ে রেখেছেন কিংবদন্তি বহুরূপী সুবলদাস বৈরাগ্য।
আরও পড়ুন : হাতের লেখার শৈল্পিক সৌন্দর্যে বাংলা জুড়ে বাজিমাত এই হস্তলিপি শিল্পীর
নানুর থানার অন্তর্গত কুলে গ্রাম। সেখানে গ্রামের ঢালাই রাস্তা দিয়ে সোজা নেমে গেলেই দেখা মেলে সুবলবাবুর বাড়ি। তাঁর বয়স এখন ৮৫-র ঊর্ধ্বে। গ্রামগঞ্জে তিনি আর খেলা দেখতে না গেলেও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তিনি ডাক পেলেই তিনি যান। সুবলবাবুর এক ছেলে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ও তাঁর নাতিও এই পেশায় এসেছেন।
সুবলবাবু জানান, এই পেশায় প্রথম তিনি দুর্গা সেজেছিলেন। তিনি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা শ্রীকান্ত উপন্যাসে ছিনাথ বহুরুপীর গল্প পড়েন। তার পরই ৪০ বছর বয়স থেকে এই পেশায় তিনি নিজেকে নিযুক্ত করেছিলেন। তার আগে যাত্রায় অভিনয় করতেন। তার পর যাত্রা ছেড়ে বহুরূপী পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করেন। এই পেশায় থেকেই তিনি একটা ছেলে ও দুটো মেয়ের বিয়ে দেন। সুবলবাবু এক একটা গ্রামে ১০ দিন করে থাকতেন । বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে তিনি মানুষের মন জয় করতেন। তিনি আরও জানান বিভিন্ন দেশে তিনি বহুরূপীর অভিনয় দেখাতে গিয়েছিলেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।