Birbhum News: চলে গেলেন 'এক টাকার ডাক্তার', সুশোভনবাবুর জীবনের অজানা ৬ কাহিনি জানলে চমকে উঠবেন
- Published by:Suman Biswas
- hyperlocal
Last Updated:
Birbhum News: চলে গেলেন 'এক টাকার ডাক্তার', সুশোভনবাবুর জীবনের অজানা ৬ কাহিনি জানলে চমকে উঠবেন
বীরভূম : বীরভূমের বোলপুরের হরগৌরিতলার ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জি। যিনি রাজ্যজুড়ে এক টাকার ডাক্তার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এই স্বনামধন্য চিকিৎসক মঙ্গলবার ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন। কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে শোকেস্তব্ধ হয়ে পড়ে বোলপুর।
১) এক টাকার ডাক্তার হিসাবে সুশোভন ব্যানার্জি পরিচিতি লাভ করেছিলেন দীর্ঘ ৫৭ বছর ধরে একই মূল্যে পরিষেবা প্রদান করার জন্য। তিনি প্রতিদিন গড়ে ১৫০ জন রোগী দেখতেন। দিন হোক অথবা মধ্য রাত, কারও কোনও অসুবিধা হলে তাকে ডাকা হলে তিনি সেখানে ছুটে যেতেন। কেবল বলতেন, একটি মোটরসাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে গেলেই হবে। এলাকার বাসিন্দারা যে কারণে তাকে পুরাতন বট গাছের সঙ্গে তুলনা করতেন।
advertisement
২) দিনের পর দিন এইভাবে পরিষেবা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালে ভারত সরকারের তরফ থেকে ডাক্তার সুশোভন ব্যানার্জিকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করা হয়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনবদ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য তিনি এই সম্মানে সম্মানিত হন।
advertisement
৩) জানা যাচ্ছে, আনুমানিক চার বছর ধরে তিনি কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন। কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা ধরা পড়ার পর থেকেই তার চিকিৎসা শুরু হওয়ার পাশাপাশি শুরু হয় ডায়ালাইসিস। তবে ডায়ালাইসিস চলাকালীনও তিনি রোগী দেখতেন এবং তার পরিষেবা প্রদানের জন্য খরচ নিতেন নামমাত্র এক টাকা।
advertisement
৪) গিনেস বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম তোলার জন্যও তিনি দৌঁড়েছিলেন। যদিও সেখানে তিনি সামান্য কিছু শর্ত পূরণ করতে না পারার কারণে তার নাম ওঠেনি। তবে এক্ষেত্রে অংশগ্রহণের জন্য তাকে গিনেস বুক অব রেকর্ডস থেকে একটি অংশগ্রহণ করার শংসাপত্র দেওয়া হয়।
advertisement
৫) একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ছাড়াও সুশোভন ব্যানার্জি ছিলেন একজন রাজনীতিক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৪ সালে বোলপুরে কংগ্রেসের বিধায়কও ছিলেন তিনি। পরে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার সময় তিনি জেলা সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মনোনীত বিশ্বভারতীর কর্মিসমিতির একজন সদস্য।
advertisement
৬) ১৯৬২ সালে তিনি এমবিবিএস পাশ করেন এবং বিলেতে যান MFPA ও DCP -র জন্য। ১৯৬৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি গোল্ড মেডেলিস্ট। ১৯৭৮ সালের থেকে চাকরি ছেড়ে বিশ্বভারতীতে যোগদান করেন ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার হিসাবে। পরে এটিও ছেড়ে দেন এবং দুঃস্থ দরিদ্র মানুষদের জন্য এক টাকায় চিকিৎসা শুরু করেন।
advertisement
---মাধব দাস
Location :
First Published :
July 27, 2022 4:49 PM IST