বীরভূম : ২৫ বছর ধরে জামা কাপড় সেলাই এবং জামা কাপড় আয়রন করার পেশায় যুক্ত বীরভূমের দুবরাজপুর মীর নুরুদ্দিন (৬২)। প্রতিদিনের মত বুধবারও সকালবেলায় বাড়ি থেকে বের হন এবং দোকান খোলার আগে পাশের দোকানে চা খান। কিন্তু তারপরেই ঘটে যায় অঘটন। জামা কাপড় আয়রন করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার। মৃত ওই দর্জি মীর নূরুদ্দিনের বাড়ি বীরভূমের দুবরাজপুর পৌরসভার দু'নম্বর ওয়ার্ডে। দুবরাজপুর পৌরসভারই আশ্রম মোড়ে তার নিজস্ব দর্জির দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের মতো সাতসকালে এদিন তিনি দোকান খোলেন এবং তারপর বৈদ্যুতিক আয়রন দিয়ে জামা কাপড় আয়রন করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার। প্রত্যক্ষদর্শীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল বেলায় হঠাৎ তাকে দোকানের মধ্যে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারপর দেখা যায় তার হাতের অংশ পুড়ে গিয়েছে। পাশেই রয়েছে বৈদ্যুতিক আয়রন এবং সেটি গরম। তড়িঘড়ি সেই বৈদ্যুতিক আয়রনের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয় এবং তাকে উদ্ধার করা হয়।
পরে খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এবং সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বৈদ্যুতিক আয়রন দিয়ে জামা কাপড় আয়রন করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুনঃ ডেউচা পাঁচামি কয়লা খনি গড়ার পথে আরও এক ধাপ এগোল বীরভূম জেলা প্রশাসন২৫ বছর ধরে এলাকায় দক্ষ দর্জি হিসাবে তাঁর সুনাম রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়েও তারা বিস্মিত এবং শোকাহত। মৃত নুরুদ্দিনের সম্পর্কে ভাই শেখ মুস্তাকিম জানিয়েছেন, \"প্রথমে আমরা খবর পাই দোকানের মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে দাদা।
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে চলল বুলডোজার ! বোলপুরে ভয়াবহ কাণ্ডতড়িঘড়ি সেখানে গিয়ে দেখতে পায় পুলিশ ততক্ষণে তাকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা দাদাকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা করেন।\" অন্যদিকে মৃত ওই ব্যক্তির দেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
Madhab Dasনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।