Bankura News: রামকানালি গ্রামে ১২৪ তম বর্ষে পদার্পণ করল গজলক্ষ্মীর পূজো
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
এক দুই তিন করে কেটে গিয়েছে বহু বছর । গজরাজের আক্রমণের হাত থেকে জমির ফসল বাঁচাতে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার অন্তর্গত জঙ্গল লাগোয়া রামকানালী গ্রামে কোজাগরী লক্ষী পুজোর দিন শুরু হয়েছিল 'গজ লক্ষী'র পুজো।
#বাঁকুড়া : এক দুই তিন করে কেটে গিয়েছে বহু বছর । গজরাজের আক্রমণের হাত থেকে জমির ফসল বাঁচাতে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার অন্তর্গত জঙ্গল লাগোয়া রামকানালী গ্রামে কোজাগরী লক্ষী পুজোর দিন শুরু হয়েছিল 'গজ লক্ষী'র পুজো। সেকারণেই এখানে চিরাচরিত পেঁচা নয়, দেবী লক্ষী হাতির পিঠে উপবিষ্টা। হাতির পিঠে চড়ে থাকার জন্যই দেবী এখানে পরিচিত গজলক্ষী নামে। পুজো হয় গ্রামের মন্দিরেই। এ বছর পুজো তাদের ১২৪ তম বছরে পদার্পণ করল তাদের এই পুজো।
গ্রামবাসীরা বলেন, তাদের জঙ্গল লাগুয়া এই গ্রামে প্রায় হাতির দল হানা দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত হতো বিভিন্ন শস্য ক্ষেত এবং ঘরবাড়ি। তাই হাতির আক্রমণ থেকে তাদের শস্য ক্ষেত বাঁচাতে পূর্বপুরুষদের আমল থেকে এই গজলক্ষীর পূজো হয়ে আসছে। এই গ্রামের একমাত্র পুজোয় দেবী লক্ষীর বাহন হাতি। তাদের বিশ্বাস এই গজ লক্ষ্মীর পুজো করলে গ্রামে হাতির আগমন ঘটলেও তাদের শস্যক্ষেত নষ্ট করবে না। তাদের এই গ্রামে 200 পরিবার বসবাস করেন। তবে ৩০ থেকে ৩৫টি পরিবার এই লক্ষ্মীপূজায় অংশীদার হয়ে থাকেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীপূজায় মা লক্ষ্মীকে নতুন ধান দিতে না পারায় মন খারাপ কৃষকদের
তাদের গ্রামে দুর্গাপুজো নেই। তাই দুর্গাপুজোর সাধ মেটাতে তাদের গ্রামে স্বমহিমায় পূজিত হয় দেবী লক্ষী। তাই কোজাগরি লক্ষ্মীপূজোকে ঘিরে কার্যত উৎসবের চেহারা নেই গোটা গ্রাম। রঙিন ঝলমলে আলোয় সেজে উঠে গোটা গ্রাম। দুই দিন ধরে চলে এই লক্ষ্মী উৎসব। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ এবং গ্রামের আত্মীয়-স্বজনরা আসেন এই পূজো উপভোগ করতে। একদিকে মায়ের বিদায় বেলায় চোখে জল অপরদিকে মহিলাদের সিঁদুর খেলার পর মাকে চোখের জলে বিদায় জানান গ্রামবাসীরা। মা আবার এসো বছর পরে।
advertisement
advertisement
Joyjiban Goswami
view commentsLocation :
First Published :
October 10, 2022 8:12 PM IST