Higher Secondary Exam: চাই রক্ত! তবু জেদ! উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে 'অসম' যুদ্ধে দুই পরীক্ষার্থী

Last Updated:

Higher Secondary Exam: উচ্চমাধ্যমিক জয়ে বদ্ধপরিকর বাঁকুড়ার দুই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত পরীক্ষার্থী! একজন সাতদিন আগে এবং অপরজন পরীক্ষার দুইদিন আগে রক্ত নিয়েছেন। স্বপ্ন ভাল ফল করার...

+
দুই

দুই পরীক্ষার্থী 

বাঁকুড়া: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার চাপ ছাত্র ছাত্রীদের যথেষ্ট। প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মনের ভেতরে চাপা ভয় এবং প্রশ্ন নিয়ে অনিশ্চয়তা। তবে বাঁকুড়ার দুই বিশেষ পরীক্ষার্থীর এই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাটা যেন একটা যুদ্ধ। আমরা জানি বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন জল, অক্সিজেন এবং খাবারের। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রবীন্দ্রসরণি তারাপল্লীর বাসিন্দা সুজয় পরমানিক এবং কমরার মঠের বাসিন্দা কোয়েল কাইতির জন্য বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রক্তের।
দুই পরীক্ষার্থীই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। সুজয় রক্ত নিয়েছেন পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে এবং কোয়েল রক্ত নিয়েছেন পরীক্ষা শুরুর দুইদিন আগে। সুজয়ের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তার মধ্যেও নিজের জীবন সংগ্রামকে ছাপিয়েও পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে সে। সত্যিই এই লড়াই অনুপ্রেরণার।
বর্তমানে ৮-১০ দিন অন্তর অন্তর রক্ত নিতে হয় সুজয় পরমানিককে। বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুজয় পরমানিক জানান, “রক্তের অভাবে খুবই কষ্ট হয়। দুর্বল লাগে, সাইকেল চালাতে পারি না। অর্থের অভাবে টিউশনি নিতে পারিনি। হাল ছাড়িনি যাতে পড়াশোনা করে বাবার পাশে দাঁড়াতে পারি।” সুজয়ের বাবা জয়দেব পরমানিক একজন ইলেকট্রিশিয়ান। কাজের অভাবে আর্থিক পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও সুজয়ের মা মামণি পরমানিক, কিডনির অসুস্থতায় ভুগছেন। পুত্র সুজয়ের জেদের সামনে অসুস্থতা হার মানবে বলেই আশা করছেন তিনি।
advertisement
advertisement
অপরদিকে বাঁকুড়া শহরের আর এক থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কোয়েল কাইতি পরীক্ষা শুরুর দুইদিন আগে রক্ত নিয়েছেন। কোয়েল নিজের পরিস্থিতিতে মাথা নত করতে নারাজ। থেমে যাওয়া মানেই হার মেনে নেওয়া, মাধ্যমিকের মতই উচ্চ মাধ্যমিকে তাক লাগানো রেজাল্ট করতে মাথা গুঁজে প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন বাঁকুড়ার এই থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত পরীক্ষার্থী।
বাঁকুড়া শহরে থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত চিকিৎসা নিয়ে যথেষ্ট হতাশ কোয়েল কাইতির মা আগমনী কাইতি জানান, থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসার ওষুধ থেকে শুরু করে চিকিৎসকের যথেষ্ট অভাব বাঁকুড়ায়। এছাড়াও রক্ত জোগাড় করতে সহৃদয় ব্যাক্তি এবং কিছু সংস্থার উপর নির্ভর করেই এগিয়ে যেতে হচ্ছে।
advertisement
জীবনভর একটি রোগকে বহন করা। মাসে দুইবার করে রক্ত নেওয়া সম্ভব নয় সব আক্রান্তদের। অসচেতনতার অভিশাপ থালাসেমিয়া। তাহলে কিভাবে এড়ানো সম্ভব এই রোগ? উত্তর দিলেন বাঁকুড়া বাঁকুড়া ভলেন্টারি ব্লাড ডোনার সোসাইটির সেক্রেটারি বিপ্রদাস মিদ্যা। তিনি জানান, “কুষ্ঠি পরীক্ষা নয়, বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করতে হবে। জনসচেতনতাই এই রোগ রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।”
advertisement
বাঁকুড়ার এই দুই পরীক্ষার্থীর কাছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুধুমাত্র উজ্জ্বল ভবিষ্যতের একটি সোপানই নয়। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার হলে গিয়ে বসাটাও তাদের কাছে এক বিরাট যুদ্ধ। অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের কাছে এই গল্প অনুপ্রেরণার।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
view comments
বাংলা খবর/ খবর/বাঁকুড়া/
Higher Secondary Exam: চাই রক্ত! তবু জেদ! উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে 'অসম' যুদ্ধে দুই পরীক্ষার্থী
Next Article
advertisement
হাসপাতালে আসছে বড় বদল! আইডি ইউনিফর্ম ছাড়া ঢোকা যাবে না, আর কী কী? কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
হাসপাতালে আসছে বড় বদল! আইডি ইউনিফর্ম ছাড়া ঢোকা যাবে না, আর কী কী? জেনে নিন
  • নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে.

  • সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা পরিকাঠামো পর্যালোচনা ও সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী.

  • হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের ইউনিফর্ম ও আইডি কার্ড পরা বাধ্যতামূলক এবং সিসিটিভি নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement