Bankura: নিরাপত্তার দাবিতে বাঁকুড়া মেডিকেলে কর্মবিরতি ইন্টার্ন সহ ডাক্তারি পড়ুয়াদের
- Published by:Soumabrata Ghosh
Last Updated:
তাদের নিরাপত্তা চাই এবার এই দাবি তুলে কর্মবিরতির ডাক দিলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ১৫০ জন ইন্টার্ণ, সহ প্রায় ৩৫০ জন ডাক্তারি পড়ুয়া।
#বাঁকুড়া : তাদের নিরাপত্তা চাই এবার এই দাবি তুলে কর্মবিরতির ডাক দিলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ১৫০ জন ইন্টার্ণ, সহ প্রায় ৩৫০ জন ডাক্তারি পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটা থেকে তারা এই 'কর্মবিরতি'তে অংশ নিয়েছেন। আর প্রতিশ্রুতি নয়, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া ইন্টার্ণ ও ডাক্তারী পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুরুষ বিভাগে পরপর দু'জন রোগী মারা যান। ঐ সময় কোনও অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন না, ছিলোনা পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও।
advertisement
এই অবস্থায় ওই দুই মৃত রোগীর পরিবারের হাতে 'আক্রান্ত' হন কর্তব্যরত ইন্টার্ণরা। ওই দিনের এই ঘটনা নিয়ে এক মাসে তিনবার তারা রোগীর পরিবারের হাতে আক্রান্ত হলেন বলে জানিয়েছেন। 'কর্মবিরতি'তে অংশ নেওয়া অনির্বাণ মণ্ডল, স্বপ্নিল ভট্টাচার্যরা বলেন, একটা পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে দু'জন ইন্টার্ণ 'নাইট ডিউটি'তে থাকেন। ৬০ টি বেডে রোগীর সংখ্যা ৩০০। সেখানে মাত্র দু'জন লাঠিধারী নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। 'পি.জি' স্টাফ থাকলেও তারা 'অন কলে' ব্যস্ত। ফলে রাতভর এই বিপুল পরিমান রোগীর চাপ দু'জন ইন্টার্ণকেই সামলাতে হয়। রাতের দিকে কোনও 'সিনিয়র' চিকিৎসককে পাশে পাওয়া যায় না।
advertisement
তাই এবার আর 'প্রতিশ্রুতি' নয়, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত তারা 'কর্মবিরতি' চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন। যদিও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার সহ মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে কথা বললেও তারা তাদের দাবিতেই অনড় থাকেন।
advertisement
যদিও স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ডিন ডাঃ রণদেব ব্যানার্জী বলেন, কোনও কর্মবিরতি চলছে না। ওদের একটু রাগ হয়েছিল। তবে এই মুহূর্তে হাসপাতালের সমস্ত পরিষেবা চালু রয়েছে, ও.টি চলছে। তারা ছাত্র, তাদের সমস্যার বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তবে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ গতকাল থেকে সিনিয়র এবং জুনিয়র কোনও ডাক্তারকেই দেখা যায়নি। যদি আর কয়েক ঘণ্টা এইরকম ইমারজেন্সি রোগীদের চিকিৎসা না হয় তাহলে অনেক রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে।
advertisement
Joyjiban Goswami
view commentsLocation :
First Published :
September 02, 2022 7:56 PM IST
