Independence Day: ১৭৭৩-এ প্রথম ইংরেজদের চোখে পড়ে এই দুর্গ, বক্সা ফোর্টে আজও জ্বলজ্বল করছে সব স্মৃতি!
Last Updated:
স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার বিপ্লবীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের বিপ্লবীদের বন্দী করে রাখা হতো বক্সা ফোর্টে। (Independence Day)
#আলিপুরদুয়ার: বক্সা দুর্গের ইতিহাস নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত আছে। ১৬৬১ সাল নাগাদ তৎকালীন বাংলার দোর্দন্ডপ্রতাপ সুবেদার মীরজুমলা, যিনি কিনা আওরঙ্গজেবের গভর্নর ছিলেন, তিনি আক্রমণ করলে কোচবিহারের রাজা প্রাণনারায়ন এই বক্সা ফোর্টে লুকিয়ে ছিলেন। বক্সা দুর্গ প্রধানত তৈরী করে ভুটানিরা ডুয়ার্সে আক্রমন চালানোর জন্য। এই দুর্গটি সেই সময় ‘জং’ নাম পরিচিত ছিল।
১৭৭৩ সালে এই দুর্গটি প্রথমবারের জন্য ব্রিটিশদের চোখে পরে।কোচবিহাররের রাজার আমন্ত্রণে ব্রিটিশরা এই দুর্গ দখল করে নেয়। ১৮৬৫ সালের ১১ নভেম্বর, সিঞ্চুলার চুক্তির অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গটি ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুর্গটি আগে বাঁশের তৈরি ছিল। ব্রিটিশরা এটিকে পাথরের দুর্গে রূপান্তরিত করে। পরবর্তীকালে ১৯৩০-এর দশক অবধি দুর্গটি উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত কারাগার ও ডিটেনশন ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আন্দামানের সেলুলার জেলের পর এটিই ছিল ব্রিটিশ ভারতের সবচেয়ে কুখ্যাত ও দুর্গম কারাগার।
advertisement
আরও পড়ুন: জাতীয় স্তরে বড় ধাক্কা, '২৪-এর পর দিল্লিতে মমতা' বলা সেই পবন কুমার বর্মা তৃণমূল ছাড়লেন!
বিনা বিচারে বন্দী করে রাখার জন্যে পাহাড়ের ওপর দুর্গম এই স্থানকে বেছে নেয় ইংরেজরা। ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত এখানে মোট বন্দী ছিলেন ৫২৫ জন। বন্দী বিপ্লবীরা একবার জেলের ভেতরে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করেন, এবং কবিকে জন্মদিনের অভিনন্দন জানান। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তখন দার্জিলিং অবস্থান করছিলেন। এ কথা জানতে পেরে তিনি তার প্রত্যুত্তর দেন এই বলে "অমৃতের পুত্র মোরা কাহারা শোনাল বিশ্বময়, আত্মবিসর্জন করি আত্মারে কে জানিল অক্ষয়"।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: তড়িঘড়ি এল খাট, মধ্যরাতে নিজামে ঢুকতেই অনুব্রতকে ঘিরে একের পর এক চমক! 'যত্ন' করছে সিবিআই
হিজলী জেলে গুলিচালনার প্রতিবাদে বক্সায় বন্দী বিপ্লবীরা অনশন করেছেন। প্রমথ ভৌমিক, জ্ঞান চক্রবর্তী, কৃষ্ণপদ চক্রবর্তী প্রমুখ অনুশীলন সমিতি ও যুগান্তর দলের জাতীয়তাবাদী বিপ্লবীদের এই দুর্গে ১৯৩০-এর দশক অবধি বন্দী করে রাখা হয়েছিল। পরবর্তীকালেও কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়, বিনয় চৌধুরী, সতীশচন্দ্র পাকড়াশী, ননী ভৌমিক, পারভেজ শাহেদী, চিন্মোহন সেহানবীশ প্রমুখ কমিউনিস্ট বিপ্লবী ও বুদ্ধিজীবী এই দুর্গে বন্দী ছিলেন ১৯৫০-এর দশকে। ১৯৫৯ সালে চিন তিব্বত আক্রমণ করার পর ওই দুর্গকেই তিব্বতি শরনার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহার করে ভারত সরকার। যেখানে টানা দশ বছর কাটানোর পর ওই তিব্বতি বৌদ্ধদের পাকাপাকি ভাবে ১৯৬৯ সালে পুনর্বাসন দেওয়া হয় ধর্মশালায়। এমনকী, তিব্বতের বৌদ্ধ ধর্মগুরু দলাই লামাও বক্সায় দিন কাটিয়েছেন।
advertisement
অনন্যা দে
view commentsLocation :
First Published :
August 12, 2022 3:38 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Independence Day: ১৭৭৩-এ প্রথম ইংরেজদের চোখে পড়ে এই দুর্গ, বক্সা ফোর্টে আজও জ্বলজ্বল করছে সব স্মৃতি!