আলিপুরদুয়ার: ৫জি নেটওয়ার্কের হাত ধরে দূর এখন আর দূর নেই। শোনা যাচ্ছে আর কিছুদিন পর কৃত্তিম মেধাকে কাজে লাগিয়ে লন্ডনে বসে থাকা চিকিৎসক বাংলার কোনও অজ পাড়াগাঁয়ের হাসপাতালে ভর্তি রোগীর অস্ত্রপোচার পর্যন্ত করতে পারবেন। এমন বিদ্যুৎ গতির যুগে দাঁড়িয়েও বিদ্যুৎহীন নিউ হাসিমারার সূর্যনগর গ্রাম। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে নামলেই মোমবাতি বা লন্ঠনের টিমটিমে আলোই একমাত্র ভরসা এখানকার মানুষের।
আরও পড়ুন: মালদহ মেডিকেলে নেশা মুক্তির পৃথক চিকিৎসা, চালু আউটডোর
আলিপুরদুয়ারের এই গ্রামে আড়াই হাজার মানুষের বসবাস। ভোরের আলো ফোটার আগেই জেগে ওঠে এখানকার লোকজন। তারপর শুরু হয় ঘরদোর, মাঠঘাটের কাজকর্ম। কিন্তু বিকেল চারটে-পাঁচটা বাজলেই গ্রামের ভেতরে চলে আসেন বাসিন্দারা। কারণ সন্ধের অন্ধকার নামলেই গোটা গ্রাম যে আঁধারে ডুবে যাবে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা মোমবাতির আলোতেই পড়াশোনা করে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য তাঁরা বারবার প্রশাসনের কাছে দরবার করলেও আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই মেলেনি।
আট মাস আগে এই গ্রামে চারটি বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছিল। কিন্তু যাবতীয় উদ্যোগ সেখানেই শেষ, আজও বিদ্যুৎ সংযোগ আসেনি। এই নিয়ে আক্ষেপের সুরে স্থানীয় বাসিন্দা অজিত শা বলেন,জন্মের পর থেকে দেখছি আমাদের গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। এখন কেরোসিন তেলের দাম অনেক, তাই লণ্ঠন আর জ্বালায় না কেউ। তাই মোমবাতির আলোতেই যা হয়। তাঁর একটাই প্রশ্ন, আদৌ কোনদিন এখানে বিদ্যুৎ আসবে!
অনন্যা দে
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Alipurduar news, Candle, Digital India, Electricity, Hasimara, Village