Alipurduar News: মুক্তিপ্রাপ্ত শকুনদের ঘরে এল নতুন অতিথি! খুশির হাওয়া রাজাভাতখাওয়ায়
- Reported by:ANNANYA DEY
- hyperlocal
- Published by:Sayani Rana
Last Updated:
Alipurduar News: মুক্তিপ্রাপ্ত শকুনের থেকে জন্ম নিয়েছে হোয়াইট ব্যাকড শকুন শাবক।এই খবরেই খুশির রাজাভাতখাওয়ায়।রাজাভাতখাওয়া জঙ্গলের ভেতরে শকুনটির জন্ম হয়েছে বলে বনদফতর সূত্রে খবর।
আলিপুরদুয়ার: মুক্তিপ্রাপ্ত শকুন জন্ম নিয়েছে হোয়াইট ব্যাকড শকুন শাবকের। এই খবরেই খুশির হাওয়া রাজাভাতখাওয়ায়। রাজাভাতখাওয়া জঙ্গলের ভেতরে শকুনটির জন্ম হয়েছে বলে বনদফতর সূত্রে খবর।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা মনে করছেন এই শকুন প্রজনন কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া ফেলছে। N3 এবং P6 নামে বন্দী প্রজনন করা সাদা-ব্যাকড শকুন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে সফলভাবে একটি বাসা তৈরি করে। এরপর জন্ম হয় শকুন শাবকের।
advertisement
advertisement
রাজাভাতখাওয়া শকুন সংরক্ষণ ও প্রজনন কেন্দ্র গত তিন বছরে স্যাটেলাইট ডেটার সাহায্যে মুক্তিপ্রাপ্ত শকুনদের জন্য সক্রিয় পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে ৩১টি হোয়াইট ব্যাকড শকুনকে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই প্রজননের খবর সামনে আসতে উচ্ছ্বসিত বনকর্মী ও আধিকারিকরা।
advertisement
এই বিষয়ে রাজাভাতখাওয়ার রেঞ্জ অফিসার অমলেন্দু মাঝি বলেন, “এটি আমাদের কাছে এটি বড় প্রাপ্তি। প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া শকুনের থেকে জন্ম নিচ্ছে শকুন শাবক, যা জঙ্গলের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে সুখবর বয়ে আনল।”
শকুনের সংখ্যা বাড়াতে দেশে মোট ৯ টি প্রজনন কেন্দ্রে চলছে গবেষণা।এর মধ্যে ২০০৬ সালে উত্তরবঙ্গের বক্সার জঙ্গলের রাজাভাতখাওয়াতেও চালু হয় শকুন প্রজনন কেন্দ্র। এখানে প্রজননের জন্য আনা হয় হিমালয়ান গ্রিফিন, লং বিল্ড, স্ল্যান্ডার বিল্ড এবং হোয়াইট ব্যাক বিল্ড নামে চার প্রজাতির শকুন।
advertisement
গত শতকের নয়ের দশক থেকে ক্রমেই কমতে থাকে শকুনের সংখ্যা। কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয় গবাদি পশুর দেহে ডাইক্লোফেনাক নামক একটি ঔষধের লাগামহীন ব্যবহার। মৃত গবাদি পশুর দেহে থাকা ডাইক্লোফেনাক মাংসের মাধ্যমে শকুনের দেহে প্রবেশ করে কিডনিতে সংক্রমণ ঘটাত। এর পরিণতি ছিল শকুনের মড়ক।
জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে দেশে প্রথম চন্ডীগড়ের পিঞ্জর শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে শকুন ছাড়া হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে উদ্যোগী হয় রাজ্যের বক্সার রাজাভাতখাওয়া। এটি দেশের দ্বিতীয় শকুন প্রজনন কেন্দ্র।বিভিন্ন জায়গা থেকে বিলুপ্ত প্রায় শকুন উদ্ধার করে এই প্রজনন কেন্দ্রে রেখে তাদের বংশ বৃদ্ধি করা শুরু হয়। রাজাভাতখাওয়া শকুন প্রজনন কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে উন্মুক্ত আকাশে কলার আইডি লাগিয়ে শকুন মুক্ত করা হয়।
advertisement
Annanya Dey
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
Feb 26, 2024 8:51 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/আলিপুরদুয়ার/
Alipurduar News: মুক্তিপ্রাপ্ত শকুনদের ঘরে এল নতুন অতিথি! খুশির হাওয়া রাজাভাতখাওয়ায়









