বিজ্ঞাপন
হোম / খবর / Uncategorized / ফ্যানাটিক

ফ্যানাটিক

ফ্যানাটিক

চাহিদা শুধু একটাই.. ‘স্বদেশ’ বা ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ আর কিছুটা ‘রব নে বানা দি জোড়ি’ বা ‘মাই নেম ইজ খান’ -র পর এমন কোনও ছবি হয়নি, যা দেখে বলা যায় … “আমি তোর হায় রে ব্যাপক.. হোয় রে ব্যাপক ফ্যান হো গ্যায়া”।

  • 3-MIN READ Pradesh18
  • Last Updated :

    এক কথায় অনবদ্য। অপূর্ব। ‘ফ্যান’-এর ট্রেলার দেখে মন ভরে গেল। এ ছবি হিট না হওয়ার কোনও কারণ আপাতত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন কনসেপ্ট, তেমন এডিটিং। যেমন কিং খানের ক্যারিশমা, তেমন শাহরুখের অভিনয়। যেমন প্যাকেজিং, তেমন প্রমোশন। তবে এ সব কিছু ছাপিয়ে চোখ টেনেছে মেকআপ। মেকআপ এ ছবির ইউএসপি। মেকআপই এ ছবিকে সমসাময়িক অন্য ছবিগুলোর তুলনায় অনেকটা এগিয়ে রাখতে পারে। অসাধারণ বা অনবদ্য মেকআপ বললেও বোধহয় কম বলা হবে। তবে ‘অপূর্ব’ বিশেষণটা এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। তাক লাগানো মেকআপের এ রকম আরও নজির আমাদের এই বলিউডেই আছে। শুরুটা করা যাক ১৯৭৪ সালের ছবি ‘নয়া দিন নয়ি রাত’ দিয়ে। প্রথম কোনও হিন্দি ছবি যেখানে একজন অভিনেতা ন’টি ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করলেন। সঞ্জীব কুমারের জীবনেও এ ছবি একটা মাইলস্টোন। একই ছবিতে কখনও ডাকাত, কখনও এক ভন্ড সাধু, আবার কখনও বা কুষ্ঠ রোগীর মেকআপে। সব মিলিয়ে ন’টি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সঞ্জীব কুমার। শিবাজি গনেশন অভিনীত তামিল ছবি ‘নবরত্ন’ থেকে রিমেক করা ‘নয়া দিন নয়ি রাত’ রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছিল সঞ্জীব কুমারের অভিনয় আর মেকআপের জন্য।

    বিজ্ঞাপন
    awesome-threesome-gnu-3

    মেকআপ দিয়ে যায় (না) চেনা এ রকম ছবির তালিকায় পরের নাম ১৯৯২ সালের ছবির। ‘অ্যান আমেরিকান ওয়্যারউল্ফ ইন লন্ডন’ -এর আদলে তৈরী ছবি ‘জুনুন’ সে ভাবে বক্স অফিসে ছাপ ফেলেনি। তার সবচেয়ে বড় কারণ, চিত্রনাট্যের দুর্বলতা আর রাহুল রায়ের কমজোরি অভিনয়। কিন্তু বাঘ থেকে মানুষ আর মানুষ থেকে বাঘ হয়ে যাওয়ার মেকআপ দর্শকদের মনে অনেকদিন দাগ কেটেছিল। এবার আসা যাক ‘মিসেস ডাউটফায়ার’ অবলম্বনে ১৯৯৮ সালের ছবি ‘চাচি 420’-র কথায়। মিখেল ওয়েস্টমোরে-র মেকআপে কামাল হাসান যখন তখন ‘জয়’ থেকে হয়ে উঠলেন লক্ষ্মী গোড়বোলে। হিন্দি ছবির মেকআপে কার্যত রেনেসাঁ এনে দিল ‘চাচি 420’। পরিচালক হিসেবে কামাল হাসানের প্রথম ছবি অভিনেতা কামাল হাসান আর মেকআপের জন্য আজও হিট। তবে শুধুমাত্র মেকআপ যে একটা ছবিকে বেশী দূর টেনে নিয়ে যেতে পারে না তার আরও একটা উদাহরণ ওই বছরেই রিলিজ হওয়া ‘আন্টি নাম্বার 1’। মেকআপ যতই উঁচুদরের হোক, শুধুমাত্র পেটে চিমটি কেটে হাসানোর চেষ্টায় ভর করে যে ছবি হিট করানো যায় না, তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন গোবিন্দা। আর একটা ছবি ওই বছরেই রিলিজ করে। ‘ঝুট বোলে কাওয়া কাটে’। হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের সেরা ছবিগুলোর একটা কোনোভাবেই বলা যাবে না। তবে অনিল কাপুরের ‘আন্টি’ হয়ে ওঠা যে ভাবে মেকআপ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল, তা প্রশংসার দাবি রাখে। অনিল কাপুরের আরও একটা ছবির কথা এখানে বলতেই হবে। ইংরাজি ছবি ‘নাটি প্রফেসর’ এবং তামিল ছবি ‘পুভে ঊনাক্কাগা’ থেকে গল্প ধার করে ২০০২ সালে বানানো ছবি ‘বাধাই হো বাধাই’। মেকআপ অনিল কাপুরকে যে ভাবে মোটা করে দিয়েছিল, তা সে সময় যথেষ্ট আলোড়ন ফেলেছিল। ২০০৬ সালের সুপার হিট ছবি ‘কৃষ’। বাবা হৃত্তিক রোশন আবার ছেলেও হৃত্তিক রোশন। ‘বাবা’ হৃত্তিকের মেকআপটা কিন্তু নেহাত মন্দ হয়নি। অবশ্য সে বছরেই হৃত্তিকের আরও একটি ছবি ‘ধুম 2’। সেখানেও হৃত্তিকের মেকআপ নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছে। এরপর অবশ্যই বলতে হবে ‘দশাবতরম’-এর কথা। ইন্ডাস্ট্রি বলে, সব সময় এক কদম এগিয়ে থাকতে ভালোবাসেন কামাল হাসান। ‘নয়া দিন নয়ি রাত’ ছবিতে সঞ্জীব কুমার ন’টি চরিত্রে ন’ রকম ভিন্ন মেকআপে অভিনয় করেছিলেন। আর ২০০৯ সালে ‘দশাবতরম’-এ দশটি ভিন্ন চরিত্রে দশ রকম মেকআপ নিয়ে অভিনয় করলেন কামাল হাসান। ছবির গল্পের গরু সেই যে গাছে উঠলো, এক্কেবারে ঘণ্টা তিনেক পরে মাটিতে নেমেছিল। কিন্তু ভিস্যুয়াল এফেক্ট আর মেকআপ সমালোচকদের মুখ পুরো বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০০৯ সালেই ‘পা’। ‘দ্য ফ্লাই’ আর ‘মিসেস ডাউটফায়ার’-এর অস্কার পাওয়া মেকআপ আর্টিস্ট স্তেফান দুপ্যাঁ-র ছোঁয়ায় অমিতাভ বচ্চন হয়ে গেলেন তের বছরের খোকা। প্রোজেরিয়া আক্রান্ত শিশুর চরিত্রে নামের প্রতি সুবিচার করেই অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তবে চরিত্রটিকে অনন্য মাত্রা দিয়েছিল মেকআপ। যাঁরা এক বছর আগে অস্কার পাওয়া ‘দ্য কিউরিয়াস কেস অফ বেঞ্জামিন বাটন’ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, তাঁরাও এক বাক্যে মেনে নিলেন, ‘আমরাই বা কম যাই কিসে?’ শাহরুখ খান নিয়ে যখন শুরু হয়েছে, তখন একবার অন্তত আমির খানকেও বোধহয় ছুঁয়ে আসা উচিত। মেকআপ নিয়ে কথা বলতে গেলে ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর কথাই বা না বলি কী করে? বছর পঁয়তাল্লিশের এক মধ্যবয়স্ক অভিনেতা মেকআপ আর অভিনয়ের গুণে হয়ে গেলেন কলেজে পড়তে যাওয়া সতের বছরের এক যুবক। এত কিছু বলা একটাই কারণে ‘মেকআপ’। মেকআপ অনেক সময় অনেক ছবিকে আকাশ ছোঁয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আবার ফাটাফাটি মেকআপও অনেক সময় ছবিকে ভরাডুবির হাত থেকে বাঁচাতে পারেনি। তাই আশার পাশাপাশি আশঙ্কাও রয়ে গেল হাত ধরাধরি করে। মেকআপ তো সুপার হিট। “পর পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত..” ওই বাকিটা শাহরুখ খানকেই মেটাতে হবে। তাঁর ক্যারিশমা দিয়ে.. অভিনয় দিয়ে। আর সেটা যে তিনি পারেন, তা বোধহয় এত বছর পর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। চাহিদা শুধু একটাই.. ‘স্বদেশ’ বা ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ আর কিছুটা ‘রব নে বানা দি জোড়ি’ বা ‘মাই নেম ইজ খান’ -র পর এমন কোনও ছবি হয়নি, যা দেখে বলা যায় … “আমি তোর হায় রে ব্যাপক.. হোয় রে ব্যাপক ফ্যান হো গ্যায়া”। এবার আর একবার বলতে ইচ্ছে করছে, “আই লাভ ইউ শশশশশশশশশাহরুখ.. গুরু তো শুধু স্টার নয়, সে আমার দুনিয়া। এই এপ্রিলের গরমে আমি নতুন করে তোমার ফ্যান হতে চাই.. " ।।

    নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
    • First Published :
    বিজ্ঞাপন
    বিজ্ঞাপন