শুরুতেই বলে রাখা ভাল৷ যাঁরা রসগোল্লার রস চিপে খান, এ লেখা তাঁদের জন্য নয়৷ বরং এলেখা তাঁদের জন্য যাঁদের জীবন সুগার ফ্রি নয়৷ সেই প্রাপ্তমনস্কদের স্বাগত৷
যাঁরা বোঝেননি, অজ্ঞতা৷ ভাদ্র মাসে আর যাই হোক তাল কাটতে পারে না! সুতরাং, মাভৈঃ৷ মজার ছলে এক বন্ধু বলছিলেন, ভাল বিড়াল আর উদার কমিউনিষ্ট বিরল না হলেও দুষ্প্রাপ্য তো অবশ্যই৷
সময়টা এমনিতেই ভাল যাচ্ছে না৷ অতএব,কমিউনিস্ট আজ থাক৷ গল্পটা এক বিড়ালকে দিয়েই শুরু করা যাক৷ ইনি অবশ্যই তপস্বী৷ অতএব চরম ধার্মিক৷ অতিথি নারায়ণের সেবা করেন নিত্য৷ এহেন তপস্বীজি সেদিন ঘুম ভেঙে, চোখ কচলে মাইক্রো-মিনির পিছু নিলেন৷ দিব্যচক্ষু মেলতেই বুঝলেন বিপদ লুকিয়ে স্কার্টৈ৷ দেশ দশের মঙ্গল চান৷ অতএব সাবধানবাণী, অতিথিরা আসুন৷ কিন্তু স্কার্ট অঙ্গে ইতিউতি ঘুরবেন না প্লিজ৷ কী ভাবনা! এই সহজ সরল কথাটা এতদিন কেউ বুঝলেন না? স্কার্ট না পরলেই হবে, আর যাই পরুন সেটাই আপনার বিপদতারণ৷
বিপদ কি বলে কয়ে আসে? নাকি গায়ের রঙ দেখে! প্রশ্নটা করার আগেই তপস্বীজি ফের ধ্যানে! জানিনা দিব্যদৃষ্টিতে উনি টি বোর্ডের ফুটপাথটা দেখেছিলেন কীনা! বিরক্ত না করলে সাবধান করতেন নিশ্চয়ই৷
করতেন? বিশ্বাস করতে পারলে ভাল লাগত৷ তপস্বী ম্যাও করেছেন মাত্র৷ তাঁর বেয়াই বোনাই জগাই মাধাইয়ের তিনকুলে কেউ কখনও স্কার্ট না পরতে পারেন! এদেশে গলিঘুঁজি চৌরাস্তায় হরবখত যে পোশাক চোখে পড়ে তা ভিনদেশিরা পরলেই চোখ টাটাবে? ময়দানের ঘোড়া হাসবে না বলুন!
আসলে তপস্বী গুরুদক্ষিণা দিয়েছেন৷ সঙ্ঘের সেবা করেছেন মাত্র৷ সুর মিলিয়েছেন মাত্র৷ ভারী রসিক মানুষ তপস্বীজি৷ ভারত অতুল্য৷ আর তিনি? ব্রহ্মা- বিষ্ণু জানেন, উনি কোন শর্মা৷ কিন্তু বিজ্ঞাপনটা কেমন হল? দেশটার? হিন্দুস্থানের দিল দেখতে, খুঁজতে আসা মানুষগুলো ভুল বুঝবেন না তো? তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যাঙ্কে তপস্বীর সুদে আসলে কী দাঁড়াল৷ উনি গুনছেন৷ সবে ষোলো৷ উনিশ এখনও বহু দূর৷ সময় আছে ড্যামেজ কন্ট্রোলের৷ অতএব আপনি একটা লম্বা শ্বাস নিন৷ মনটাকে শান্ত করুন৷ অপেক্ষা করে থাকুন, কেউ না কেউ দিল্লির লাড্ডু খাওয়াবেন৷ ভাগ্যিস, ওঁরা আছেন৷ নয়তো কেই বা হাসাতে হাসাতে চোখে জল আনতেন৷ আবার, চোখের জল মুছিয়ে মুখে হাসি ফোটাতেন!