Tourist Spot: কলকাতা থেকে মাত্র কিছুক্ষণের রাস্তা! বাড়ির কাছেই রয়েছে ‘রহস্যময় দ্বীপ’, নদী, ম্যানগ্রোভ, পাখির কিচির মিচির...জানেন কোথায়?
- Published by:Ankita Tripathi
- hyperlocal
- Reported by:JULFIKAR MOLLA
Last Updated:
অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্যও মাছরাঙা দ্বীপ এক দারুণ গন্তব্য। এখানে রয়েছে ম্যানগ্রোভের ঘন সবুজ জঙ্গল, যা পুরো দ্বীপটিকে আবৃত করে রেখেছে। প্রকৃতির বুকে সারি বাঁধা বৃক্ষরাজি আর নির্জন পরিবেশে হঠাৎই চোখে পড়বে নানা রঙের মাছরাঙা পাখি। দ্বীপটির নামের সার্থকতা যেন এভাবেই প্রকৃতি নিজেই রক্ষা করে চলেছে।
advertisement
1/6

বাংলার প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে টাকি এক অনন্য পর্যটনকেন্দ্র। টাকি শহরের অদূরে লুকিয়ে আছে এক রহস্যময় দ্বীপ— মাছরাঙা দ্বীপ। নাম শুনলেই চেনা পাখিটির ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে, অথচ এই দ্বীপের কথা অনেকেই জানেন না। উত্তর ২৪ পরগনার টাকির অদূরে, ইছামতি ও ভাসা নদীর মাঝামাঝি অবস্থান করা এই দ্বীপ প্রকৃতির সৌন্দর্য ও নীরবতার এক আশ্চর্য মেলবন্ধন।
advertisement
2/6
শহরের কোলাহল থেকে দূরে কিছুদিন যদি নিরিবিলিতে কাটাতে চান, তবে মাছরাঙা দ্বীপ হতে পারে একেবারে সেরা জায়গা। কলকাতা থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই দ্বীপটির অবস্থানই আলাদা রকমের। নদীর বুকে দাঁড়িয়ে এখান থেকেই চোখে পড়বে বাংলাদেশের অপর প্রান্ত, আর কখনও কখনও দেখা মেলে ওপারের জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্যও। সীমান্তের এই স্বতন্ত্র আবহ পরিব্রাজকদের টেনে আনে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতার দিকে।
advertisement
3/6
অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্যও মাছরাঙা দ্বীপ এক দারুণ গন্তব্য। এখানে রয়েছে ম্যানগ্রোভের ঘন সবুজ জঙ্গল, যা পুরো দ্বীপটিকে আবৃত করে রেখেছে। প্রকৃতির বুকে সারি বাঁধা বৃক্ষরাজি আর নির্জন পরিবেশে হঠাৎই চোখে পড়বে নানা রঙের মাছরাঙা পাখি। দ্বীপটির নামের সার্থকতা যেন এভাবেই প্রকৃতি নিজেই রক্ষা করে চলেছে।
advertisement
4/6
তাহলে যাবেন কীভাবে? খুবই সহজ পথ। কলকাতার শিয়ালদহ থেকে হাসনাবাদ লোকাল ধরে দুই ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন টাকি বা হাসনাবাদ স্টেশনে। সেখান থেকে অটো বা টোটোতে ইছামতির তীরে এসে নৌকা কিংবা লঞ্চে চড়লেই মিলবে দ্বীপের দেখা। টাকির অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলির পাশাপাশি এই দ্বীপে যাওয়া যে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেবে, তা বলাই বাহুল্য।
advertisement
5/6
প্রকৃতিপ্রেমী এবং পাখিপ্রেমীদের কাছে মাছরাঙা দ্বীপ এক স্বর্গরাজ্য। সকালের নিস্তব্ধতা কিংবা দুপুরের রোদের খেলা ছাড়াও সন্ধ্যায় এখানে দাঁড়িয়ে উপভোগ করা যায় এক অপূর্ব দৃশ্য— ধীরে ধীরে নদীর বুকে ঢলে পড়া সূর্যের শেষ আলো। সেই মুহূর্তে ইছামতির বুক যেন সোনালী আভায় রাঙিয়ে ওঠে, যা ভ্রমণকারীর মনে গেঁথে যায় সারাজীবনের জন্য।
advertisement
6/6
প্রাচীন সীমান্ত শহর টাকির ঐতিহ্যবাহী সৌন্দর্যের সঙ্গে মাছরাঙা দ্বীপ যোগ এক অন্য মাত্রা। তাই টাকি গেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই অজানা অথচ অপূর্ব দ্বীপ থেকে। একদিকে অ্যাডভেঞ্চার, অন্যদিকে নীরবতার আস্বাদ— দুই মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে বাংলার এক অমূল্য পর্যটন রত্ন।
বাংলা খবর/ছবি/দক্ষিণবঙ্গ/
Tourist Spot: কলকাতা থেকে মাত্র কিছুক্ষণের রাস্তা! বাড়ির কাছেই রয়েছে ‘রহস্যময় দ্বীপ’, নদী, ম্যানগ্রোভ, পাখির কিচির মিচির...জানেন কোথায়?