Kumari Puja: নবমীতে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কুমারী পুজো, নামল ভক্তদের ঢল

দুর্গাপুজোর অন্যতম অঙ্গ কুমারী পুজো। রীতি মেনে নবমীর দিন কুমারী পুজো হয় বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। রীতি মেনেই নবমীর দিন ৯ কুমারীকে দেবী দুর্গার নয় রূপে পুজো করা হয়। ১৬ বছর পর্যন্ত বয়সী নাবালিকাদের দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপে পুজো করার রীতি সর্বমঙ্গলা মন্দিরে।(চিত্র ও তথ্য সূত্র: সায়নী সরকার)

দেবী এখানে অষ্টাদশভূজা। বয়সের প্রকারভেদ অনুসারে উমা, মালিনী, কুজ্জ্বিকা, অপরাজিতা,কালসন্দর্ভা-সহ দেবীর ন'টি রূপে এখানে কুমারী বালিকাদের পুজো করার রীতি। এ'বছর কুব্জিকা রূপে তিনজন, অপরাজিতা রুপে একজন, ঊমা রুপে একজন,মালিনী রূপে দু'জন,কালিকা রূপে একজন ও কালসন্দর্ভা রূপে একজনকে পুজো করা হচ্ছে।

পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্য মেনে মানা হয় রাজ পারিবারের রীতিনীতি। নিয়ম নিষ্ঠায় কোনও নড়চড় হয় না। নবকুমারী পুজো দেখতে এ'বছরও সর্বমঙ্গলা মন্দিরে বহ মানুষের সমাগম হয়। অন্যান্য জায়গায় অষ্টমীতে কুমারী পুজো হলেও, যেহেতু সর্বমঙ্গলা মন্দিরে নবরাত্রির পুজো হয়, তাই এখানে নবমীতেই কুমারী পুজো হয়ে আসছে।

কথিত ১৭০২ সালে রাজা কীর্তিচাঁদ অষ্টদশভূজা দেবী মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন।

রাজা নেই তো কি হয়েছে। রাজার নিয়ম নীতি সবই এখনও বর্তমান। পুজোর দিনগুলোয় ঐতিহ্য মেনে অক্ষরে অক্ষরে মানা হয় সেই রাজ পারিবারের রীতিনীতি। নিয়ম নিষ্ঠায় কোনও নড়চড় হয় না।

প্রথা মেনে প্রতিপদে ঘটস্থাপন হয় সর্বমঙ্গলা মন্দিরে, সেদিন থেকেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে বর্ধমানে। প্রথা মেনে প্রতিপদে রাজাদের খনন করা কৃষ্ণসায়র থেকে জল ভরা হয় ঘটে। ঘটস্থাপনের মাধ্যমে গোটা রাঢ়বঙ্গে দুর্গাপুজো শুরু হয়।

প্রতিপদে শুরু হয় রাঢ়-জননী সর্বমঙ্গলার পুজো। কৃষ্ণসায়র থেকে জল ভরা হয়। এর পর হয় ঘটস্থাপন। পুজো চলবে নবমী অর্থাৎ নবরাত্রি পর্যন্ত। পূর্ব বর্ধমানের সবচেয়ে প্রাচীন আর জাগ্রত দেবী। দেবী দুর্গা এখানে সর্বমঙ্গলা রূপে পূজিতা