তিতলি ও তার বোনকে প্রতিদিন অনুশীলনের জন্য পুষ্টিকর খাদ্যের জোগান দেন গ্রামের কয়েকজন প্রশিক্ষক। কয়েক বছর আগে ওয়েট লিফটিং প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণ ছাড়াই, স্কুলে অনুষ্ঠিত যোগা প্রতিযোগিতায় সকালের নজরকারে তিতলি। প্রতিভা নজর কাড়ে সবার। বর্তমানে দেউলপুর খসমোড়া হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী তিতলি।
advertisement
স্বপ্নপূরণের পথে ইতিমধ্যেই বড় মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে তিতলি। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘খেলো ইন্ডিয়া’ স্পোর্টস স্কলারশিপে নির্বাচিত হয়েছে সে। এই স্কলারশিপ পাওয়ায় পরিবারের আর্থিক চাপ অনেকটাই কমবে বলে আশা করছে তিতলির পরিবার। একইসঙ্গে খেলাধুলায় বড় মঞ্চে পৌঁছে যাওয়ার স্বপ্ন আরও উজ্জ্বল হল সপ্তম শ্রেণীর এই ছাত্রীর। সামনেই রয়েছে স্কুল গেমস ন্যাশনাল এরপর ন্যাশনাল গেমস এর জন্য প্রস্তুতি।
গত পাঁচ মাস খেলো ইন্ডিয়া স্পোর্টস স্কলারশিপ হাতে পাচ্ছে তিতলি, এই স্কলারশিপে নিজের খেলা চালিয়ে যাওয়া অনেক সহজ হবে বলেই তাঁদের বিশ্বাস, এতে পরিবারের অর্থনৈতিক চাপ কম হল। এর ফলে শুধু তাঁরই নয়, একই সঙ্গে তাঁর বোনের খেলা আরও সহজ হবে বলেও জানায় তিতলি।
গ্রামবাসী ও প্রশিক্ষকদের মতে, যথাযথ পুষ্টি ও সুযোগ পেলে তিতলি ভবিষ্যতে জাতীয় স্তরে নিজের প্রতিভা প্রমাণ করবেই। এ প্রসঙ্গে প্রশিক্ষক প্রলয় বাগ জানান, গ্রামের চালচুলোহীন প্রশিক্ষণ শিবির। যেখানে অসমান মাটি, নেই কাঠের পাঠাতন মাথার উপর ভাঙা টিনের শেড। রোদ ঝড় বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েন প্রশিক্ষনার্থীরা। এখান থেকেই একের পর এক নক্ষত্র ওয়েট লিফটিং জগতে উঠে আসছে। অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের তিতলি স্কলারশিপের সুযোগ পেয়ে স্বপ্ন পূরণের দিকে এগোচ্ছে, তাতে আমরা সকলেই খুশি। গ্রামে এমন বহু প্রতিভা রয়েছে, যাদের অর্থনৈতিক সমস্যা স্বপ্নপূরণের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই আমরা সকলে চেষ্টা করি গ্রামের প্রতিভাগুলি তুলে ধরতে আর বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে তাঁদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগান নিশ্চিত করতে।





