Digha: দিঘার 'আসল' নাম কী বলতে পারবেন? বহু বাঙালির অজানা, নামটা অবাক করবেই
- Published by:Suman Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
Digha- গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস বীরকুলকে 'প্রাচ্যের ব্রাইটন' বলে যে উল্লেখ করেছিলেন, তা ১৮৭০ সালের একটি চিঠিতে পাওয়া যায়। হেস্টিংস সাহেব সেই সময় প্রায়ই চলে যেতেন ওই এলাকায়।
advertisement
1/8

ছুটি পেলেই দিঘা ছোটেন, এমন বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। ছোট্ট ছুটিতে বাঙালির সেরা ডেস্টিনেশন এই সৈকত শহর। দিঘা, পুরী, দার্জিলিং- বাঙালির সেরা তিন ঘোরার জায়গা। এ কথা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই!
advertisement
2/8
মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর, জুনপুট-সহ বেশ কিছু সি-বিচ ঘিরে জনপদ, হোটেল, রিসর্ট তৈরি হলেও নিয়ে দিঘার আকর্ষণ কমেনি এতটুকু। এখন জগন্নাথ মন্দির হওয়ার পর আরও বেশি বেড়েছে দিঘার আকর্ষণ।
advertisement
3/8
আসলে 'দিঘা' নামের নেপথ্যেও রয়েছে এক অজানা ইতিহাস। সেই ইতিহাস বহু মানুষেরই অজানা। বেশিরভাগ বাঙালি জানেন না, দিঘার আসল নাম কী! আপনি কি বলতে পারবেন?
advertisement
4/8
দিঘার ইতিহাস সম্পর্কে তা হলে জানা যাক। অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলা-বিহার-ওড়িশার মসনদে মীরকাশিমকে নবাব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। কিন্তু নবাবের সাম্রাজ্যের 'চাকলা মেদিনীপুর'-এর দায়ভার কোম্পানির হাতে থাকে। এই চাকলা মেদিনীপুরের অধীনে ছিল 'বীরকুল পরগণা' নামে একটি অঞ্চল।
advertisement
5/8
সেই সময় ওয়ারেন হেস্টিংসের নজরে পড়ে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন এই বীরকুল এলাকা। সেই সময় ওই এলাকা পরিবেশ ছিল মনোরম। সেই মনোরম পরিবেশ মুগ্ধ করে তাঁকে। সমুদ্র সংলগ্ন সেই এলাকার নাম তখন তিনি দেন- 'প্রাচ্যের ব্রাইটন'।
advertisement
6/8
গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস বীরকুলকে 'প্রাচ্যের ব্রাইটন' বলে যে উল্লেখ করেছিলেন, তা ১৮৭০ সালের একটি চিঠিতে পাওয়া যায়। হেস্টিংস সাহেব সেই সময় প্রায়ই চলে যেতেন ওই এলাকায়। সেই এলাকার আবহাওয়া তাঁকে মোহিত করেছিল বলে জানা যায়।
advertisement
7/8
শহরের গরমে হাঁসফাস অবস্থা হলেই হেস্টিংস চলে যেতেন সেই বীরকুল এলাকায়। থাকার জন্য সেখানে ১৭৭৫ সালে একটি বাংলো নির্মাণ করেন তিনি। তবে সেই বাংলোর অস্তিত্ব আর নেই। জানা যায়, সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে সেই বাংলো ডুবে যায়।
advertisement
8/8
স্বাধীনতার পরে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়কে দিঘাতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য অনুরোধ করেন জন স্মিথ। ১৯৫০ সালে বিধান চন্দ্র রায়ের উদ্যোগে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে দিঘা। তখন থেকেই দিঘার পথ চলা শুরু। ধীরে ধীরে একসময়ের বীরকুল হয়ে ওঠে আজকের দিঘা।