মামার ছেলের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে! পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়েও হল না শেষরক্ষা...সুটকেসে রাকেশ-গৌরীর 'রক্তাক্ত' সম্পর্কের ইতি!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Rakesh-Gauri Love Affair: বিয়ের পরেও শেষরক্ষা হল না। কিছু প্রেম কাহিনি মুক্ত আকাশে ওড়ে, কিছু প্রেম মেলে সুটকেসের ভিতর। বেঙ্গালুরুর রাকেশ-গৌরীর গল্পটাও তেমনই। কেন এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি হল তাঁদের ভালবাসার?
advertisement
1/17

রাত গভীর হলে শহর নিস্তব্ধ হয়, কিন্তু কিছু গল্প থেকে যায় কোলাহলমুখর। এমনই এক রাতে এক নির্জন ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসছিল তীব্র গন্ধ। বন্ধ ঘরের দরজার ওপারে লুকিয়ে ছিল এক ভয়ঙ্কর সত্য, যা জানলে শিউরে উঠতে হয়! (Representational Image)
advertisement
2/17
একটি সুটকেস, যার ভেতরে চাপা পড়ে ছিল এক করুণ পরিণতির সাক্ষ্য। প্রণয়ের শুরুটা হয়েছিল সমাজের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই, কিন্তু শেষমেশ সেই সম্পর্ক কোথায় গিয়ে ঠেকল? ভালবাসা কি সত্যিই এতটাই নিষ্ঠুর হতে পারে? (Representational Image)
advertisement
3/17
রাকেশ-গৌরীর প্রেম কি অভিশপ্ত ছিল? নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে আরও কোনও অজানা সত্য? পুলিশ যখন দরজা ভাঙল, তখন কি সত্যিই দেরি হয়ে গিয়েছিল? নাকি তখনও শোনা যাচ্ছিল নিঃশ্বাসের ক্ষীণ স্পন্দন? (Representational Image)
advertisement
4/17
সুটকেসের সেই রহস্য আজও প্রশ্ন তোলে— প্রেম কি বেঁচে ছিল, নাকি তা রক্তের ছোপে হারিয়ে গিয়েছিল? মামার ছেলের সঙ্গে প্রেম, তারপর বিয়ে, ফল— সুটকেসে মৃত্যু! খুনের আগে কী করেছিল রাকেশ? (Representational Image)
advertisement
5/17
পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে, সমাজের তোয়াক্কা না করে একসঙ্গে থাকার শপথ। কিন্তু বিয়ের পরেও শেষরক্ষা হল না। কিছু প্রেম কাহিনি মুক্ত আকাশে ওড়ে, কিছু প্রেম মেলে সুটকেসের ভিতর। বেঙ্গালুরুর রাকেশ-গৌরীর গল্পটাও তেমনই। কেন এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি হল তাঁদের ভালবাসার? (Representational Image)
advertisement
6/17
৩৬ বছর বয়সি রাকেশ তাঁর ৩২ বছর বয়সি স্ত্রী গৌরীকে খুন করে পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এটুকুই কি আসল কাহিনি? না, এর পিছনে রয়েছে আরও অনেক না-বলা কথা। (Representational Image)
advertisement
7/17
রাকেশের বয়ান অনুযায়ী— এক মাস আগে তাঁরা মুম্বাই থেকে বেঙ্গালুরুতে আসে। দু’জনেই আলাদা আলাদা সংস্থায় কাজ করতেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই চাকরি চলে যায়। রাকেশ বাড়ি থেকে কাজের ব্যবস্থা করলেও গৌরী নতুন কাজ খুঁজছিল। (Representational Image)
advertisement
8/17
পুলিশকে সে জানায়, কেন সে গৌরীকে হত্যা করল, কেন দেহ সুটকেসে ভরল, এবং কেন পালাতে চেয়েছিল। রাকেশ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, কারণ হত্যার পর সে নিজেকেও শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু কেন? (Representational Image)
advertisement
9/17
কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছিল। ঘটনার দিন তুচ্ছ বিষয়ে খেতে খেতে বচসা বাঁধে। রাগের মাথায় রাকেশ গৌরীকে চড় মারে। এর পর গৌরী রান্নাঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসে রাকেশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। (Representational Image)
advertisement
10/17
রাকেশ কোনওভাবে গৌরীকে ধরে ফেলে এবং সেই ছুরিটা দিয়েই তাঁকে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। গলার দু’দিকে এবং পেটে একবার ছুরি চালায়। মুহূর্তেই গৌরী রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ক্রমশ সংজ্ঞা হারাতে থাকে। তারপর রাকেশ দেহটাকে সুটকেসের ভিতরে ভরে দেয়। (Representational Image)
advertisement
11/17
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে গৌরীর নাক ও মুখ থেকে বেরোনো শ্লেষ্মার নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সাধারণত, কোনও ব্যক্তি বেঁচে থাকলে এমনটা হয়। অর্থাৎ, পুলিশের সন্দেহ— গৌরী সম্ভবত সুটকেসের মধ্যেই মারা গিয়েছিল! (Representational Image)
advertisement
12/17
রাকেশ দেহ সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছিল, কিন্তু সুটকেসের হাতল ভেঙে যায়। তাই শেষমেশ সে সেটি বাথরুমে রেখে দেয়। তারপর বাড়ির দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়। (Representational Image)
advertisement
13/17
এরপর বিকেল ৪টের সময় সে গৌরীর ভাইকে ফোন করে জানায়, সে গৌরীকে মেরে ফেলেছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ভাই মহারাষ্ট্র পুলিশকে খবর দেন, যাঁরা বেঙ্গালুরুর হুলিমাভু থানার পুলিশকে জানিয়ে দেয়। (Representational Image)
advertisement
14/17
এরপর রাকেশ প্রতিবেশী প্রভু সিংহকে ফোন করে জানায়, গৌরী ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে তাঁকে অনুরোধ করে পুলিশ ও বাড়িওয়ালাকে জানানোর জন্য। প্রভু বাড়িওয়ালাকে ফোন করলে, বাড়িওয়ালা পুলিশের হেল্পলাইন ডায়াল করেন। (Representational Image)
advertisement
15/17
পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ফেলে। কিন্তু ঘরে কারও ঝুলন্ত দেহ মেলেনি। তবে খুঁজতে গিয়ে সুটকেসের ভিতর গৌরীর নিথর দেহ পায় পুলিশ। (Representational Image)
advertisement
16/17
রাকেশ স্বীকার করেছে, গৌরী সবসময় তাকে নিয়ন্ত্রণ করত। তার পরিবারের সঙ্গেও বনিবনা ছিল না। আলাদা থাকতে চেয়েছিল বলে রাকেশ তাঁকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু এখানে এসে কাজ না পাওয়ার হতাশায় সে সব দোষ রাকেশের ঘাড়ে চাপাচ্ছিল। (Representational Image)
advertisement
17/17
খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিল রাকেশ। পুলিশের কাছে সে বলে, ‘আমার স্ত্রী আমাকে ডাকছে, আমি তাঁর কাছে যেতে চাই।’ (Representational Image)