Gold Price Prediction For 2026: ২০২৬ সালে কত হবে সোনার দাম ? গয়না কেনার পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই জেনে নিন

ঋণ মাত্রই গলার কাঁটা, এই বিষয়ে কেউই দ্বিমত পোষণ করবেন না। তার উপরে সেটা যদি পার্সোনাল লোন হয়, তাহলে আর্থিক বোঝা একটু বেশিই হয়। সেই জন্যই আমাদের বেশিরভাগই মনে করেন যে, সময়মতো বা আগেভাগে ব্যক্তিগত ঋণ পরিশোধ করলে ক্রেডিট স্কোর উন্নত হয়। কিন্তু বাস্তবতা একটু ভিন্ন। ঋণ কার্যকর থাকলে এটি ক্রেডিট মিশ্রণকে শক্তিশালী করে, সময়মতো পরিশোধের রেকর্ড প্রদর্শন করে এবং ক্রেডিট হিস্টরিকে দীর্ঘায়িত করে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (WGC)-এর মতে, ২০২৬ সালে সোনার দাম আরও ১৫% থেকে ৩০% পর্যন্ত বাড়তে পারে। একই সঙ্গে WGC জানিয়েছে, যদি মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী হয়, তাহলে সোনার দামে ৫% থেকে ২০% পর্যন্ত পতনও দেখা যেতে পারে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, আগামী বছরও সোনার দামে বৃদ্ধির পিছনে তিনটি বড় কারণ কাজ করবে—বিশ্বজুড়ে বাড়তে থাকা ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, আমেরিকায় সুদের হারে ছাড় এবং বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ বিনিয়োগের বিকল্প খোঁজা। বর্তমান পরিস্থিতি যদি এভাবেই বজায় থাকে, তবে সোনা তার বর্তমান স্তর থেকে আরও ১৫% থেকে ৩০% পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে।

এর সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ পরিবারের ওপর। যেসব পরিবার আগামী বছরে বিয়ের পরিকল্পনা করছেন, তাদের গয়নার জন্য আরও বেশি বাজেট ধরতে হতে পারে। আর যারা আগেই গয়না কেনার কথা ভাবছেন, তাদের আর দেরি করা উচিত নয়, কারণ যত তাড়াতাড়ি কেনাকাটা করবেন, তত বেশি লাভ হতে পারে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, সোনার দামে পতনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদি ২০২৬ সালে মার্কিন অর্থনীতি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়, ডলার শক্তিশালী হয় এবং মার্কিন বন্ডের ইল্ড বাড়ে, তাহলে সোনার দামে ৫% থেকে ২০% পর্যন্ত হ্রাস দেখা যেতে পারে।

তবে সোনার দামে বড় ধরনের পতনের সম্ভাবনা কম বলে জানানো হয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে, যখনই সোনার দাম কমে, তখন ভারত, এশিয়ার গয়নার বাজার এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীরা বাড়তি কেনাকাটা শুরু করেন, যা দামের জন্য সহায়ক হয়ে ওঠে। তাই সোনার দাম পুরোপুরি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা নেই।

সব মিলিয়ে, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের মতে ২০২৬ সালে সোনার দামে ওঠানামা চলতেই থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল—সোনা একবারে না কিনে কিস্তিতে (ধাপে ধাপে) কেনা আরও বুদ্ধিমানের কাজ।