জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানান, ধৃত তিনজনকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে আদালতে। পাশাপাশি পুলিশ সুপার জানান, এই খুনের ঘটনার কিনারা করার পেছনে যারা রয়েছেন, সেই পুরো তদন্তকারী টিমকে জেলা পুলিশের তরফে পুরস্কৃত করা হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর: নদীর জলে বস্তাবন্দি, পাথরচাপা, মহিলার গলাকাটা দেহ উদ্ধারের তদন্তে নেমে অস্ত্র ও সোনার গহনা সহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলো দাসপুর থানার পুলিশ।শনিবার এক বিবৃতিতে এমনটাই জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পরের দিন বুধবার সকালে দাসপুর থানার কলোরার কাঠুরিয়াদা এলাকার কংসাবতী নদীর পাড় থেকে বস্তাবন্দি পাথর চাপা অবস্থায় এক মহিলার গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর পরিবারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে দাসপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ঐ মহিলার নাম ঊর্মিলা দাস (৫৮)। বাড়ি দাসপুরের নবীন মনুয়া গ্রামে। ঊর্মিলার স্বামী চিত্তরঞ্জন দাসের কাছে পুলিশ জানতে পারে, ঊর্মিলা নিজের নাতনির বিয়ের জন্য সম্মন্ধ দেখতে মঙ্গলবার বিকেলে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরদিন সকালে বাড়ী থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে কংসাবতী নদী থেকে উদ্ধার হয় ঊর্মিলা দাসের বস্তাবন্দী পাথর চাপা অবস্থায় গলাকাটা মৃতদেহ। পুলিশ আরও জানতে পারে, ঊর্মিলার পরনে থাকা বেশকিছু সোনার গহনা এবং মোবাইল ফোনটি উধাও। এরপর জেলা পুলিশের SOG বিভাগ প্রযুক্তির সাহায্যে তিনজন সন্দেহ ভাজন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে। এরপর শুক্রবার মধ্যরাতে দাসপুর থানা ও জেলা পুলিশ যৌথ ভাবে তল্লাশী চালিয়ে মেদিনীপুর শহরের ধর্মা থেকে তিন দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতরা হল সাগর খান, শেখ মহিবুল ইসলাম এবং শেখ শামিম আহমেদ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ঊর্মিলার পরনে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও খুনে ব্যবহৃত ছুরি। পুলিশী জেরায় খুন করার কথা স্বীকার করে তিনজনেই। জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানান, ধৃত তিনজনকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে আদালতে। পাশাপাশি পুলিশ সুপার জানান, এই খুনের ঘটনার কিনারা করার পেছনে যারা রয়েছেন, সেই পুরো তদন্তকারী টিমকে জেলা পুলিশের তরফে পুরস্কৃত করা হবে।
মহিলা খুনে ধৃত তিন, উদ্ধার খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র সহ স্বর্ণালঙ্কার