কেশপুরের কৃষক অরূপ ঘোষ জানান, মাত্র দুই থেকে তিন প্যাকেট করে কাটা প্রতি আলু ফলায় লাভ হচ্ছে না। কোনরকমে চাষের খরচ টুকু আসবে। অন্যদিকে আরেক মহিলা চাষি পুষ্পা টাঙি জানান, "অতিবৃষ্টির ফলে আলুর ফলন খুব একটা ভাল হয়নি। বৃষ্টি না হলে হয়তো আলুর ফলন ভালো হলে এই দামটাও যথেষ্ট ছিল।" আলুর ফলন কম হয়েছে, দামটা আরেকটু হলে ভালো হতো এমনই আরজি চাষিদের।
advertisement
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের শীতকালের শুরু থেকে দফায় দফায় অকাল বৃষ্টিতে জেলার আলু চাষ অনেকখানি নষ্ট হয়েছে। আলুর মরশুমে প্রথম দফায় আলু লাগানোর পরেই ব্যাপক বৃষ্টির ফলে জেলার কয়েকশো বিঘা জমির আলু চাষ চলে যায় জলের তলায়। এরপর দ্বিতীয় দফায় পুনরায় জেলার কয়েক হাজার চাষি আলু লাগায়, কিন্তু আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় বেশ কিছু এলাকায় আলুতে ধসা রোগ লাগে। পাশাপাশি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত ও শিলা বৃষ্টিতে শতাধিক বিঘা আলু নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দেয়। অন্যদিকে, আলুর দাম খোলাবাজারে বেশ চড়া হলেও, আলু চাষিরা সেই মোতাবেক দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।